You are currently viewing বাংলা পেডাগজি || Bengali Pedagogy PDF ||  বাংলা পেডাগগি pdf | ভাষার বিকাশ ও শিক্ষণ প্রণালী   

বাংলা পেডাগজি || Bengali Pedagogy PDF ||  বাংলা পেডাগগি pdf | ভাষার বিকাশ ও শিক্ষণ প্রণালী   

 { বাংলা ভাষা বিষয়ের পেডাগজি থেকে এখানে আজ ভাষার বিকাশ ও শিক্ষণ প্রণালী  আলোচনা করা হল। বাংলা পেডাগজি pdf | language pedagogy with pdf download, বাংলা পেডাগজি pdf, ভাষার বিকাশ ও শিক্ষণ প্রণালী, Bengali Language Pedagogy }   

ভাষা শিখনের মূলনীতিগুলি : 

শিখন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং ইহার অভিমুখ নানাদিকে বিকশিত হয়। বিভিন্ন শিক্ষাবিদ্ শিখন সম্পর্কে নানা মতবাদ প্রকাশ করেছেন। তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব মতবাদগুলি হল থনডাইকের সংযোজনবাদ, প্যাভলভের অনুবর্তনবাদ, গেস্টালবাদীদের অন্তর্দৃষ্টি মতবাদ, কার্ট লিউইনের ক্ষেত্র মতবাদ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। 

সংযোজনবাদ সম্বন্ধে আলোচনা : প্রখ্যাত মনোবিজ্ঞানী থনডাইক সংযোজনবাদের প্রবর্তক। এই মতবাদটি ভুল ও প্রচেষ্টামূলক শিক্ষণতত্ত্ব হিসাবেও অভিহিত হয়। শেখার অন্যতম উপায় হল বারংবার অভ্যাস বা অনুশীলন। যেমন : শিশুরা যখন গণিতের প্রাথমিক ধাপ যোগ-বিয়োগ, গুণ বা ভাগ শেখে তখন তাদের প্রথমের দিকে বার বার ভুল হতে থাকে কিন্তু কিছুদিন অভ্যাসের ফলে সে সঠিকভাবে ওই ধাপ অতিক্রম করে। অনুশীলনের মাধ্যমে কোনো বিষয় রপ্ত করতে সক্ষম হলে শিশুরা দীর্ঘদিন উহা মনে ধরে রাখতে সক্ষম হবে। শিক্ষামূলক প্রস্তুতি চালানোর সময় উদ্দীপকের উপস্থিতি শিখন প্রক্রিয়াকে যথার্থ সার্থক করে তোলে।

অনুবর্তনবাদের মূল কথা:  

প্রখ্যাত রুশ মনোবিজ্ঞানী তথা জীবনবিজ্ঞানী প্যাভলভ শিখনেরঅনুবর্তনবাদের প্রবর্তন করেন। বহু গবেষণা এবং পরীক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে প্যাভলভ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষণীয় বিষয়বস্তুর মধ্যে সম্পর্ক না থাকলে শিখন প্রক্রিয়া সার্থকভাবে রূপায়িত হবে না। বিষয়বস্তু যদি শিক্ষার্থীর সক্ষমতার সীমা বহির্ভূত হয় তাহলে তা হৃদয়ঙ্গম করতে শিক্ষার্থী সক্ষম হবে না। কারণ সে ক্ষেত্রে বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি হয় না। শিক্ষার্থী এবং তার বিষয়বস্তুর মধ্যে সম্পর্কমূলক সেতু রচিত হলে শিক্ষণ প্রক্রিয়া দ্রুততর হতে তাকে।

 মনোবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের প্রকারগুলি: মনোবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে শিক্ষাদান

অনেকটা বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাদান। শিশুরা যাতে অযথা কোনো জটিলতার মধ্যে না পড়ে সেইজন্য এই পদ্ধতিতে শিক্ষাদান অনেকেই অনুসরণ করেন। এক্ষেত্রে যে যে প্রকারের মাধ্যমে এই শিক্ষাদান হয় সেগুলি হল জ্ঞাত বিষয় থেকে অজ্ঞাত বিষয়ে যাওয়া, সহজ থেকে জটিল বিষয়ের অবতারণা। মূর্ত থেকে বিমূর্তে যাওয়া, সমগ্র বা সাধারণ থেকে বিশেষ বা আংশিকে যাওয়া এবং বিশেষ থেকে সাধারণ বিষয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া।

ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাকরণের গুরুত্ব: ভাষা শিক্ষার শরীরবিদ্যা হল ব্যাকরণ।

MCQ Practice SET 👉 Child development & Pedagogy

চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়নের সময় শরীরবিদ্যা সংক্রান্ত জ্ঞান যেমন প্রাথমিক ধাপ, সেরূপ ব্যাকরণ ভাষাশিক্ষাকে সুসংবদ্ধ ও নিয়মভিত্তিক পথে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। ‘ব্যাকরণ’ শব্দটির উৎসগত অর্থ হল ‘সার্বিকভাবে এবং বিশেষভাবে বিশ্লেষণ’, মনের ভাবকে শারীরিকভাবে বহিপ্রকাশ হল ভাষা, আর ভাষার শারীরিক গঠনকে বিশ্লেষণ করার কাজ করে ব্যাকরণ। কথার মাধ্যমে বা লিখিতভাবে মনের কোনো ধারণা প্রকাশ করার ক্ষেত্রে ব্যাকরণের সুনির্দিষ্ট ভূমিকা রয়েছে। যেমন—ভাষাকে শুদ্ধভাবে প্রয়োগ করতে ব্যাকরণ সাহায্য করে।

শব্দের বিশুদ্ধ বানান লেখার ক্ষেত্রে ব্যাকরণের প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একই উচ্চারণ হলেও বানানের সামান্য পার্থক্যে শব্দের অর্থ সম্পূর্ণভাবে পবির্তিত হতে পারে। তাই বিশুদ্ধ বানান ভাষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া শব্দের উৎসগত অর্থ অনুধাবন করার ক্ষেত্রে ব্যাকরণের গুরুত্ব অপরিমেয়।

 ব্যাকরণ শিক্ষাদান পদ্ধতিঃ 

 ব্যাকরণ ভাষাকে সম্যকরূপে বিশ্লেষণ করতে এবং সুসংবদ্ধভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের ভাষা শিক্ষার প্রাথমিক পর্বে সংশ্লিষ্ট ভাষার ব্যাকরণ শিক্ষা অতীব জরুরি। নানা পদ্ধতিতে ব্যাকরণের পাঠ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন : –

ব্যাকরণ পাঠ্য পুস্তক পদ্ধতি, সাহিত্য-ভাষা পদ্ধতি, সূত্র বা অনুসিদ্ধান্ত পদ্ধতি, বিশ্লেষণ পদ্ধতি, আরোহী পদ্ধতি, অবরোহী পদ্ধতি ইত্যাদি। 

যদিও সকল পদ্ধতি দ্বারা ব্যাকরণের সকল বিষয়ের পাঠদান বিশেষ উপযোগী নয়। কিন্তু কোনো এক পদ্ধতি বিশেষ কিছু অধ্যায়ের পাঠদানে সার্থকতা নিয়ে আসে।

 সাহিত্য-ভাষা পদ্ধতির মাধ্যমে কীভাবে ব্যাকরণ শিক্ষা প্রদান করা হয়ঃ 

সাহিত্যের প্রধান উপাদানগুলি হল গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, কাব্য প্রভৃতি। যে কোনও ভাষার সাহিত্যচর্চার অর্থ হল উপরোক্ত উপাদানগুলি চর্চা। শ্রেণিকক্ষে সাহিত্যের কোনো উপাদান আলোচনা করার সময়, ব্যাকরণের নানান প্রয়োগ দেখানোর সুযোগ থাকে। কোনো গল্প বা প্রবন্ধ পড়ানোর সময় ব্যাকরণের বিবিধ প্রয়োগ দেখানোর মাধ্যমে ক্রমশ ব্যাকরণের সম্বন্ধে অবহিত হয় শিক্ষার্থীরা। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় কোনো একটি গল্পের অন্তর্গত একটি বাক্য হল—হিমালয়ে অসংখ্য বনস্পতি অবস্থান করে। এই বাক্যের দুটি শব্দ যথাক্রমে হিমালয় এবং বনস্পতি, যাদের সন্ধি বিচ্ছেদ করে দেখানোর মাধ্যমে ব্যাকরণের পাঠ প্রদান সম্ভব। যেমন : হিম + আলয় = হিমালয়, এবং বন + পতি = বনস্পতি।

সূত্র বা অনুসিদ্ধান্ত পদ্ধতিতে কীভাবে ব্যাকরণের পাঠ দানঃ

ব্যাকরণ শিক্ষার আদি কাল থেকেই সূত্র পদ্ধতি চালু রয়েছে এবং এটি বেশ জনপ্রিয়ও বটে। সুতরাং ব্যাকরণ শিক্ষার প্রচলিত পদ্ধতি হিসাবে ইহাকে গণ্য করা যায়। এই পদ্ধতিতে ব্যাকরণের বিভিন্ন অধ্যায়ের প্রতিটি সূত্রকে ভালোভাবে আত্মস্থ করানো এবং তাদের যথাযথ রূপে প্রয়োগ করাতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ প্রদান করা হয়। সন্ধি, সমাস, প্রত্যয়, কারক ও বিভক্তি শেখানোর ক্ষেত্রে সূত্র পদ্ধতি খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। 

এটি মনে রাখতে হবে যে কোন একটি শ্রেণিতে কখনই সমস্ত শিক্ষার্থী একই মানের বা সম বুদ্ধির হয় না। ফলে শিক্ষক শিক্ষিকা যাদের কর্তব্য হল শিক্ষার্থীদের সামর্থ অনুযায়ী সেই সমস্ত পিছিয়ে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের যথার্থ শিক্ষা দান করা।

সংশোধনমূলক শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যঃ

সংশোধনমূলক শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল অসফল ছাত্রছাত্রীর অসফলতার কারণগুলিকে খতিয়ে দেখে বা তার ত্রুটিগুলিকে সঠিকভাবে নির্বাচন করে তাকে সংশোধনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। 

কাদের জন্য রিমেডিয়াল টিচিং বা সংশোধনমূলক শিক্ষাঃ

যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষাগত দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে নানা কারণে পিছিয়ে পড়ে তাদের জন্যই সংশোধনমূলক শিক্ষা । 

যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষাগত দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে থাকা তারা হল—

(ক) যাদের স্মৃতি শক্তি অপেক্ষাকৃত কম বা মনের রাখার ক্ষমতা কম,

👉ভাষার বিকাশ ও শিক্ষণ প্রণালী

(খ) যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী অমনোযোগী বা অল্প মনোযোগী কিংবা যারা শ্রেণিকক্ষের বাইরে অন্য জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট হয়,

(গ) তুলনামূলকভাবে যাদের বোধশক্তির অভাব আছে,

(ঘ) যাদের মধ্যে শিখন উদ্দীপকের অভাব আছে,

(ঙ) যারা নতুন এবং বিমূর্ত ধারণাগুলি উপলব্ধি করতে পারে না,

(চ) যাদের মধ্যে সমস্যার সমাধানের দক্ষতার অভাব আছে,

(ছ) যাদের আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং আত্মচাহিদার অভাব আছে,

(জ) যাদের মধ্যে উৎসাহ কম,

(ঝ) যাদের কোনো কিছু করতে অনেকটা বেশি সময় লাগে।

শিশুর ভাষা বিকাশের ক্ষেত্রে তার সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিবেশ অনেকটাই ক্রিয়াশীল থাকে। তাছাড়া শিশুর ভাষাগত বিকাশ মুখ্যত তিন বছর থেকে আট বছর বয়সের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্রিয়াশীল থাকে। শিশুর এই ভাষাগত বিকাশেরজন্য উপযুক্ত শিক্ষার একান্ত প্রয়োজন। শিশুর মধ্যে Reading ability বা পড়ার ক্ষমতা বিকাশের আগে অবশ্যই বলার ক্ষমতা  বা Speaking ability বিকাশ ঘটানো আবশ্যিক  আজকের শিশু যে আগামী দিনের দেশনায়ক হতে পারে কিংবা দেশনায়ক না হলেও আজকের শিশুই তো আগামী দিনের একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ। তাই আজকের শিশু বা ছাত্রকে যথার্থভাবে ভাষা শিক্ষাদান না করতে পারলে দেশ ও দশের ভবিষ্যৎ অনুজ্জ্বল থাকবে। প্রকৃতপক্ষে ভাষাশিক্ষা হল অভ্যাস গঠন এবং শিক্ষার্থীর আভ্যন্তরীণ দক্ষতার ব্যবহার যা মুখ্যত সমস্ত রকম সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হয়। প্রত্যেকটি শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীদের যতটা সম্ভব ভাষাশিক্ষা দান করা। কেবলমাত্র ক্রিয়াকর্মের দ্বারাই যেকোনো ভাষা শেখা যায়। ভাষার যে সমস্ত বিষয় বর্তমান সেই বিষয়গুলিকে অভ্যাস করতে হবে এবং যেটি ভাষা সেটিই কিন্তু শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

পিডিএফ ডাউনলোড করে নাও। 👇👇👇👇

প্রস্তুতির জন্য 👇 পরীক্ষাগুলি দিতে পারেন👇
১। সমাসের MCQ practice SET
২। সমাসের SAQ practice SET
৩। কারক অ-কারক SAQ Practice SET
৪। শব্দভাণ্ডার MCQ Practice SET
৫। ধ্বনি ও বর্ণ MCQ practice SET

Leave a Reply