প্রশ্নঃ৬। “দাঁতগুলো বের করে সে কামটের মত হিংস্র ভঙ্গি করে।”–কার সম্পর্কে এই উক্তি করা হয়েছে ? তার এইরূপ আচরণের কারণ বিশ্লেষণ কর। (১+৪=৫) অথবা
“তার চোখ এখন বাদার কামটের মতো হিংস্র।”–কে কার প্রতি এইরূপ আচরণ করেছিল ? তার এইরূপ আচরণের কারণ বিশ্লেষণ কর। (১+৪=৫)
অথবা
“উচ্ছব ফিরে দাঁড়ায়।”–উচ্ছবের ফিরে দাঁড়ানোর কারণ কী ? তার মধ্যে কি প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল ? (১+৪=৫)
উত্তর: মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাত’ গল্পের কেন্দ্রিয় চরিত্র ক্ষুধার্থ উচ্ছবকে অশৌচ বাড়ির রাঁধা ভাত খেতে বাসিনী বারণ করলে উচ্ছব হিংস্র হয়ে ওঠে এবংবাসিনীর প্রতি সে হিংস্র কামটের মতো আচরণ করে।
■ মাতলা নদীর বন্যায় সুন্দর বনের বাদা অঞ্চলের সর্বহারা উচ্ছব পেটের তাগিদে তার গ্ৰামতুতো বোন বাসিনীর মনিব বাড়িতে কাজ নেয়।সেখানে ভাত খাওয়ার বিনিময়ে হোমযজ্ঞের জন্য কাঠ কাটতে শুরু করে।প্রসঙ্গত লেখিকা জানান— “আড়াই মণ কাঠ কাটল সে ভাতের হুতাশে।”
কিন্তু এখানেও উচ্ছবের ভাগ্য বিড়াম্বনায় পড়ে। সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে, কাঠ কাটার কাজ শেষ করার পরেও সে খেতে পায়নি কারণ বাড়ির বুড়ো কর্তা মারা যান।ফলে অশৌচ হওয়ার কারণে বড় পিসিমার নির্দেশে বাসিনী রান্না করা সমস্ত ভাত বাইরে ফেলতে যায়।উচ্ছব নিজের অন্তরে লালিত ক্ষুধা নিবারণের উদ্দেশ্যে বাসিনীর হাত থেকে ডেকচি নিয়ে দূরে ফেলে আসার কথা বলে।এই সুযোগে সে ভাত খাওয়ার অধিকার লাভ করে।আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে সে ভাত খেতে থাকলে বাসিনী অশৌচ বাড়ির ভাত খেতে বারণ করে।কিন্তু উচ্ছবের বিশ্বগ্ৰাসী খিদের কাছে সামাজিক সংস্কার মূল্যহীন। তাই বাসিনী নিষেধ করলে ক্ষুধার্থ উচ্ছব বাদার কামটের মতোই হিংস্র আচরণ করে।
—————————————-