কারক অকারক SAQ || কারক বিষয়ক প্রশ্ন || 👇
১। তির্যক বিভক্তি কাকে বলে ? উদাহরণ দাও। এর নাম তির্যক কেন ?
উত্তরঃ তির্যক বিভক্তি: যে বিভক্তি নির্দিষ্ট কারক ছাড়াও অন্য প্রায় সমস্ত কারকে ব্যবহৃত হয় , তাকে তির্যক বিভক্তি বলে। যেমন- ‘এ’ বিভক্তি।
এর নাম তির্যক কেন: সংস্কৃত ব্যকরণের নিয়মে প্রতিটি কারকের বিভক্তি নির্দিষ্ট। কিন্তু এমন বিভক্তি আছে যা সেই নির্দিষ্ট কারক ছাড়াও অন্য বিভক্তির স্থানে ব্যবহৃত হয় । এই তির্যক স্বভাবের জন্যই এই বিভক্তির নাম তির্যক বিভক্তি।
২। অকারক পদ কাকে বলে ? অকারক পদ কত প্রকার ও কী কী ? অকারক পদ কারক নয় কেন ?
উত্তরঃ অকারক পদ: বাক্যে যে সমস্ত বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের সঙ্গে সমাপিকা ক্রিয়ার সরাসরি সম্পর্ক নেই, তাদের অ-কারক পদ বলে। যেমন – কাকা , এই গাছটা কী ?
অকারক পদ কত প্রকার: অ-কারক পদ দুই প্রকার। যথা- সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ।
অকারক পদ কারক নয় কেন: কারক হতে গেলে বিশেষ্য ও সর্বনাম পদগুলির সঙ্গে সমাপিকা ক্রিয়ার সরাসরি সম্পর্ক থাকতে হবে। যেহেতু, অ-কারক পদের সঙ্গে সমাপিকা ক্রিয়ার সরাসরি সম্পর্ক নেই , তাই তারা কারক হতে পারে না ।
৩। কারক কথাটির ব্যুৎপত্তি ও অর্থ লিখ। ভাষাতত্ত্বের কোন শাখায় কারক আলোচিত হয় ?
উত্তরঃ কারক কথাটির ব্যুৎপত্তি: কৃ+অক
কারক কথাটির অর্থ: যে করে অর্থাৎ কার্য সম্পাদনকারী ।
ভাষাতত্ত্বের যে শাখায় কারক আলোচিত হয়: ভাষাতত্ত্বের রূপতত্ত্বে কারক আলোচিত হয়।
৪। চিহ্নিত পদগুলির কারক ও বিভক্তি/অনুসর্গ/নির্দেশক নির্দেশ করঃ-
ক) ছেলেরা ক্রিকেট খেলছে।
খ) মেয়েরা তাস খেলছে।
গ) দরজায় এত ভিড় কিসের গো ?
ঘ) সন্তানের মা মা ডাক সকল মা-ই পছন্দ করেন।
উত্তরঃ
ক) ক্রিকেট= কর্ম কারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
খ) তাস= করণ কারকে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
গ) দরজায়= অধিকরণ কারকে ‘য়’ বিভক্তি।
ঘ) সন্তানের মা মা ডাক= বাক্যাংশ কর্ম ।
৫। নিম্নলিরেখ পদগুলির কারক ও বিভক্তি/অনুসর্গ/নির্দেশক নির্দেশ করঃ-
ক) বিপদে মোরে রক্ষা করো এ নহে মোর প্রার্থনা ।
খ) সাধনায় ঘটে সিদ্ধিলাভ ।
গ) আমরা আজ ডাক্তার দেখালাম।
ঘ) গায়কের গান আর লেখকের লেখা দুটোই সুন্দর।
উত্তরঃ ক) বিপদে = অপাদান কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
খ) সাধনায়= করণ কারকে ‘য়’ বিভক্তি
গ) ডাক্তার= প্রযুক্ত বা প্রযোজ্য কর্তা, শূন্য বিভক্তি।
ঘ) গায়কের= সম্বন্ধ পদে ‘এর’ বিভক্তি।
৬। কী জাতীয় কর্তার উদাহরণ , লেখো ।
ক) বক্তা দর্শকদের বক্তৃতা শোনাচ্ছেন ।
খ) আমার আর যাওয়া হবে না গো ।
গ) গরুতে গাড়ি টানে।
ঘ) ভাইয়ে ভাইয়ে মাঠে ফসল ফলায়।
উত্তরঃ
ক) বক্তা= প্রযোজক কর্তা।
খ) আমার= অনুক্ত কর্তা ।
গ) গরুতে= উক্ত কর্তা ‘তে’ বিভক্তি।
ঘ) ভাইয়ে ভাইয়ে= সহযোগী কর্তা।
৭। অনুসর্গ কথাটির অর্থ কী ? বিভক্তি ও অনুসর্গের দুটি কাজ লেখো। একটি অব্যয়জাত ও একটি ক্রিয়াজাত অনুসর্গের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ অনুসর্গ কথাটির অর্থ: যে পরে বসে।
বিভক্তি ও অনুসর্গের দুটি কাজ: ১) কারক সম্পর্ক গড়ে তোলা।
২) শব্দকে পদে পরিণত করা।
একটি অব্যয়জাত অনুসর্গের উদাহরণ: সঙ্গে ।
একটি ক্রিয়াজাত অনুসর্গের উদাহরণ: দিয়ে ।
৮। উদাহরণ দাওঃ –
ক) সমধাতুজ করণ।
খ) বিষয়াধিকরণ
গ) অপাদান কারকে ‘এ’ বিভক্তি।
ঘ) নিমিত্ত কারক ।
উত্তরঃ
ক) সমধাতুজ করণ: কী বাঁধনে বেধেছ আমায়।
খ) বিষয়াধিকরণ: কাজে আমার মন বসে না।
গ) অপাদান কারকে ‘এ’ বিভক্তি: বিপদে মোরে রক্ষা করো।
ঘ) নিমিত্ত কারক : বাবা কাজে গেলেন।
৯। বাংলা ব্যকরণে সম্প্রদান কারক নেই কেন ? সংস্কৃত ব্যকরণের সম্প্রদান কারকগুলি বাংলায় তা কোন কারকের উদাহরণ হয়- একটি উদাহরণসহ লেখো ।
উত্তরঃ বাংলা ব্যকরণে সম্প্রদান কারক নেই কেন: সংস্কৃত ব্যকরণে কারক সর্বদা বিভক্তির দ্বারা নির্দিষ্ট । তাই কাউকে কিছু স্বত্ব ত্যাগ করে দিলে সম্প্রদান কারকের বিভক্তি বসাতে হয়। কিন্তু বাংলায় স্বত্ব ত্যাগ করে দেওয়ার বিষয়টি উপেক্ষা করা হয় বলে বাংলায় কনোকিছু দিলে তা সম্প্রদান কি না বোঝানোর উপায়(নির্দিষ্ট বিভক্তি) নেই। তাই বাংলায় সম্প্রদান কারক বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক।
সংস্কৃত ব্যকরণের সম্প্রদান কারকগুলি বাংলায় যে কারকের উদাহরণ: সংস্কৃত ব্যকরণের সম্প্রদান কারকগুলি বাংলায় তা গৌণ কর্ম হয়ে থাকে। যেমন- ভিক্ষুককে ভিক্ষা দিলাম।
১০। উদাহরণ দাওঃ –
ক) নিরপেক্ষ কর্তা।
খ) অনুক্ত কর্ম ।
গ) কালাত্মক করণ।
ঘ) দূরত্ববাচক অপাদান কারক।
উত্তরঃ ক) নিরপেক্ষ কর্তা: সূর্য উঠলে অন্ধকার দূর হয়।
খ) অনুক্ত কর্ম: আমি খাবো না। ( এখানে কর্মপদ নেই)
গ) কালাত্মক করণ: সাতদিনে এক সপ্তাহ হয়।
ঘ) দূরত্ববাচক অপাদান কারক: কলকাতা থেকে দিল্লি বেশি দূর।
xxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxx