You are currently viewing অবিভাজ্য ধ্বনি/ ধ্বনিতত্ত্ব

অবিভাজ্য ধ্বনি/ ধ্বনিতত্ত্ব

Tags: অবিভাজ্য ধ্বনি, বিভাজ্য ধ্বনি, শ্বাসঘাত, দৈর্ঘ্য, সুরতরঙ্গ,

প্রশ্ন: অবিভাজ্য ধ্বনি বলতে কী বোঝো ? দুই ধরণের অবিভাজ্য ধ্বনি সম্পর্কে আলোচনা করো । ১+৪


উত্তর: মানুষ কথা বলার সময় বিভিন্ন ধরনের ধ্বনি উচ্চারণ করে থাকে, মানুষের উচ্চারিত এই ধ্বনি গুলি দুই প্রকারঃ – ১।বিভাজ্য ধ্বনি ও ২।অবিভাজ্য ধ্বনি।


বিভাজ্য ধ্বনি: মানুষের উচ্চারিত ধ্বনি গুলির মধ্যে যেসব ধ্বনির ধ্বনিগত উপাদান গুলি সুস্পষ্ট ভাবে আলাদা এককে ভাগ করা যায়, তাদের বিভাজ্য ধ্বনি বলে।
যেমন: ‘আমি যাবো’ -বাক্যটি বিশ্লেষণ করলে পাই- আ+ম্+ই+য্+আ+ব্+ও- এই যে ছোটো ছোটো ধ্বনিগত উপাদান, এগুলো প্রত্যেকটা আলাদা করে দেখানো সম্ভব হল- তাই এরা বিভাজ্য ধ্বনি।

(ভিডিওতে পড়াটি ভালো করে বুঝে নাও । এই লিঙ্কে ক্লিক করো https://www.youtube.com/watch?v=_wO1sShJssE&t=356s )


অবিভাজ্য ধ্বনি: বিভাজ্য ধ্বনি ছাড়াও আমাদের মুখের ভাষায় এমন কিছু ধ্বনি আছে যেগুলোকে আলাদা এককরূপে ভাগ করা যায়না। সেই সব ধ্বনিকেই বলা হয় অবিভাজ্য ধ্বনি। যেমন-‘আমি যাবো।’ – বাক্যটিতে বিভাজ্য ধ্বনিগুলির সঙ্গে আরও একটা ধ্বনি আছে, সেটা সুক্ষ্ম সুরের প্রবাহ।সেই প্রবাহকে লিখে প্রকাশ করা যায়না, এই অবিচ্ছিন্ন ধ্বনি গুলি একমাত্র মুখের কথাতেই পাওয়া সম্ভব।এই অবিচ্ছিন্ন সুরের প্রবাহটিই হল অবিভাজ্য ধ্বনি।
অবিভাজ্য ধ্বনির পরিচয়:
এখানে অবিভাজ্য ধ্বনি গুলির পরিচয় তুলে ধরা হলো।
১।শ্বাসঘাত : শ্বাসাঘাত হলো একাধিক দলযুক্ত শব্দের কোন একটি দলকে অপেক্ষাকৃত বেশি জোর দিয়ে উচ্চারণ করা।শ্বাসাঘাতের উপস্থিতি পুরো দল জুড়ে, কোন নির্দিষ্ট ধ্বনিতে নয়।বাংলায় সাধারণত শব্দের প্রথম দলে শ্বাসাঘাতের উপস্থিতি দেখা যায়। যেমন- ‘ঘুমন্ত’ শব্দের ‘ঘুম’ দলটিতে শ্বাসাঘাত পড়েছে।
২।দৈর্ঘ্য: দল উচ্চারনের সময় স্বরধ্বনির যে দীর্ঘতা তাকেই দৈর্ঘ্য বলে। বাংলায় বহুদল শব্দেরর তুলনায় একদল শব্দের স্বরধ্বনির দৈর্ঘ্য বেশি হয়ে থাকে। যেমন- ‘চালতা’ শব্দের ‘আ’ অপেক্ষা ‘চাল’ শব্দের ‘আ’ এর দৈর্ঘ্য বেশি।
৩।যতি: দল বা শব্দের শেষে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘচ্ছেদকে বলা হয় যতি। বাক্যের অর্থ অনুধাবনে যতি সাহায্য করে থাকে।
৪।সুরতরঙ্গ : বাক্যে সুরের ওঠা নামাকে সুরতরঙ্গ বলে। সুরতরঙ্গের দ্বারা বক্তার মনের সুক্ষ্ম অনুভূতি গুলি(বিস্ময়, প্রশ্ন ইত্যাদি) প্রকাশিত হয় ।যেমন- ‘আমি যাবো’- বাক্যটির সুরকে উর্ধমুখী করলে বাক্যটিতে জিজ্ঞাসার ভাব ‘আমি যাবো ?’ -স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

👆উপরের ভিডিওতে খুব সহজ করে বুঝে নাও বিষয়টি 👆

@ গুরুত্বপূর্ণ আরও কয়েকটি বিষয় দেখে রাখো @

পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতা

ভারতবর্ষ গল্পের প্রশ্নোত্তর 

‘কে বাঁচায় কে বাঁচে ‘ গল্পের বড় প্রশ্ন 

‘অলৌকিক’ গল্পের প্রশ্নোত্তর 

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতার গুরুত্বপূর্ণ৩ টি প্রশ্নোত্তর

‘ভাত’ গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর  

বিভাব নাটকের বড় প্রশ্ন উত্তর 

বাংলা গানের ধারা প্রশ্নোত্তর 

‘আমি দেখি’ কবিতার প্রশ্নোত্তর

‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতার বড় প্রশ্ন

আমার বাংলা থেকে আটটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ বাংলা সাজেশন এর জন্য এখানে ক্লিক করো

Leave a Reply