ধর্মমঙ্গল কাব্যকে কেন “রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য” বলা হয় ? || ধর্মমঙ্গলকে কি রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য বলা যায় ? যুক্তিসহ লিখুন।

প্রশ্ন ১। ধর্মমঙ্গল কাব্যকে কেন “রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য” বলা হয় ?

উত্তরঃ- ধর্মমঙ্গলকে রাঢ়ের জাতীয় কাব্য বলার কারণঃ–

১.রাঢ় বাংলার ইতিহাস-সমাজ-সংস্কৃতির আলেখ্য নির্মাণ। 

২.লাউসেনের মতো জাতীয় বীর চরিত্র নির্মাণ। 

৩.স্বর্গ ও মর্ত্যের কাহিনিবৃত্ত রচনা।

৪. মহাকাব্যিক বিশালতা, চরিত্রের মহত্ব,আদর্শ ও ধর্মের জয়,অধর্মের পরাজয় প্রভৃতি মহাকাব্যিক পরিবেশ রচনা করেছেন বলে।

৫. ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ধর্মমঙ্গলকে ‘রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য’ বলেছেন।

প্রশ্ন ২। ধর্মমঙ্গলকে কী রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য বলা যায় ? যুক্তিসহ লিখুন।

উত্তরঃ- মহাকাব্যিক বিশালতা ও জাতীয় গৌরবের সম্ভাবনা দেখে ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ধর্মমঙ্গলকে ‘রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য ‘ বললেও কয়েকটি যুক্তির বিচারে একে ‘রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য’ বলা যায় না।

যথা—

১.ধর্মমঙ্গল সমসাময়িক সমাজ ও জীবনকে অতিক্রম করে রাঢ়ের সর্বকালীন উদ্বর্তনকে তুলে ধরতে পারে নি।

২.প্রতিভাধর কবির অভাব।

৩.পাঁচালীর স্তর অতিক্রম করতে পারে নি।

৪.ব্যালাডের সমগোত্রীয় হলেও মহাকাব্যোচিত গাম্ভীর্য ও সর্বজনগ্রাহ্যতা বা জাতির একাত্মতালাভ করতে পারে নি।

Leave a Reply