বাংলা অনুবাদ সাহিত্য, সাহিত্যের ইতিহাস, মধ্যযুগ, সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী (SCQ) প্রশ্ন ,২০ নম্বরের পররীক্ষা / উত্তরপত্র সহ, সাহিত্যের ইতিহাস মধ্যযুগ, কাশীরাম দাস, কৃত্তিবাস ওঝা, মালাধর বসু, “আদি সভা বন বিরাটের কত দূর। /ইহা রচি কাশীদাস গেলা স্বর্গপুর ।।”, ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’, গুনরাজ খান, “তেরশ পঁচানই শকে গ্রন্থ আরম্ভন।
চতুর্দশ দুই শকে হৈল সমাপন ।।”,
এসো , তাহলে জেনে নিই বাংলা অনুবাদ সাহিত্য এর SAQ প্র্যাকটিস সেট এর উত্তরগুলি ।
পূর্ণমানঃ ২০ প্রতিটি প্রশ্নের মানঃ ২ নম্বর। সময়ঃ ৩৫ মিনিট অনধিক ৩৫ টি শব্দের মধ্যে উত্তর দিতে হবে।
উত্তরপত্র
১। ‘গুনরাজ খান “ কে ? কে, কেন তাঁকে এই উপাধি দান করেন ? ১/২+১/২+১=২
উত্তরঃ গুনরাজ খান কে: মধ্যযুগের কবি। প্রকৃত নাম মালাধর বসু।
কে উপাধি দেন: গৌড়েশ্বর রুকনুদ্দিন বরবক শাহ মালাধর বসুকে এই উপাধি দেন ।
কেন উপাধি দেন: ‘ভাগবতের ‘অনুবাদ ‘শ্রীকৃষ্ণ বিজয়’ রচনায় মালাধর বসুর কৃতিত্ব ও পাণ্ডিত্যের জন্য গৌড়েশ্বর রুকনুদ্দিন বরবক শাহ তাঁকে গুনরাজ খান উপাধি দেন।
২। মধ্যযুগে ভাগবতের অনুবাদ ধারাটি স্তিমিত হয়ে পড়ে কেন ? ২
উত্তরঃ মধ্যযুগে ভাগবতের অনুবাদ ধারাটি স্তিমিত হয়ে পড়ার মূল কারণগুলি হল:
ক. মূল ভাগবতে জনপ্রিয় আখ্যানের অভাব।
খ. কঠিন তত্ত্বকথা গল্পভুক বাঙালির অপ্রিয় ।
গ. সক্ষম ও সফল কবির অপ্রতুলতা।
ঘ. রামায়ণ মহাভারতের মতো জনপ্রিয় আখ্যানের কাছে প্রতিযোগিতায় হেরে যাওয়া।
৩। কৃত্তিবাসের রামায়ন অনুবাদ গ্রন্থটির নাম কী ? রামায়ন অনুবাদে কৃত্তিবাসের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ কী ? ১/২+১ ১/২ = ২
উত্তরঃ কৃত্তিবাসের রামায়ণ অনুবাদ গ্রন্থটির নাম: ‘শ্রীরাম পাঁচালী’ ।
রামায়ন অনুবাদে কৃত্তিবাসের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ:
ক. আক্ষরিক অনুবাদ না করে মর্মানুবাদ করা।
খ. ঘটনা ও চরিত্রের উপর বাঙালিয়ানার প্রভাব।
গ. সহজ সরল ভাষায় অনুবাদ।
ঘ. পাঠকের উপযোগী করে কাহিনি বর্জন ও সংযোজন করা ।
৪। বাংলা মহাভারতের চারজন অনুবাদকের নাম ও তাদের কাব্যের নাম লিখুন। ২
উত্তরঃ মহাভারতের চারজন অনুবাদক ও তাদের কাব্যের নাম:
অনুবাদক – কাব্যের নাম
১. কবীন্দ্র পরমেশ্বর- ‘পান্ডব বিজয়’
২. শ্রীকর নন্দী – ‘অশ্বমেধ কথা’
৩. সঞ্জয়- ‘মহাভারত
৪. দ্বিজ রঘুনাথ – ‘অশ্বমেধ পাঁচালী’
৫। ‘অদ্ভুত রামায়ন’-এর রচয়িতা কে ? গ্রন্থটির এই “অদ্ভুত” নামের কারণ কী ? ১/২+ ১ ১/২ =২
উত্তরঃ অদ্ভুত রামায়ণের রচয়িতা: অদ্ভুত রামায়ণের রচয়িতা হলেন অদ্ভুত আচার্য। প্রকৃত নাম নিত্যানন্দ আচার্য।
গ্রন্থটির অদ্ভুত নামের কারণ: কবি রামায়ণ অনুবাদের কারণ হিসেবে লিখেছেন, তাঁর সাত বছর বয়সে স্বয়ং রাম তাঁর জিহ্বায় তিরের ডগা দিয়ে রাম নাম লিখে দেন এবং রামায়ণ রচনার আদেশ দেন। কবির ভাষায়—
“রাম আজ্ঞা করিল রচিতে রামায়ণ ।
অদ্ভুত আচার্য নাম তাহার কারণ “।।
— এই অদ্ভুত কাহিনির জন্যই তাঁর নাম অদ্ভুত আচার্য ও গ্রন্থটির নাম হয় অদ্ভুত রামায়ণ।
৬। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম মহিলা কবি কে ? তাঁর পিতার নাম কী ? তিনি(মহিলা কবি) কোন ধারার সঙ্গে যুক্ত ? ১+১ =২
উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম মহিলা কবি: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম মহিলা কবি হলেন চন্দ্রাবতী।
চন্দ্রাবতীর পিতার নাম: দ্বীজ বংশী দাস।
চন্দ্রাবতী কোন কাব্য ধারার সঙ্গে যুক্ত: চন্দ্রাবতী রামায়ণ অনুবাদ কাব্য ধারার সঙ্গে যুক্ত।
৭। কাশীরাম দাস মহাভারতের কোন কোন অংশ অনুবাদ করেন ? এই সম্পর্কে নন্দরামের উক্তিটি উদ্ধৃত করে লিখুন । ১+১ =২
উত্তরঃ কাশীরাম দাস কোন অংশ অনুবাদ করেন: কাশীরাম দাস মহাভারতের ‘আদি পর্ব, সভা পর্ব , বন পর্ব ও বিরাট পর্বের কিছুটা অংশ অনুবাদ করেন।
এ সম্পর্কে নন্দরামের উক্তি:
“আদি সভা বন বিরাটের কত দূর।
ইহা রচি কাশীদাস গেলা স্বর্গপুর ।।”
৮। বাংলা সাহিত্যে প্রথম সরাসরি রচনাকাল-জ্ঞাপক ভণিতাটি কী (উদ্ধৃত করে লিখুন) ? এর থেকে রচনাকাল কোন সময়(কত সাল) পাওয়া যায় ? ১+১=২
উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যে প্রথম সরাসরি রচনাকাল-জ্ঞাপক ভণিতা : বাংলা সাহিত্যে প্রথম সরাসরি রচনাকাল-জ্ঞাপক ভণিতাটি হলঃ-
“তেরশ পঁচানই শকে গ্রন্থ আরম্ভন।
চতুর্দশ দুই শকে হৈল সমাপন ।।”
এর থেকে রচনাকাল যে সাল পাওয়া যায়:
তেরশ পঁচানই শক=১৩৯৫ শকাব্দ।
চতুর্দশ দুই শক=১৪০২ শকাব্দ।
১৩৯৫+৭৮=১৪৭৩(খ্রিস্টাব্দ)
১৪০২+৭৮=১৪৮০ (খ্রিস্টাব্দ)
অর্থাৎ ১৪৭৩–১৪৮০ খ্রিস্টাব্দ ।
৯। কাশীদাসি মহাভারতে মূল মহাভারতের কিছু কিছু কাহিনি বর্জন করা হয়েছে , এরকম দুটি উদাহরণ দিন । কৃত্তিবাসি রামায়ণে মূল রামায়নের বাইরেও কিছু কাহিনি সংযোজন করা হয়েছে। এরকম দুটি উদাহরণ দিন । ১+১=২
উত্তরঃ কাশীরাম দাস মহাভারতের যে যে অংশ বর্জন করেছেন এমন দুটি উদাহরণ:
ক . রুরুর প্রেম কাহিনি ।
খ. বিদুলার তেজস্বিতা।
কৃত্তিবাস রামায়ণের যে যে অংশ সংযোজন করেছেন এমন দুটি উদাহরণ:
ক.কৈকেয়ীর বর লাভ ।
খ. হনুমান কর্তৃক গন্ধমাদন পর্বত আনয়ন।
১০। শ্রীকর নন্দী কোন কাব্যধারার কবি ? তাঁর সম্পর্কে অনধিক ত্রিশটি শব্দে লিখুন । ১/২+১ ১/২ =২
উত্তরঃ শ্রীকর নন্দী কোন কাব্য ধারার কবি: শ্রীকর নন্দী মহাভারত অনুবাদ কাব্য ধারার কবি।
শ্রীকর নন্দী: মধ্যযুগের ষোড়শ শতকের কবি।
জন্ম: বাংলাদেশ চট্টগ্রামে।
কাব্যের নাম: ‘অশ্বমেধ কথা’ যার কাহিনি জৈমিনী সংহিতা থেকে গ্ৰহন করেন।
পৃষ্ঠপোষক: পরাগল খানের পুএ নসরৎ খান এর পৃষ্ঠপোষকতায় ‘অশ্বমেধ কথা’ রচনা করেন।
XXXXXXXXXXXXXXXXXXXXXX
আরও কিছু প্রশ্নপত্র তোমাদের জন্যঃ- 👇
১। সাহিত্যের ইতিহাস প্রাচীন ও মধ্যযুগ) MCQ
৪। কারক অ-কারক SAQ Practice SET
৫। শব্দভাণ্ডার MCQ Practice SET