প্রশ্নোত্তরে পদ প্রকরণ | বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয় এর উপর প্রশ্নপত্র। WBSLST BENGALI PRACTICE SET
১) নিম্নরেখ পদগুলির বিশেষণের শ্রেণি নির্ণয় করুন।
ক) প্রীতম লাল জামা গায়ে দিয়েছে।
খ) লোকটি দ্রুত হেঁটে আসছে।
গ) বাজার থেকে দশকিলো চাল আনবে।
ঘ) কনকনে শীতে ঘাসের উপর শিশির ঝরে।
উত্তরঃ
ক) লাল = গুণবাচক বিশেষণ
খ) দ্রুত =ক্রিয়া বিশেষণ
গ) দশকিলো =সংখ্যাবাচক বিশেষণ
ঘ) কনকনে = ধ্বন্যাত্মক বিশেষণ
২) কোন্টি কোন্ শ্রেণির বিশেষ্য নির্ণয় করুন।
ক) ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা।
খ) তাঁহাদের নৌকা বহর হইতে দূরে পড়িয়াছিল।
গ) হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী, নিত্য নিঠুর দ্বন্দ্ব।
ঘ) আনন্দ রয়েছে জাগি ভুবনে তোমার।
উত্তরঃ
ক) মাটি =বস্তুবাচক বিশেষ্য
খ) বহর = সমষ্টি বাচক বিশেষ্য
গ) পৃথ্বী =সংজ্ঞা বাচক বিশেষ্য
ঘ) আনন্দ = ভাব বাচক বিশেষ্য
৩) কোন্টি কোন্ শ্রেণির সর্বনাম নির্ণয় করুন।
ক) কোন কোন বই তোমার পছন্দ ?
খ) তিনি স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন।
গ) সকলের তরে সকলে আমরা।
ঘ) তুমি নও অন্য কেউ কাজটি করেছে।
উত্তরঃ
ক) কোন কোন = প্রশ্নবোধক সর্বনাম।
খ) স্বয়ং =আত্মবাচক সর্বনাম।
গ) সকলের =সাকল্য বাচক সর্বনাম।
ঘ)কেউ =অনির্দেশক সর্বনাম।
৪) কোনটি কোন শ্রেণির অব্যয় নির্ণয় করুন।
ক) দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে ?
খ) সেই থেকে দুজনের ভাব-ভালোবাসা।
গ) শিক্ষিত মানুষ দেশ তথা সমাজের জন্য উপযোগী।
ঘ) সে তো এখনও এলো না !
উত্তরঃ
ক) বিনা =ব্যতিরেকাত্মক অব্যয়।
খ) থেকে = সীমা বাচক অব্যয়।
গ) তথা =সংযোজক অব্যয়।
ঘ) তো =বাক্যালঙ্কার অব্যয়।
৫) বাক্যে প্রয়োগ করে উদাহরণ দিনঃ বিয়োজক অব্যয়, বাক্যাশ্রয়ী বিশেষণ , সামীপ্যবাচক সর্বনাম , অবস্থাবাচক বিশেষ্য ।
ক) বিয়োজক অব্যয়- উত্তরঃ- নয়, অথবা (জয় অথবা বিজয় কেউ একজন স্টেশনে যাবে)।
খ) বাক্যাশ্রয়ী বিশেষণ— উত্তরঃ- এমন, অনেক (অনেক কাজে পারদর্শী, এমন লোককে রাম বাবু হন্যে হয়ে খুঁজছেন)
গ) সামীপ্যবাচক সর্বনাম— উত্তরঃ- এঁরা, ওঁরা (এঁরা আজি এসেছেন)।
ঘ) অবস্থাবাচক বিশেষ্য— উত্তরঃ- শ্রদ্ধা, বিনয় (গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা হারাতে নেই)।
৬) উদাহরণ সহ সংজ্ঞা দিন: ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য , অনির্দেশক সর্বনাম , পূরণবাচক বিশেষণ , পদান্বয়ী অব্যয়।
উত্তরঃ
ক) ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য— যে বিশেষ্য ক্রিয়ার নাম নির্দেশ করে, তাকে ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য বলে। উদাহরণ— আমার দিনে ঘুমানোর অভ্যাস নেই।
খ) অনির্দেশক সর্বনাম— অনির্দিষ্ট বস্তু, ব্যক্তি বা ভাব বোঝাতে যে সর্বনাম ব্যবহার করা হয় তাকে বলা হয় অনির্দেশক সর্বনাম। উদাহরণ— যে কেউ আমার সঙ্গে আসতে পারো।
গ) পূরণবাচক বিশেষণ— যা দিয়ে সংখ্যা পূর্ণ হয় অর্থাৎ পূরণের বোধ যে শব্দ দিয়ে সূচিত হয়, তাঁকে বলা হয় পূরণবাচক বিশেষণ। উদাহরণ— তুমি দশম শ্রেণিতে পড়ো।
ঘ) পদান্বয়ী অব্যয়— যে অব্যয় বাক্যস্থ বিভিন্ন পদের মধ্যে অন্বয় বা সম্পর্ক স্থাপন করে তাঁকে পদান্বয়ী অব্যয় বলে। উদাহরণ— ‘মাটিয়া পাথর বিনা না আছে সম্বল।’
৭) শ্রেণিবাচক বিশেষ্য কাকে বলে ? দুটি উদাহরণ দিন। বিশেষ্য পদের পাঁচটি প্রকারভেদ লিখুন।
উত্তরঃ শ্রেণিবাচক বিশেষ্য— যে বিশেষ্য পদের দ্বারা ব্যক্তি, বস্তু, প্রাণী বা বিষয়ের সমগ্র শ্রেণি বা জাতিকে বোঝায় তাঁকে শ্রেণিবাচক বিশেষ্য বলে। উদাহরণ— মানুষ, গোরু-বাছুর।
বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ—
ক) সংজ্ঞাবাচক, খ) শ্রণিবাচক, গ) বস্তুবাচক, ঘ) সমষ্টিবাচক, ঙ) গুণবাচক, চ) ভাববাচক ও ছ) ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য ইত্যাদি।
৮) পূরণবাচক বিশেষণ কাকে বলে ? উদাহরণ দিয়ে এর সাথে সংখ্যা বিশেষণের পার্থক্য লিখুন।
উত্তরঃ পূরণবাচক বিশেষণঃ কোনো সংখ্যার ক্রমমাণ নির্দেশ করে যে বিশেষণ তাকে পূরণবাচক বিশেষণ বলে। যেমন- নবম শ্রেণি । তৃতীয় পাণ্ডব ।
পূরণবাচক ও সংখ্যাবাচক বিশেষণের পার্থক্য হল—
ক) সংখ্যা বিশেষণ কোনো সংখ্যার মোট কে বোঝায়। আর পূরণবাচক বিশেষোণ সংখ্যার ক্রমমাণ নির্দেশ করে । যেমন- দশটা দিন— এখানে সংখ্যাবাচক বিশেষণ সংখ্যাবাচক শব্দ বিশেষ্যের সংখ্যা নির্দেশ করে।
আর দশম দিন— এখানে পূরণবাচক বিশেষণ বিশেষ্যের ক্রম নির্দেশ করে।
খ) সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে টি, টা, খানি, প্রভৃতি যোগ করা যায়। উদা— সাতখানা ডিঙ্গি।
পূরণবাচক বিশেষণে ‘ম’/ ‘তম’ ,য়’ ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। যেমন- পঞ্চম , উনিশতম ইত্যাদি।
৯) পদ ও শব্দের দুটি পার্থক্য লিখুন। প্রাতিপাদিক কাকে বলে ? উদাহরণ দিন।
উত্তরঃ পদ ও শব্দের দুটি পার্থক্য হল—
ক) শব্দের বিভক্তিযুক্ত রূপ হল পদ।
আর শব্দ হল বাগ্ধ্বনি বা বাগ্ধ্বনির সমষ্টি (অর্থযুক্ত ধ্বনি সমষ্টি)।
খ) পদের উদাহরণ—রামকে বাজারে যেতে হল। এখানে ‘রামকে’ হল পদ ।
আর শব্দের উদাহরণ হল — রামকে – কে = রাম ।
প্রাতিপাদিক— বিভক্তিহীন নাম শব্দকে বলে প্রাতিপাদিক। যেমন— আমরা সবাই রাজা।
১০) প্রকৃতি কাকে বলে ? শ্রেণিবিভাগ করে দুটি করে উদাহরণ দাও।
উঃ প্রকৃতি— কোনো অর্থবহুল রূপের যে অংশকে বা যে শব্দকে আর কোনো ক্ষুদ্রতম অংশে ভাগ করা যায় না, তাকে প্রকৃতি বলে।
প্রকৃতি দুই প্রকার। যথা— ক) নাম প্রকৃতি বা প্রাতিপাদিক = অথবা, মতো।
খ) ধাতু বা ক্রিয়ামূল = পড়্, কর্।
প্রস্তুতির জন্য আরও পরীক্ষাগুলি দিতে পারোঃ👇
১। সাহিত্যের ইতিহাস প্রাচীন ও মধ্যযুগ) MCQ
৪। কারক অ-কারক SAQ Practice SET
৫। শব্দভাণ্ডার MCQ Practice SET
৬। কাব্যসাহিত্যের ইতিহাস (আধুনিক যুগ) MCQ