বাংলা ভাষা বিষয়ের পেডাগগি থেকে এখানে আজ ভাষার বিকাশ ও শিক্ষণ প্রণালী আলোচনা করা হল। বাংলা পেডাগগি pdf | language pedagogy with pdf download .
নিচে PDF file ডাউনলোড এর জন্য লিঙ্ক দেওয়া আছে।
প্রাক্-প্রাথমিক স্তরে ভাষা শিক্ষাদানের পদ্ধতিঃ (pre-Primary Stage) :
প্রাক-প্রাথমিক স্তরঃ ৬ সপ্তাহ বয়স থেকে ৬ বছর বয়সী- এমন একটি শিক্ষামূলক সার্ভিস যা পিতামাতারা তাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (শিশুদের) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আগে ভর্তি করতে পারেন। কিন্ডারগার্টেন বয়সের চেয়ে কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য পরিষেবাগুলি সংজ্ঞায়িত করতে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষত যেসব দেশে কিন্ডারগার্টেন বাধ্যতামূলক। প্রাক-প্রাথমিক প্রোগ্রামটি একটি নার্সারি স্কুলে হয়।
[ কিন্ডারগার্টেনঃ (মার্কিন) ৫ থেকে ৬ বছর বয়সী – একটি নার্সারী স্কুলে এবং কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের অনেক জায়গায় (ইংরেজি ভাষী দেশগুলিতে কম) এটি আনুষ্ঠানিক শিক্ষার প্রথম পর্যায়কে বোঝায়। ]
**এই পর্বে শিক্ষার্থীদের বৈজ্ঞানিক ও মনস্তাত্ত্বিক পদ্ধতিতে শিক্ষাদান করতে হবে।নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে এই পর্বে ভাষা শিক্ষা দান সংগতঃ
১।প্রথমে শেখাতে হবে ভাষা ও পরে বর্ণমালাঃ
কয়েকটি অতি পরিচিত শব্দ বেছে নিয়ে সেগুলিকেই লিখতে শেখাতে হবে। মা,
বাবা, ভাই, দিদি, কাকা প্রভৃতি পরিচিত শব্দ ব্যবহার করে এগুলিই লিখতে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। বর্ণানুক্রমিক পদ্ধতিতে বর্ণমালা শেখানোর দরকার নেই। এরপর ছোটো ছোটো শব্দ দিয়ে বাক্যগঠন কৌশল শেখাতে হবে।
২। ইন্দ্রিয় সচেতনতার শিক্ষা :
বাগযন্ত্র, কান, চোখ, নাক যথাযথ ব্যবহারে শিশুদের দক্ষ করে তুলতে হবে। কোন্ বর্ণ কীভাবে উচ্চারিত হবে।
যা বলা হচ্ছে তা কানে যথাযথ ভাবে শুনতে পাচ্ছে কিনা ? যা দেখানো হচ্ছে তা ঠিক বলতে পারছে কিনা। কোন্ ফুলের কী গন্ধ, তা সঠিক বুঝতে পারছে কিনা— তা জেনে নিতে হবে।
৩। শব্দের প্রতীক সম্পর্কে যথার্থ উপলব্ধি :
কোন্ শব্দ কোন্ বস্তুর প্রতীক তা শিশুদের জানিয়ে দিতে হবে। আশেপাশের প্রায় সমস্ত জিনিসের নাম তারা জানতে চায়, এ বিষয়ে তাদের সাহায্যে করতে হবে। তবে বর্তমানে অবশ্য দূরদর্শনের কল্যাণে শিশুরা অপেক্ষাকৃত কম সময়ে বহু শব্দের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে।
প্রাথমিক স্তরে ভাষা শিক্ষাদানের পদ্ধতিঃ (Primary Stage) :{বাংলা পেডাগগি}
এই স্তরে শিক্ষার্থীদের গড় বয়স ছয় থেকে দশ বছর। তারা তখন প্রাথমিক স্তরে অর্থাৎ প্রথম দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এই পর্বে তারা সম্পূর্ণভাবে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। তারা ভাষা ব্যবহারেও দক্ষ হয়ে উঠেছে। শব্দ সংখ্যাও
যথেষ্ট বেড়েছে। এই পর্বে শিক্ষার্থীদের বেশি কথা বলার প্রবণতাও লক্ষণীয়। তাদের এই কথা বলার প্রবণতা ও নিরন্তর জিজ্ঞাসার আগ্রহকে উৎসাহ দিতে হবে, দমিয়ে রাখলে চলবে না। শুধু তাই নয়, তাদের জিজ্ঞাসার সঠিক উত্তরও দিতে হবে।
এই পর্বে তাদের কয়েকটি বিষয়ের ওপর নজর দিতে হবে —
১। উপযুক্ত শব্দ ব্যবহার যাতে করতে পারে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
২। উচ্চারণে কোনো সমস্যা থাকলে তা দূর করতে হবে।
৩। বানান যাতে শুদ্ধ ভাবে লিখতে পারে তা দেখতে হবে।
৪। ছন্দ ও যতি মেনে যাতে পড়তে পারে— সেটা শিখিয়ে দিতে হবে।
৫। নিজে যাতে কিছু বানিয়ে লিখতে পারে সে ব্যাপারে উৎসাহ দিতে হবে।
৬। সংযুক্ত ব্যঞ্জনগুলি যাতে স্পষ্ট ভাবে ও শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে পারে তা দেখতে হবে।
৭। কোন্ কোন্ বর্ণের ক্ষেত্রে মাত্রা দিতে হয় বা দিতে হয় না সেটা জানিয়ে দিতে হবে।
৮। ‘র’ ও ‘ড়’ উচ্চারণ যেন যথাযথ হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। যেমন— বই পড়া ও কাপড় পরা প্রভৃতি।
৯। সুন্দর হস্তাক্ষর যেন হয়, তা দেখতে হবে।
১০। নানা ফল, পাখি প্রভৃতি আঁকার সময় সাহায্য করা দরকার।
প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা : (Bengali Pedagogy )
মাতৃভাষা ভিন্ন অন্য ভাষার ক্ষেত্রে : মাতৃভাষা যেমন শুনে শুনে শিক্ষা করা যায়, বলতে বলতে শুনতে শুনতে যেমন সেটা আয়ত্ত হয়ে আসে, মাতৃভাষা ভিন্ন অন্য ভাষার ক্ষেত্রে একটু সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে শিশুশিক্ষার্থীরা ইংরেজিতে বা অন্য কোনো ভাষায় কিছু শব্দের সঙ্গে পরিচিত হলেও তা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অসুবিধা দেখা দেয়। মাতৃভাষার মতো তা সহজে বোধগম্য বা আয়ত্ত হয় না। এক্ষেত্রে আর স্বতঃস্ফূর্ত শিখন (spontaneous) নয়, এর জন্য অনুশীলন আবশ্যক। মাতৃভাষা ভিন্ন অন্য কোনো ভাষা ব্যবহারের জন্য শুধু vocabu-lary শিখলে চলবে না, জানতে হবে প্রয়োগ কৌশলও। এজন্য সংশ্লিষ্ট ভাষার ব্যাকরণ শেখাও জরুরি। একে language learning বলে। তবে এ ব্যাপারটা একটু ধীরে ধীরে করতে হয়। অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দ্বারাই প্রাথমিক পর্বে ইংরেজি প্রভৃতি ভাষা শিক্ষা দেওয়া দরকার।
প্রাথমিক স্তরে ভাষা শিক্ষাদানের বিভিন্ন পদ্ধতি (Principles of Lan-guage teaching in Primary Stage) :
ভাষা শিখনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্তর একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়। এই পর্যায়ে মনস্তাত্ত্বিক ভিত্তিতে শিক্ষাদান করতে হবে। শিশু মনস্তত্ত্বকে ভিত্তি করে নিম্নোক্ত শিক্ষা পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করতে হবে।
পদ্ধতিগুলি হল—
১। বর্ণক্রম পদ্ধতি (Alphabetic Method) বা স্বরবিধি পদ্ধতি (Phonic Method)
। শব্দক্রম পদ্ধতি (Word Method)
৩। বাক্যক্রম পদ্ধতি (Sentence Method)
৪। ধ্বনি সাম্য পদ্ধতি (Phonetic Method)
৫। গল্প বলা পদ্ধতি (Story-telling Method)
৬। দেখা ও বলা পদ্ধতি (Look & Say Method)
৭। আবৃত্তি পদ্ধতি (Recitation Method)
৮। লিঙ্গাফোন পদ্ধতি (Linguaphone Method)
পদ্ধতিগুলি আলোচনা করা হলঃ —
(১) বর্ণক্রম পদ্ধতি বা স্বর বিধি পদ্ধতি (Alphabetic or Phonical Method) :
ভাষা শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে এটি দীর্ঘ প্রচলিত পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে শিশু শিক্ষার্থীকে একের পর এক বর্ণ শিক্ষা দেওয়া হয়। প্রথমে স্বরবর্ণ ও পরে ব্যঞ্জনবর্ণ। এরপর মাত্রা চিহ্নগুলি উদাহরণ সহযোগে শিক্ষা দেওয়া হয়। বর্ণ শেখাবার সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বর্ণগুলির যথাযথ উচ্চারণ ব্যাপারেও শিক্ষা দেওয়া হয়। বর্ণগুলি ভালোভাবে আয়ত্ত হবার পর তাদের ছোটো ছোটো পরিচিত শব্দ শিক্ষা দেওয়া হয়। হঠাৎ করে কোনো
বিশেষ অপরিচিত বা কঠিন শব্দ প্রয়োগ করা যাবে না। এই পদ্ধতিতে শিক্ষাদান অবৈজ্ঞানিক ও মনস্তত্ত্ব বিরোধী হলেও এই পদ্ধতির প্রচলন সর্বাধিক।
এই পদ্ধতিতেশিক্ষা দেবার সময় কয়েকটি ব্যাপারে নজর দেওয়া একান্ত জরুরি। সেগুলি হলঃ–
(ক) স্বরবর্ণমালা থেকে ‘৯’-কে বর্জন করতে হবে।
(খ) প্রত্যেকটি বর্ণের যথাযথ উচ্চারণ হবে। যেমন—হ্রস্ব-ই কার, দীর্ঘ-ঈ-কার, হ্রস্ব-উ-কার, দীর্ঘ-উ-কার, বর্গীয় জ, অন্তস্থ য, তালব্য শ, মূর্ধন্য ষ, দন্ত্য স, মূর্ধন্য ণ, দন্ত্য ন প্রভৃতি।
(গ) সংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণগুলির যথাযথ উচ্চারণ শেখাতে হবে। যেমন- বিজ্ঞান, জ্ঞান।
ঞ + জ = ইয়োয় বর্গীয় জ—খঞ্জ, গঞ্জ প্রভৃতি।
(২) শব্দক্রম পদ্ধতি (Word Method) :
একেবারে পরিচিত শব্দ ধরে ধরে ধীরে ধীরে পরিচিত করাতে হবে। যেমন-
‘অ’ দিয়ে কিছু শব্দ : অমল, অজয়, অভয়, অপর।
‘আ’—আম, আমরা, আমাদের, আজ, আয়, আলু, আখ, আকাশ প্রভৃতি।
MCQ Practice SET 👉 Child development & Pedagogy
এক্ষেত্রে আরও কয়েকটি কাজ করা একান্তই জরুরি—
(ক) শুধু শব্দ জানালে হবে না শব্দের অর্থও জানাতে হবে।
(খ) একই শব্দের অনেক অর্থ হয়—যে ক-টা জানানো দরকার তা জানাতে হবে।
(গ) শব্দের ব্যবহার ব্যাপারটা জানালে ভালো।
(৩) বাক্যক্রম পদ্ধতি (Sentence Method) :
এই পদ্ধতিতে শিশুর পরিচিত শব্দগুলি নিয়ে ছোটো ছোটো বাক্য গঠন করার কৌশল শেখাতে হবে। যেমন-
আমি ভাত খাই।
দাদা স্কুলে যাবে।
সে মামাবাড়ি যাবে।
আমার ঘুম পেয়েছে।
দেখতে হবে :
(ক) শিক্ষার্থী ঠিক ঠিক লিখছে কিনা।
(খ) প্রত্যেকটি বর্ণ যথাস্থানে বসিয়েছে কিনা।
(গ) লেখার ব্যাপারে কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা।
(ঘ) সে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পড়তে লিখতে পারছে কিনা।
৪। ধ্বনিসাম্য পদ্ধতি (Phonetic Method) :
প্রত্যেকটি বর্ণের উচ্চারণস্থান নির্দিষ্ট ও বিভিন্ন বর্ণের মধ্যেও ধ্বনি-সামঞ্জস্য বিদ্যমান। তাই বিভিন্ন শব্দের মধ্যে ধ্বনি সাম্যও লক্ষ করা যায়। এই ধ্বনিসাম্যযুক্ত শব্দগুলিকে নির্বাচন করে ভাষা শিক্ষা দিতে হবে। যেমন—জল, ফল, কল, চল, মল ইত্যাদি। নাম, জাম, রাম, ঘাম, বাম প্রভৃতি।
৫। গল্প বলা পদ্ধতি (Story telling Method) :
গল্প শোনার প্রতি মানুষের চিরন্তন আগ্রহ। শিশুরাও গল্প শুনতে ভালোবাসে। তাদের এই গল্প শোনার অভ্যাসকে কাজে লাগাতে হবে। গল্পগুলি হবে শিক্ষামূলক, হবে সহজ ও সরল, থাকবে চিত্রধর্মিতা, গল্পের বিষয়বস্তু ও আয়তন শিশুদের বয়সের উপযোগী হবে। গল্প নানা ধরনের হতে পারে। গল্প যেন শিশুশিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করতে পারে। গল্পটি শোনার পর তাদের প্রতিক্রিয়াও জানা যেতে পারে।
৬। দেখা ও বলা পদ্ধতি (Look and Say Method) :
এই পদ্ধতিতে নানারকম ছবির সাহায্যে শিক্ষার্থীদের বাংলা শিক্ষা দেওয়া হয়। শিশুকে কোনো ছবি/বস্তু, প্রাণী, গাছ, ফুল প্রভৃতির ছবি দেখানো হয়। ছবি দেখে শিক্ষার্থীকে সেগুলির নাম বলতে বলা হয়। তারা না পারলে শিক্ষক সহযোগিতা করবেন। শিক্ষককে বারবার উচ্চারণ করে বস্তুটির ধ্বনিরূপ শিক্ষার্থীর অন্তরে গেঁথে দিতে হবে। এর ফলে তারা ওই বস্তুটি সম্পর্কে সম্যকভাবে অবহিত হবে।
৭। আবৃত্তি (Recitation) :
ছড়া সহজেই শিশুদের আকর্ষণ করে। শিক্ষার্থীদেরও ধীরে ধীরে আবৃত্তি শেখাতে হবে। শিক্ষকদেরও আবৃত্তি শেখা খুব দরকার। সুষ্ঠু উচ্চারণ, শ্বাসাঘাত, ছন্দ, যতিচিহ্ন লক্ষ্য রেখে আবৃত্তি করতে হবে। এক্ষেত্রে সহজপাঠ খুবই উপকারী। শিক্ষকের স্পষ্ট ও যথার্থ উচ্চারণ শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করবে।
৮। লিঙ্গাফোন পদ্ধতি (Linguaphone Method) :
কিছু কিছু বিশুদ্ধ পাঠ-পরিকল্পনা রেকর্ড করে রাখা হয়। এতে শব্দের ও বর্ণের বিশুদ্ধ উচ্চারণ থাকে। শিক্ষার্থীদের বারবার ওইগুলি শোনালে তারাও বিশুদ্ধ উচ্চারণে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে।
মোটামুটি এগুলি হল প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষাদানের বিভিন্ন পদ্ধতি। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের চাহিদা, রুচি, বয়স ও সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের শিক্ষা দেবেন। পাঠদান করাকালীন পাঠ-পরিকল্পনা ও শিক্ষা সহায়ক উপকরণ (Teaching-aids) ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।
শিক্ষা সহায়ক উপকরণ তৈরি ও প্রয়োগ ব্যাপারে দু-একটি কথা জানা দরকার। সেগুলি হলঃ
১। প্রস্তুত ছবি ও চার্টগুলি যেন যত্ন করে তৈরি করা হয়।
২। চার্টের লেখাগুলি হবে একটু বড়ো আকারের।
৩। লেখাগুলি হবে নির্ভুল অর্থাৎ তাতে কোনো বানান ভুল থাকবে না।
৪। কোনো প্রতিকৃতি আঁকতে হলে তা যথাসম্ভব মূলের কাছাকাছি থাকবে।
৫। যুক্ত ব্যঞ্জনগুলি ভেঙে লিখতে হবে।
৬। রঙের ব্যবহার যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
৭। চিত্র, চার্ট প্রভৃতি হবে শিক্ষার্থীদের সামর্থ্যভিত্তিক।
৮। সংশ্লিষ্ট চার্ট বা ছবি সংশ্লিষ্ট বিষয় পড়ানোর সময় দেখাতে হবে ও দেখানো হয়ে গেলে তা খুলে রাখতে হবে।
৯। অনেকক্ষণ ধরে একই ছবি বা চার্ট টাঙিয়ে রাখা যাবে না।
১০। চার্টে যেন তথ্যগত কোনো ভুল না থাকে।
মাধ্যমিক স্তরে পঠনপাঠন পদ্ধতি :
সাধারণভাবে নবম-দশম শ্রেণি মাধ্যমিক স্তরের অন্তর্ভুক্ত। এই স্তরের শিক্ষার্থীদের বয়ঃক্রম ১৪ থেকে ১৫ বছর। শিক্ষার্থীরা এই পর্বে কৈশোর অবস্থা অতিক্রম করেছে। এই স্তরে তারা সাধারণভাবে ভাষা ব্যবহারে দক্ষ হয়ে উঠেছে। তার ধীরে ধীরে
আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠছে। নানা ভাব ও ভাবনায় ঋদ্ধ হয়ে উঠছে। তাদের মানসিক ও বৌদ্ধিক বিকাশ অনেকটাই পরিণত হয়েছে। তবুও ভাষা অনুশীলন ব্যাপারে তাদের দক্ষ ও সক্রিয় করে তোলার জন্য নিম্নোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করা দরকার। সেগুলি হলঃ
১। কেবল বিষয়ের অর্থ জানলে চলবে না, সেগুলি প্রকাশভঙ্গির মাধুর্য ও সাহিত্যরস উপলব্ধির চেষ্টা করতে হবে।
২। সাহিত্যপাঠের মধ্য দিয়ে যাতে ছাত্ররা সাহিত্যরসের আস্বাদন করতে পারে, সেদিকে নজর দিতে হবে।
৩। নিজেরা যাতে কিছু বানিয়ে লিখতে পারে, সেদিকে শিক্ষকমহাশয়রা নজর দেবেন।
৪। ব্যাকরণ পাঠ দিতে হবে পুরোপুরি inductive পদ্ধতিতে। অতিপরিচিত শব্দ উদাহরণ দিয়ে বোঝাতে হবে। উদাহরণের সাহায্যে বুঝিয়ে পরে সূত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
৫।লেখার style বা শৈলী সম্পর্কে তাদের ধারণা দিতে হবে।
৬। অনুবাদ শেখানোর মধ্য দিয়ে শব্দ ব্যবহার ও প্রয়োগকৌশল শেখাতে হবে।
৭। সন্ধি, সমাস, কারক, প্রত্যয়, ণত্ব-ষত্ববিধান সম্পর্কিত সূত্রগুলি যাতে বুঝে প্রয়োগ করতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে।
৮। শুদ্ধ বানান ও সঠিক যতিচিহ্ন ব্যবহার সম্পর্কে নজর দিতে হবে।
৯। নীরব পাঠে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। –
১০। শিক্ষার্থীদের উচ্চারণে কোনো বিকৃতি বা আঞ্চলিকতার দোষ না থাকে সেটাশিক্ষক মহাশয় নজর রাখবেন।
১১। সংযুক্ত বর্ণগুলি যাতে ঠিকমতো লিখতে ও বলতে পারে তা দেখতে হবে।
১২। উপযুক্ত Teaching aid বা শিক্ষা উপকরণ ব্যবহারে শিক্ষকরা যাতে উৎসাহী হন তা দেখতে হবে।
১৩। আবৃত্তি, অভিনয়, বিতর্ক, সাহিত্য আলোচনা প্রভৃতির মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে ভাষা ব্যবহারে দক্ষ হয়ে উঠতে পারে তার চেষ্টা করতে হবে।
১৪। সমোচ্চারিত ও প্রায় সমোচ্চারিত শব্দগুলির অর্থপার্থক্য ও সেগুলির ব্যবহার সম্পর্কে দক্ষ করে তুলতে হবে।
১৫। লেখার সময় যাতে প্রচলিত প্রবাদ প্রবচন ও বাগ্ধারা প্রয়োগ করে সেদিকে নজর দিতে হবে।
১৬। সহজ, সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষায় যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য পরিবেশন করতে পারে সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
১৭। গ্রন্থাগার ব্যবহারে উৎসাহী করে তুলতে হবে।
১৮ । অভিধান ব্যবহারের রীতি সম্পর্কে অবহিত করাতে হবে।
……………………………………………
PDF টি ডাউনলোড করে নাও 👇👇👇(বাংলা পেডাগগি)
MCQ Practice SET 👉 Current affaires
প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য নীচের তিনটি website কে নিয়মিত follow করতে পারো।
Shekhapora.com
Mcq.shekhapora.com
Preronaacademy.com
ইউটিউব চ্যানেল 👇
https://www.youtube.com/c/PreronaAcademy
প্রস্তুতির জন্য 👇 পরীক্ষাগুলি দিতে পারেন👇
১। সমাসের MCQ practice SET
২। সমাসের SAQ practice SET
৩। কারক অ-কারক SAQ Practice SET
৪। শব্দভাণ্ডার MCQ Practice SET
৫। ধ্বনি ও বর্ণ MCQ practice SET
à¦à§‚গোল Quiz || SET 2 || Geography GK MCQ Test
ভূগোল ক্যুইজ | Geography practice SET-2