You are currently viewing ২০২৪ এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য | ভাষা বিষয়ের ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ SAQ প্রশ্নোত্তর | ভাষাবিজ্ঞান ও তার শাখা

২০২৪ এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য | ভাষা বিষয়ের ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ SAQ প্রশ্নোত্তর | ভাষাবিজ্ঞান ও তার শাখা

দ্বাদশ শ্রেণির, ভাষা বিষয়ের, গুরুত্বপূর্ণ ৫০টি SAQ প্রশ্নোত্তর,hs bengali suggestion 2023 pdf, ‘উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন 2024 pdf এর প্রশ্নোত্তর | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৪ | Higher Secondary Bengali Suggestion Question and Answer | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা বিষয়ের সাজেশন অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলির উত্তর PDF Download এর লিঙ্ক নীচে দেওয়া হল। Higher Secondary Bengali বা WBCHSE HS Bengali উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন | HS bengali suggestion 2024 এর জন্য সমগ্র গল্প কবিতা , নাটক ,ভাষা , শিল্প সংস্কৃতির ইতিহাসের প্রশ্ন ও উত্তরের জন্য এই ওয়েবসাইটটি ফলো করো । Higher Secondary Bengali – গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও তার উত্তর দেওয়া হল ।গুরুত্বপূর্ণ ৫০টি SAQ প্রশ্নোত্তর, দ্বাদশ শ্রেণির, ভাষা বিষয়ের।

নীচে pdf ডাউনলোড এর লিঙ্ক দেওয়া আছে।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা MCQ Practice SET || বিনামূল্যে শুধু নাম আর email ID দিয়ে অনলাইন MCQ প্র্যাকটিস করো  https://shekhapora.com/sahitya-charcha-quiz-set-3/

ভাষা বিষয়ের ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ SAQ প্রশ্নোত্তর

১. ভাষাবিজ্ঞান কী ? 

উত্তর:- Linguistics এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো ‘ভাষাবিজ্ঞান’। সামগ্রিকভাবে মানুষের মুখের ভাষার গঠন, প্রকৃতি, পদ্ধতি সম্বন্ধে বিজ্ঞানসম্মত চর্চার নাম ভাষাবিজ্ঞান । 

২. ভাষাবিজ্ঞানের আলোচনায় কোন ভাষার গুরুত্ব বেশি এবং কেন ? 

উত্তর:- পৃথিবীতে সহস্র কোটি মানুষ কথা বলে বা মৌখিকভাবে ভাষা ব্যবহার করে ,যেখানে মাত্র কয়েক শতাংশ মানুষ লিখতে জানে। আবার অজস্র মানুষের মুখে মুখে ব্যবহৃত ভাষা নিয়ত পরিবর্তিত হয়,যেখানে লিখিত ভাষার পরিবর্তন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার । তাই ভাষাবিজ্ঞানের আলোচনায় মৌখিক ভাষার গুরুত্বই বেশি। 

৩. তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান কী ? এই ভাষাবিজ্ঞান এর কাজ কী ? 

উত্তর:- ভাষাবিজ্ঞানের যে  ধারায় বিশেষ কোন ভাষাকে অন্যান্য ভাষার সঙ্গে তুলনা করে বিশ্লেষণ করা হয় তাকে তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞান বলে। 

            তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের কাজ হল – সমগোত্রজ বিভিন্ন ভাষার তুলনামূলক আলোচনার মধ্য দিয়ে তাদের উৎস ভাষা বা মূল ভাষাকে নির্ণয় করা। 

৪. কে কত খ্রিস্টাব্দে তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত করেন ? 

উত্তর:- স্যার উইলিয়াম জোন্স 1786 খ্রিস্টাব্দে তুলনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত করেন। 

৫. রেজিস্টার কী ? 

উত্তর:- উপলক্ষ্য অনুযায়ী ভাষা বা উপভাষার যে বদল ঘটে থাকে ,তাকেই সমাজভাষাবিজ্ঞানী রেজিস্টার বলেন। যেমন – কোনো উপভাষা অঞ্চলের ছাত্ররা স্কুলে মান্য বাংলা ভাষা  বললেও বাড়িতে তারা বাংলার কোন একটি উপভাষাতেই কথা বলে থাকে। অর্থাৎ এখানে স্কুলের ভাষা ও বাড়ির ভাষার এই যে পরিবর্তন সেটাই রেজিস্টার। 

৬. কোড বদল বা কোড সুইচিং  কাকে বলে ? 

উত্তর:- কোন ব্যক্তি বিশেষ উপভাষার যে বিশেষ রীতি ব্যবহার করে তাকে বলে কোড এবং সেই ব্যক্তির ভাষা যদি পরিস্থিতি অনুযায়ী  বদলে নেয় তবে সেই প্রক্রিয়াটিকে বলে কোড-বদল বা কোড-সুইচিং। 

         উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে আমরা বন্ধুদের সাথে কথোপকথনের সময় রাঢ়ী উপভাষায় কথা বলতে বলতে অনেক সময়  প্রয়োজনের তাগিদে  বঙ্গালী উপভাষাতেও কথা বলে থাকি। 

           অর্থাৎ পরিবেশ বা পরিস্থিতি  অনুযায়ী ভাষার এই বদলই হলো- কোড- বদল বা কোড সুইচিং। 

নীচে pdf ডাউনলোড এর লিঙ্ক দেওয়া আছে।

৭.LAD ( ল্যাড) কী ? 

উত্তর:- নোয়াম চমস্কি মানুষের ভাষাশিক্ষার সামর্থ্য বিষয়ে অনুসন্ধান করার সময় তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে তিনি মনে করেন মানব মস্তিষ্কের মধ্যেই তার ভাষা শিক্ষার সামর্থ্য কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে।তাই মস্তিষ্ককে তিনি ভাষা শিক্ষার উপায় বা যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করে এর নাম দিয়েছেন ল্যাড (LAD) বা Language Acquisition Device। 

৮. দ্বিভাষিকতা কাকে বলে ? 

উত্তর:- যখন কোন একটি ভাষাগোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে অন্য কোন মানুষের সঙ্গে অন্য কোন ভাষাগোষ্ঠীর মানুষের সম্পর্ক তৈরি হয় এবং নিজেদের মাতৃভাষার পাশাপাশি নতুন ভাষাগোষ্ঠীর ভাষাকেও মাতৃভাষার মতোই ব্যবহার করে অর্থাৎ দুটি ভাষাই তাদের ভাষা ব্যবহারের অন্তর্ভুক্ত  হয়ে পড়ে ,তখন তাকে বলে  দ্বিভাষিকতা বা Bilingualism। 

৯. লাঙ ও পারোল কী ?  

উত্তর:- ভাষার বিভিন্ন উপাদান যেমন ধ্বনি, রূপ বা শব্দাংশ,বাক্য ইত্যাদি এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে যে সম্পর্কের মূল সংবিধি ও উপাদানগুলির পারস্পরিক সম্পর্কের জালবিন্যাসকে ফেদিনাঁ দ্য সোস্যুর লা বা লাঙ (Langue)বলে অভিহিত করেছেন । 

      আর পারোল (Parole) হলো  লাঙকে মান্য করেও ভাষা ব্যবহারের উপাদান নির্বাচন ও প্রতিস্থাপনের মধ্য দিয়ে নিজস্ব একটি বিন্যাসে যে বাচনক্রিয়া স্পষ্ট ও প্রকট হয়ে ওঠে  সেই বিশেষ বাচনক্রিয়াটি। 

১০. শব্দকল্পদ্রুম কী ? 

উত্তর:- শব্দকল্পদ্রুম একটি সংস্কৃত অভিধান। রাধাকান্ত দেব এই অভিধানটি  সংকলন করেন এবং করুণাসিন্ধু বিদ্যানিধির সম্পাদনায় 1803 খ্রিস্টাব্দ থেকে 1858 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মোট আটটি খন্ডে অভিধানটি প্রকাশিত হয় । সংস্কৃত ভাষায় এমন কোনো শব্দ নেই যা এই অভিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। 

১১. ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় কী ?

উত্তর:- ভাষায় ব্যবহৃত ধ্বনির সমূহের গঠন,প্রকৃতি ও বৈচিত্র ইত্যাদি সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে আলোচনা করে ধ্বনিতত্ত্ব। 

১২. শৈলী ও শৈলীবিজ্ঞান কী ? 

উত্তর:- শৈলী হলো এক ধরনের ব্যতিক্রমী প্রকাশভঙ্গি যা ব্যাকরণ বহির্ভূত কিন্তু যুগপরিবেশে অপরিহার্য। অর্থাৎ একজন লেখকের  মনন, চিন্তন, অনুভব এবং উপলব্ধির নিজস্ব যে রীতি তারই প্রকাশ হলো শৈলী। 

             আর এই শৈলী সম্পর্কে বিধিবদ্ধ আলোচনাই হলো শৈলীবিজ্ঞান। 

১৩. শৈলী বিচার করার ক্ষেত্রে কোন কোন প্রকরণ গুলি ব্যবহার করা হয় ? 

উত্তর:- শৈলী বিচারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রকরণ গুলি হল- প্রমুখন , বিচ্যুতি, সমান্তরালতা, কোড-বদল বা সংকেত বদল এবং বহুস্বরতা  বা বহুধ্বনিমমতা। 

১৪.’Dictionary’ শব্দটি কবে ও কোথায় পাওয়া যায় ? 

উত্তর:- 1538 সালে স্যার থমাস এলিয়েটের ‘ল্যাটিন- ইংরেজি অভিধানে’ ইংরেজি ‘Dictionary’ শব্দটি প্রথম পাওয়া যায় । 

১৫.ধ্বনিবিজ্ঞান ও ধ্বনি তত্ত্বের মধ্যে পার্থক্য কী ? 

উত্তর:- ধ্বনিবিজ্ঞান ও ধ্বনিতত্ত্ব   উভয়েরই কাজ ধ্বনি বিশ্লেষণ হলেও 

         ∆ ধ্বনিবিজ্ঞান বাগধ্বনির উচ্চারণগত, শ্রুতিগত ও ধ্বনিতরঙ্গগত  বিশ্লেষণ করে আর ধ্বনিতত্ত্ব একটি ভাষার বাগধ্বনিগুলি সেই ভাষায় কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করে। 

           ∆ ধ্বনিবিজ্ঞান ধ্বনির সাধারণ সূত্র তৈরি করে আর ধ্বনিতত্ত্ব একটি বিশেষ ভাষার ধ্বনির স্বরূপ কে সাধারণ সূত্রে বিশ্লেষণ করে। 

১৬. গুচ্ছ ধ্বনি কাকে বলে ? দুটি গুচ্ছ ধ্বনির উদাহরণ দাও। 

উত্তর:- পাশাপাশি উচ্চারিত দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি সমাবেশকে গুচ্ছ ধ্বনি বলে। 

       ∆ দুটি গুচ্ছ ধ্বনির উদাহরণ হল-  বস্তা ও কম্বল। 

১৭. যুক্ত ধ্বনি বলতে কী বোঝো ? বাংলায় যুক্ত ধ্বনির সংখ্যা কত ? 

উত্তর:- যে ব্যঞ্জনধ্বনির সমাবেশগুলি শব্দের আদ্য অবস্থানে বা দলের আদিতে উচ্চারিত হতে পারে সেগুলিকে যুক্তধ্বনি বলে। যেমন – প্র, স্পৃ, ধ্র ইত্যাদি ।

           ∆বাংলা  ভাষার নিজস্ব যুক্ত ধ্বনির সংখ্যা -28 টি ।এছাড়া ইংরেজি ভাষা থেকে আরও 18 টি যুক্ত ধ্বনি বাংলায় সংযুক্ত হয়েছে। 

১৮. রূপমূল বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও। 

উত্তর:- ভাষার অর্থ যুক্ত ন্যূনতম অংশ হলো রূপমূল। বাগযন্ত্রের এক বারের চেষ্টায় পদের যে ন্যূনতম অর্থযুক্ত অংশ উচ্চারিত হয় তাকেই বলে  রূপমূল। যেমন -‘সুগন্ধ’ এই শব্দটিতে ‘সু’ ও ‘গন্ধ’ এই দুটি হলো রূপমূল। কারণ -এই  শব্দ দুটি র অর্থ আছে। 

১৯. প্রাতিপাদিক কী ? 

উত্তর:- মৌলিকভাবে প্রদান করে এমন অবিভাজ্য পদ বা পদের অংশই হচ্ছে প্রকৃতি আর পদ বা ধাতুর সঙ্গে যে ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টি  যুক্ত হয়ে নতুন পদ গঠন করে তাকে বলে প্রত্যয়। এই প্রকৃতি এবং প্রত্যয় মিলেই গঠিত হয় প্রাতিপাদিক বা স্টেম। অর্থাৎ শব্দের বিভক্তিহীন চেহারাই হল প্রাতিপাদিক। অভিধানে আমরা শব্দের এই প্রাতিপাদিক চেহারাই দেখতে পাই। 

২০. শূন্য রূপমূল বলতে কী বোঝো ? 

উত্তর:- বাংলা ভাষায় এমন কতগুলো রূপ আছে যেগুলোকে চোখে দেখা না গেলেও বোঝা যায় সেই রূপ গুলোকেই  বলে শূন্য রূপ বা শূন্য রূপমূল। শূন্য রূপমূল এর সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হল -শূন্য বিভক্তি। যেমন-

 আমি বাড়িতে যাব 

       আর 

আমি বাড়ি যাব । 

(–এই  বাক্য দুটির মধ্যে কোন অর্থগত পার্থক্য নেই । তফাৎ শুধুমাত্র  বাক্য গঠনে । প্রথম বাক্যে   ‘বাড়ি’ পদটির   সঙ্গে ‘তে’ বিভক্তি যুক্ত রয়েছে এবং দ্বিতীয় বাক্যে আপাতদৃষ্টিতে কোন বিভক্তি যুক্ত না থাকলেও  পদটির অর্থ সম্পন্ন করতে পারছে।  অর্থাৎ আমরা বলতে পারি  ‘বাড়ি ‘পদটির সঙ্গে ‘শূন্য’ বিভক্তি জুড়ে আছে । যেহেতু উচ্চারণের স্তরে রূপ অনুপস্থিত সেই কারণে এদের শূন্য রুপ বা শূন্য রূপমূল বলা হয়। ) 

২১. সংক্ষেপিত পদ বা  ক্লিপিংস কী ?  

উত্তর:- ক্লিপিংস বা সংক্ষেপিত পদ হল -এমন এক ধরনের প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ায় শব্দের চেহারার পরিবর্তন ঘটে এবং শব্দটি আকারে ছোট হয়ে যায় অথচ শব্দের অর্থগত বা ব্যাকরণগত কোন পরিবর্তন ঘটে না। যেমন টেলিফোন >ফোন ,এরোপ্লেন> প্লেন, মাইক্রোফোন >মাইক ইত্যাদি। 

২২. ক্র্যানবেরি রূপমূল কাকে বলে ? 

উত্তর: ক্রানবেরি রূপমূল হল এমন এক ধরনের পরাধীন রূপমূল যে রূপমূলের কোনো আভিধানিক ও ব্যাকরণসম্মত অর্থ থাকে না অথচ একটি শব্দ কে অন্য শব্দের থেকে পৃথক করতে পারে। যেমন -আলাপ, বিলাপ ,প্রলাপ সংলাপ । এই শব্দগুলোর ‘লাপ’  অংশটি ক্র্যানবেরি রূপমূল এর অন্তর্গত। 

২৩. মিশ্র রূপমূল কাকে বলে ?  একটি উদাহরণ দাও। 

উত্তর:- দুটি মুক্ত বা স্বাধীন রূপমূলের সমন্বয়ে যখন একটা পদ তৈরী হয় এবং সেই পদের অর্থ শব্দে উপস্থিত দুটি রূপের অর্থের থেকে আলাদা ভাবে প্রকাশিত হয়, তখন সেই রূপের সমবায়কে মিশ্ররূপমূল বলে। যেমন- গঙ্গাফড়িং, শাসনকাল । 

২৪. বর্গান্তর কী ? 

উত্তর:- যখন কোন শব্দ এক পদ থেকে অন্য পদে পরিবর্তিত হয়ে চেহারার কোনো পরিবর্তন ঘটে সেই প্রক্রিয়াকে বলে বর্গান্তর ।যেমন- ‘রমানাথবাবু একজন ধনী ব্যক্তি ‘। এখানে ‘ধনী’ শব্দটি হল- বিশেষণ পদ। কিন্তু যখন বলছি ‘ধনী মাত্রই অহংকারী হয় না ‘ তখন ‘ধনী’ শব্দটি হয়ে যাচ্ছে বিশেষ্য পদ। 

২৫. জটিল রূপমূল কাকে বলে? উদাহরণ দাও। 

উত্তর:- দুইয়ের বেশি রূপমূলের সমবায় কে জটিল রূপমূল বলে ।যেমন -জাতীয়তাবাদ , অসহযোগিতা। 

২৬. আভিধানিক রূপমূল কাকে বলে ? উদাহরণ দাও। 

উত্তর:- যে সমস্ত রূপমূল এর অভিধানসম্মত অর্থ খুঁজে পাওয়া যায় তাদের আভিধানিক রূপমূল বলা হয়। যেমন -বাঁশি ,রিকশা ,খেলনা  ইত্যাদি। 

২৭. বাংলায় দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি সমাবেশে তৈরি গুচ্ছধ্বনির সংখ্যা এবং চারটি ব্যঞ্জনধ্বনির সমাবেশে তৈরি গুচ্ছধ্বনির সংখ্যা কত ? 

উত্তর:- বাংলায় দুটি ব্যঞ্জনধ্বনি সমাবেশে তৈরি গুচ্ছ ধ্বনির সংখ্যা  200 টির বেশি এবং চারটি ব্যঞ্জনধ্বনির সমাবেশে তৈরি গুচ্ছ ধ্বনির সংখ্যা বাংলায় মাত্র ১টি ।তা হলো ‘সংস্কৃত’ শব্দটি। 

২৮. কু-উপসর্গ এবং অ- উপসর্গযোগে সৃষ্ট দুটি করে শব্দ লেখ।  

উত্তর:–কু- উপসর্গযোগে সৃষ্ট দুটি শব্দ হলো কুসংস্কার ও কুকাজ। 

এবং অ- উপসর্গযোগে সৃষ্ট দুটি শব্দ হলো অবেলা ও অচেনা। 

২৯. অনুকার পদ কাকে বলে? উদাহরণ দাও। 

উত্তর:- বাংলা ভাষায় এমন কিছু পদ আছে যেগুলি মূলধ্বনির প্রতিধ্বনি হিসেবে বসে, যাদের নির্দিষ্ট কোন অর্থ থাকে না  এবং যে পদ গুলি মূল পদের ছায়া হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হয় তাদের অনুকার পদ বলে। যেমন -‘টুপটাপ এই শব্দটিতে অনুকার পদ হল- ‘টাপ’। 

৩০. রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় কী ? 

উত্তর:- শব্দের নানা দিক যেমন -তার গঠন, শ্রেণীবিভাগ, রূপবৈচিত্র্য সাধনের নানা উপাদান যেমন-প্রত্যয় ,বিভক্তি ,লিঙ্গ ,বচন ,পুরুষ,সমাস, ক্রিয়ার কাল,ক্রিয়ার ভাব প্রভৃতি রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।

৩১. শুদ্ধ ও পূর্ণাঙ্গ বাক্যগঠনের ত্রিশর্ত কী কী ?

উত্তর:- শুদ্ধ ও পূর্ণাঙ্গ বাক্যগঠনের ত্রিশর্তগুলি হল- যোগ্যতা, আকাংক্ষা ও আসত্তি । 

৩২.ক্রেওল কী ? 

উত্তর:- মরিসাস দ্বীপে ফারসি ভাষার সঙ্গে নিগ্রো ভাষার মিশ্রণে গঠিত মিশ্র ভাষাটি হল ক্রেওল।

৩৩.পিজিন কী ? 

উত্তর:- চিন সমূদ্রতীরে ব্যবসার সূত্রে ইউরোপিও ইংরেজি ভাষার মিশ্রণে গঠিত মিশ্র ভাষার নাম পিজিন ইংলিশ । কথাটির উৎস Business-English । চিনা উচ্চারণে পিজিন ইংলিশ বা সংক্ষেপে পিজিন। 

৩৪.ভাষাকে কে, কেন “চিন্তার পোশাক”(The Dress of Thought)  বলে উল্লেখ করেছেন ? 

উত্তর:- একজন লেখক তাঁর চিন্তাভাবনাকে ভাষার মাধ্যমে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলেন বলে ভাষাবিদ স্যামুয়েল ওয়েলেসলি ভাষাকে “চিন্তার পোশাক”(The Dress of Thought) বলে অভিহিত করেন। 

৩৫.উপসর্গ কাকে বলে ? 

উত্তর:- শব্দ বা ধাতুর পূর্বে যে অব্যয় বসে নতুন অর্থযুক্ত শব্দ গঠন করে , তাদের উপসর্গ বলে। 

যেমন- প্র- -হার = প্রহার, প্রতি–দান= প্রতিদান — এখানে “প্র” এবং “প্রতি” হল উপসর্গ। 

৩৬. প্রত্যয় কাকে বলে ? 

উত্তর:- যে বর্ণ বা বর্ণগুচ্ছ ধাতু বা শব্দের পরে বসে নতুন অর্থযুক্ত শব্দ গঠন করে , তাদের প্রত্যয় বলে । 

যেমন- কৃ+তব্য= কর্তব্য, দাদা+গিরি=দাদাগিরি — এখানে “তব্য” এবং “গিরি” হল প্রত্যয়। 

৩৭. ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্য লিখ । 

উত্তর:- ধ্বনি হল ভাষার উচ্চারণযোগ্য একক। আর বর্ণ হল ধ্বনির লিখিত রূপ । ধ্বনিকে খাতায় লিখে দেখানো যাবে না । মুখে উচ্চারণ করে বা রেকর্ড করে শোনাতে হয়। কিন্তু বর্ণ লিখে দেখানো যায় । যেমন– ক, খ, ও ই ইত্যাদি। ধ্বনি কানে শোনা যায় আর বর্ণ চোখে দেখা যায়। 

৩৮.খণ্ড ধ্বনির অপর নাম কী ? খণ্ডধ্বনির উদাহরণ দাও। 

উত্তর:- খণ্ড ধ্বনির অপর নাম বিভাজ্য ধ্বনি। 

যেমন- যে ধ্বনিকে খণ্ড খণ্ড করে বিভাজিত করে দেখানো যায়। তুমি= ত+উ+ম+ই — এই “ত”, “উ”, “ম”, “ই” হল খণ্ড ধ্বনির উদাহরণ । 

৩৯.সুরতরঙ্গ কী ? 

উত্তর:- বাক্যে সুরের ওঠাপড়াকে সুরতরঙ্গ বলে। 

যেমন- মিঠু কাল স্কুলে যাবে। 

           মিঠু কাল স্কুলে যাবে ?  এখানে দুই বাক্যে আলাদা আলাদা শব্দে জোর দেওয়ায় সুরতরঙ্গের পার্থক্য ঘটেছে। 

৪০. শ্বাসাঘাত কাকে বলে ? 

উত্তর:– একাধিক দলযুক্ত শব্দের কোনো একটি দলকে বেশি জোর দিয়ে উচ্চারণ করার পদ্ধতিকেই বলা হয় শ্বাসাঘাত। যেমন- দিদি, আম শব্দ দুটিতে প্রথম অক্ষর যথাক্রমে “দি” , “আ” তে শ্বাসাঘাত পড়েছে।  

৪১. ন্যূনতম শব্দজোড় বলতে কী বোঝায় ? 

উত্তর:– দুটি ভিন্ন শব্দের মধ্যে যদি ন্যূনতম একটি ধ্বনিমূলের পার্থক্য থাকে তবে সেই দুটি শব্দকে ন্যূনতম শব্দজোড় বলে। যেমন-  জাল ও জাম । এই দিটি শব্দে ন্যূনতম একটি ধ্বনিমূল [ল] ও [ম] এর পার্থক্য রয়েছে।  

৪২. প্রকৃতি কাকে বলে ? কত প্রকার ও কী কী ? 

উত্তর:– মৌলিক ভাব বঝায় এমন পদ বা পদাংশই হল প্রকৃতি । প্রকৃতি দুই প্রকার । যথা- নাম প্রকৃতি (যেমন- জল, বই) ও ধাতু প্রকৃতি(যেমন যা, চল) । 

৪৩. মুণ্ডমাল শব্দ কাকে বলে উদাহরণ দাও । 

উত্তর:– একটি শব্দগুচ্ছের প্রতিটি শব্দের আদি ধ্বনিগুলি নিয়ে যে শব্দ তৈরি হয় তাকে মুণ্ডমাল শব্দ বলে । যেমন- VIP( Very Important Person) , প.ব.ম.শি.প (পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ) 

৪৪. সমাস কাকে বলে ? উদাহরণ দাও।

উত্তর:– পরস্পর অর্থ সম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একপদীকরণকে সমাস বলে। যেমন-  পিতা ও মাতা = পিতা-মাতা , পথের রাজা =রাজপথ  

৪৫. একটি সরল বাক্যে ক’টি উদ্দেশ্য ও ক’টি বিধেয় থাকে ?  

উত্তর:– একটি সরল বাক্যে একটি উদ্দেশ্যে ও একটিই বিধেয় থাকে। 

৪৬. বাংলা ভাষাকে SOV ভাষা বলার কারণ কী ? 

উত্তর:– ইংরেজি ভাষায় বাক্যের পদ সাজানোর নিয়ম Subject-Verb-Object ( কর্তা- ক্রিয়া- কর্ম) । কিন্তু বাংলায় হয় কর্তা- কর্ম- ক্রিয়া অর্থাৎ Subject-Object-Verb যার সংক্ষেপ SOV | বাংলা ভাষার পদক্রম SOV  . 

৪৭.সঞ্জননী ব্যাকরণ কাকে বলে ? সংবর্তনী সঞ্জননী ব্যাকরণ কথাটি কার গবেষণারীতিতে ব্যবহৃত হয় ?  

উত্তর:-সমস্ত বাক্য কীভাবে সঞ্জাত হয় তাঁর খবর দেয় যে ব্যাকরণ , তাকে বলে সঞ্জননী ব্যাকরণ । 

সংবর্তনী সঞ্জননী ব্যাকরণ কথাটি নোয়াম চমস্কি প্রবর্তিত গবেষণায় ব্যবহৃত হয়েছে। 

৪৮. বাক্যের অব্যবহিত উপাদান বিভাজনের নীতিগুলি কী কী ? 

উত্তর:– বাক্যের অব্যবহিত উপাদান বিভাজনের নীতিগুলি হল – অভ্যন্তরীণ ঐক্য , অভ্যন্তরীণ বৈচিত্র্য ও স্বাধীনতা । 

৪৯. পদগঠনের চরিত্র অনুযায়ী সমাস কত প্রকার ও কী কী ? 

উত্তর:-পদগঠনের চরিত্র অনুযায়ী সমাস তিন প্রকার। যথা- দ্বন্দ্ব সমাস, ব্যাখ্যা্নমূলক  সমাস ও বর্ণনামূলক সমাস। 

৫০. মুখের মান্য বাংলায় স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনির সংখ্যা কত ? 

উত্তর:-মুখের মান্য বাংলায় স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনির সংখ্যা যথাক্রমে- ৭ ও ৩০ । 

ভাষা বিষয়ের ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ SAQ প্রশ্নোত্তরের PDF টি 👇 DOWNLOAD করে নাও।
  • দ্বাদশ শ্রেণি বা এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য বাংলা বিষয়ের সাজেশন ও বড় প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়া আছে । shekhapora.com এই Website এ। তোমরা দেখে নিতে পারো । 
  • এছাড়াও শুধু নাম আর email ID দিয়ে MCQ প্র্যাকটিস করে নিতে পারো অনলাইনেই ।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা MCQ Practice SET || বিনামূল্যে শুধু নাম আর email ID দিয়ে অনলাইন MCQ প্র্যাকটিস করো  https://shekhapora.com/sahitya-charcha-quiz-set-3/

@ গুরুত্বপূর্ণ আরও কয়েকটি বিষয় দেখে রাখো @

পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতা

ভারতবর্ষ গল্পের প্রশ্নোত্তর 

‘কে বাঁচায় কে বাঁচে ‘ গল্পের বড় প্রশ্ন 

‘অলৌকিক’ গল্পের প্রশ্নোত্তর 

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতার গুরুত্বপূর্ণ৩ টি প্রশ্নোত্তর

‘ভাত’ গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর  

বিভাব নাটকের বড় প্রশ্ন উত্তর 

বাংলা গানের ধারা প্রশ্নোত্তর 

‘আমি দেখি’ কবিতার প্রশ্নোত্তর

‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতার বড় প্রশ্ন 

Leave a Reply