( নানা রঙের দিন নাটকের বড় প্রশ্ন উত্তর,‘নানা রঙের দিন’ নাটকের সাজেশন, Nana ronger din natok proshno, উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2022, ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্ত্বপূর্ণ চারটি প্রশ্নোত্তোর ।২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্ত্বপূর্ণ চারটি প্রশ্নোত্তোর । উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২২,Higher Secondary Bengali Suggestion 2022, hs bengali suggestion 2022 pdf, hs bengali suggestion 2022 pdf, ‘নানা রঙের দিন’ গল্পের প্রশ্নোত্তর |bhaat golpo by Soiyod mostafa siraj || উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২২ |Higher Secondary Bengali Suggestion Question and Answer | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা বিষয়ের সাজেশন অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলির উত্তর PDF Download এর লিঙ্ক নীচে দেওয়া হল।”নানা রঙের দিন’‘ নাটকের প্রশ্ন ও উত্তর,”নানা রঙের দিন‘ নাটকের সাজেশন, Higher Secondary Bengali বা WBCHSE HS Bengali উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা পাঠ্য বিভাব নাটক ।’নানা রঙের দিন’ নাটকের গুরুত্ত্বপূর্ণ চারটি বড় প্রশ্ন ও উত্তর এখানে আলোচনা করা হলো। নানা রঙের দিন নাটক থেকে যেসকল বড় প্রশ্ন গুলি উচ্চমাধ্যমিক বাংলা বা দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা বিষয়ের নানা রঙের দিন নাটকের এই প্রশ্নগুলি পড়লে তোমরা যথভাবে উত্তর লিখতে পারবে । HS bengali suggestion 2022 এর জন্য সমগ্র গল্প কবিতা , নাটক ,ভাষা , শিল্প সংস্কৃতির ইতিহাসের প্রশ্ন ও উত্তরের জন্য এই ওয়েবসাইটটি ফলো করো। )
প্রশ্নোত্তরের শেষে PDF download এর লিঙ্ক দেওয়া আছে । তোমরা সাজেশনের সবগুলো প্রশ্ন উত্তরসহ download করে নিতে পারো ।
*** ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্ত্বপূর্ণ পাঁচটি প্রশ্নোত্তোর ।👇
* নানা রঙের দিন *
প্রশ্ন ১) “অভিনেতা মানে একটা চাকর-একটা জোকার,একটা ক্লাউন। লোকেরা সারাদিন খেটে খুটে এলে তাদের আনন্দ দেওয়াই হল নাটকওয়ালাদের একমাত্র কর্তব্য।” –বক্তার কথার তাৎপর্য আলোচনা কর। (৫) (২০১৬)
অথবা
“সেই রাত্রেই জীবনে প্রথম মোক্ষম বুঝলাম।”–বক্তা কে ? তিনি কী বুঝলেন ? (১+৪=৫)
অথবা
“যারা বলে নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প-তারা সব গাধা-গাধা।”–বক্তা কখন এবং কেন এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন তা আলোচনা কর। (২+৩=৫)
অথবা
“আর সেই দিন বুঝলুম পাবলিকের আসল চরিত্র।” –বক্তা কে ? বক্তা কখন কীভাবে পাবলিকের আসল চরিত্র উদ্ঘাটন করেন ? (১+৪=৫)
————————————–
প্রশ্ন ২) “আমি রোজ লুকিয়ে লুকিয়ে গ্ৰিনরুমে ঘুমোই চাটুজ্জেমশাই -কেউ জানে না।” –কোন নাটকের অংশ?বক্তা কে?তিনি কেন গ্ৰিনরুমে ঘুমান ? (১+১+৩=৫) (২০১৮)
উত্তর : বিখ্যাত রুশ নাট্যকার আন্তন চেখভের ‘সোয়ান সং’ অবলম্বনে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় অনূদিত ‘নানা রঙের দিন’ নাটক থেকে উদ্ধৃতাংশটি নেওয়া হয়েছে।
■ “আমি রোজ লুকিয়ে লুকিয়ে গ্ৰিনরুমে ঘুমোই চাটুজ্জেমশাই -কেউ জানে না।”—‘নানা রঙের দিন’ নাটক থেকে গৃহীত উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হলেন প্রম্পটার কালীনাথ সেন।
■ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের প্রধান চরিত্র হল দুটি।একটি বৃদ্ধ অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় আর অপরটি প্রম্পটার কালীনাথ সেন। নাটকটিতে দেখা যায়,অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় অভিনয়ের পর মদ্যপান করে গ্রিনরুমে ঘুমিয়ে পড়েন। আর রামব্রীজ অভিনেতাকে ঘুম থেকে তুলে ট্যাক্সি ডেকে দেন।অভিনেতা মদ্যপান করে ফাঁকা মঞ্চে দাঁড়িয়ে দিলদারের পোশাক পরে সংলাপ আওড়ান আর অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে অতীতের স্মৃতিচারণা করেন।একদিন অভিনেতা রজনীকান্ত মদ্যপান করে গ্ৰিনরুমে শুয়ে নানা সংলাপ আওড়াচ্ছিলেন কিন্তু যখন তিনি বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনই কালীনাথ সেনকে দেখে অভিনেতা ভয় পেয়ে যান।এত রাত্রে গ্ৰিনরুমে কালীনাথকে দেখতে পেয়ে রজনীকান্ত অবাক হন এবং তিনি জানতে চান সে এখানে কি করছে? আর কালীনাথ তখন অভিনেতা রজনীকান্তকে জানান—-
“আমি রোজ লুকিয়ে লুকিয়ে গ্ৰিনরুমে ঘুমোই চাটুজ্জেমশাই -কেউ জানে না।”
অর্থাৎ,কালীনাথ যে রোজ লুকিয়ে গ্ৰিনরুমে ঘুমায় তা কেউ জানে না এমনকি রজনীকান্ত ও না।আর একথাটা জানানোর পর কালীনাথ সেন রজনীকান্তকে অনুরোধ করে বলেন–“এ কথাটা মালিকের কানে তুলবেন না চাটুজ্জেমশাই।” অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় অভিনয়ের পর মদ্যপান করে গ্ৰিনরুমে ঘুমিয়ে পড়তেন।কিন্তু প্রম্পটার কালীনাথ সেনের শোবার কোন জায়গা না থাকার জন্য তিনি রোজ লুকিয়ে গ্ৰিনরুমে ঘুমান।
—————————————-
( দেখে রাখো 👉ভাষা বিষয়ের ৫০ টি গুরুত্বপূর্ণ SAQ সাজেশন )
প্রশ্ন ৩) “●●● প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ।”–কে বলেছেন?এই অপমৃত্যু কীভাবে ঘটে বলে বক্তা মনে করেন ? (১+৪=৫) (২০১৯)
অথবা
“আমাদের দিন ফুরিয়েছে।”–কে কোন প্রসঙ্গে এই উক্তিটি করেছেন ? বক্তার এই উপলব্ধির কারণ কী ? (২+৩=৫)
অথবা
“আর জীবনে ভোর নেই,সকাল নেই,দুপুর নেই সন্ধ্যেও ফুরিয়েছে-এখন শুধু মাঝরাত্তিরের অপেক্ষা।”–বক্তা কে ? কোন প্রসঙ্গে বক্তা মন্তব্যটি করেছেন তা আলোচনা কর। (১+৪=৫)
অথবা
“আমি লাস্ট সিনে প্লে করব না ভাই,আমাকে ছেড়ে দিন।”–বক্তা কে ? কোন প্রসঙ্গে বক্তা মন্তব্যটি করেছেন তা আলোচনা কর। (১+৪=৫)
উত্তর: অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘নানা রঙের দিন’ নাটক থেকে গৃহীত উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হলেন অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায়।
■ খ্যাতনামা প্রবীন অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় একদিন অভিনয় শেষে অতিরিক্ত মদ্যপান করে ঘুমিয়ে পড়েন।মাঝরাত্তিরে ঘুম থেকে উঠে দেখেন মঞ্চ ফাঁকা,তার শরীরে তখন দিলদারের পোশাক।হাতে একটি জলন্ত মোমবাতি নিয়ে প্রায় অন্ধকারাচ্ছন্ন মঞ্চে আত্মোপলব্ধির মাধ্যমে নিজেকে আবিষ্কার করেন।নেশাগ্ৰস্থ রজনীকান্ত বুঝতে পারে তার সময় শেষ হয়ে আসছে।তার ভেতরের মানুষটা তাকে যেন সাবধান করে পরামর্শ দেয় নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়ার জন্য।তার বয়সী মানুষেরা যখন মাপজোখ করে খাবার খাচ্ছে,নিয়ম করে হাটছে,কীর্তন শুনছে তখন তার এইরূপ মদ্যপান করা উচিৎ নয়।তিনি আরও বুঝতে পারেন অভিনয় করতে পারলেও যৌবনের সেই জনচিত্তজয়ী প্রতিভা আর নেই।আস্তে আস্তে বয়স বাড়ছে,গলার স্বর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে,একটা নতুন চরিত্রকে বোঝবার বা ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।তাই তিনি জানিয়েছেন–
“●●● প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ।”
শুধু তাই নয় তাঁর জীবনও যে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এটা বুঝতে পেরে রজনীকান্ত জানিয়েছেন–
“জীবনে ভোর নেই,সকাল নেই,দুপুর নেই সন্ধ্যেও ফুরিয়েছে-এখন শুধু মাঝরাত্তিরের অপেক্ষা।”
জীবনের এই অনিবার্যতাকে আরও পাঁচ জনের মতো তিনি অস্বীকার করতে পারেননি।অথচ ভেতরের মানুষটা এই চরম সত্যকে মানতে চায় না।তাই তিনি জীবনের শেষ দৃশ্যে অভিনয় করতে অরাজি।নাটকের ভাষায়–“আমি লাস্ট সিনে প্লে করব না ভাই,আমাকে ছেড়ে দিন।” অথচ বাইরের মানুষটা বুঝতে পারে যে ,কার্টেন(পর্দা) উঠবেই শ্মশান ঘাটে,পরিচিত বন্ধু-বান্ধবের উপস্থিতিতে তাঁর জীবনের গল্প শেষ হবে।আসলে জীবনের অনিবার্য পরিণতিতে তাঁর জীবনের গল্প শেষ হবে।আসলে জীবনের অনিবার্য পরিণতিতে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতেই রজনীকান্ত আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন যা বিশেষ ভাবে তাৎপর্যবাহী।
—————————————–
প্রশ্ন ৪) ‘নানা রঙের দিন’ নাটকটি একাঙ্ক নাটক হিসাবে কতখানি সার্থক তা আলোচনা কর।(৫) (২০১৭)
উত্তর: সংঘাতমুখর দ্রুতগতিময় স্বল্প সময়বিস্তারী একমুখীন একটি মাত্র ঘটনা কেন্দ্রিক এক অঙ্ক বিশিষ্ট নাটকেই বলা হয় একাঙ্ক নাটক।এক কথায় এক অঙ্কে রচিত নাটকই হল একাঙ্ক নাটক।ইংরেজিতে একাঙ্ক নাটককে বলা হয় ‘one act play’।কাহিনির অবিচ্ছিন্নতা,আয়তনের স্বল্পতা,দ্বন্দ্ব সংঘাত মুখরতা,ভাব নিবিড়তা,ঘনীভূত রসময়তা,দ্রুততা প্রভৃতি হল একাঙ্ক নাটকের অন্যতম লক্ষণ বা বৈশিষ্ট্য।
খ্যাতনামা প্রবীন অভিনেতা রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় একদিন অভিনয় শেষে অতিরিক্ত মদ্যপান করে ঘুমিয়ে পড়েন।মাঝরাত্তিরে ঘুম থেকে উঠে দেখেন মঞ্চ ফাঁকা,তার শরীরে তখন দিলদারের পোশাক।হাতে একটি জলন্ত মোমবাতি নিয়ে প্রায় অন্ধকারাচ্ছন্ন মঞ্চে আত্মোপলব্ধির মাধ্যমে নিজেকে আবিষ্কার করেন।নেশাগ্ৰস্থ রজনীকান্ত বুঝতে পারে তার সময় শেষ হয়ে আসছে।তার ভেতরের মানুষটা তাকে যেন সাবধান করে পরামর্শ দেয় নিজের শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়ার জন্য।তার বয়সী মানুষেরা যখন মাপজোখ করে খাবার খাচ্ছে,নিয়ম করে হাটছে,কীর্তন শুনছে তখন তার এইরূপ মদ্যপান করা উচিৎ নয়।তিনি আরও বুঝতে পারেন অভিনয় করতে পারলেও যৌবনের সেই জনচিত্তজয়ী প্রতিভা আর নেই।আস্তে আস্তে বয়স বাড়ছে,গলার স্বর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে,একটা নতুন চরিত্রকে বোঝবার বা ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।তাই তিনি জানিয়েছেন–
“●●● প্রাক্তন অভিনেতা রজনী চাটুজ্জের প্রতিভার অপমৃত্যুর করুণ সংবাদ।”
শুধু তাই নয় তাঁর জীবনও যে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এটা বুঝতে পেরে রজনীকান্ত জানিয়েছেন–
“জীবনে ভোর নেই,সকাল নেই,দুপুর নেই সন্ধ্যেও ফুরিয়েছে-এখন শুধু মাঝরাত্তিরের অপেক্ষা।”
জীবনের এই অনিবার্যতাকে আরও পাঁচ জনের মতো তিনি অস্বীকার করতে পারেননি।অথচ ভেতরের মানুষটা এই চরম সত্যকে মানতে চায় না।তাই তিনি জীবনের শেষ দৃশ্যে অভিনয় করতে অ-রাজি। নাটকের ভাষায়–“আমি লাস্ট সিনে প্লে করব না ভাই,আমাকে ছেড়ে দিন।” অথচ বাইরের মানুষটা বুঝতে পারে যে ,কার্টেন(পর্দা) উঠবেই শ্মশান ঘাটে,পরিচিত বন্ধু-বান্ধবের উপস্থিতিতে তাঁর জীবনের গল্প শেষ হবে।সমগ্ৰ নাটকেই ব্যাক্তি রজনীকান্ত ও অভিনেতা রজনীকান্ত দ্বিধা-দ্বন্দ্বে জর্জরিত হয়েছে।তিনি একের পর এক পুরোনো নাটকের সংলাপ উচ্চারণ করে নিজের অতীত গৌরবের কথা স্মরণ করেছেন।অভিনেতা রজনীকান্তের অতীত বর্তমানের দ্বান্দ্বিক টানাপোড়েনেই নাটকটি শেষ হয়েছে।
অভিনেতা রজনীকান্তের অন্তর্দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে স্বল্প পরিসরে,একমুখীন গতিতে,দ্রুততার সঙ্গে নাটকটি পরিণতির দিকে এগিয়ে গিয়েছে।নাটকটিতে একটি রাত্রের কাহিনিই বর্ণিত হয়েছে।সুতরাং একাঙ্ক নাটকের সমস্ত বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হওয়ায় ‘নানা রঙের দিন’ নাটকটি একাঙ্ক নাটক হিসাবে সার্থক হয়ে উঠেছে।
—————————————-
এই প্রশ্নগুলির উত্তরের পি ডি এফ(PDF) ডাউনলোড করো 👇
@ গুরুত্বপূর্ণ আরও কয়েকটি বিষয় দেখে রাখো @
পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতা
‘কে বাঁচায় কে বাঁচে ‘ গল্পের বড় প্রশ্ন
‘রূপনারানের কূলে’ কবিতার গুরুত্বপূর্ণ৩ টি প্রশ্নোত্তর
‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতার বড় প্রশ্ন
আমার বাংলা থেকে আটটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ বাংলা সাজেশন এর জন্য এখানে ক্লিক করো