অষ্টাদশ শতাব্দীর যুগ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে রামপ্রসাদ সেনের কাব্যচর্চার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ।
উত্তর : অষ্টাদশ শতকে বাংলাদেশে মুসলমানী শাসনের অবসান ঘটে । চৈতন্যদেবের জীবনাদর্শ ও বৈষ্ণব ভাবধারা প্রভাব তখন ক্ষীণ । ঠিক সে সময় ইংরেজদের আগমন ঘটলেও তাদের প্রভাব তেমন বিস্তার লাভ করতে পারেনি । এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে বাঙালিদের মধ্যে দেখা দেয় আত্মপ্রত্যয়ের অভাব । চারপাশের এমন দৈন্য ও সামাজিক অবক্ষয় থেকে পরিত্রাণ পেতে শাক্ত কবিদের অন্তরের আবেগ ফুটে উঠেছিল শাক্ত পদাবলীর পদগুলিতে ।
∆ রামপ্রসাদ সেনের কাব্য চর্চা : বাংলা সাহিত্যের শাক্ত পদকর্তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ পদকর্তা হলেন রামপ্রসাদ সেন । ১৭২০ খ্রি: হালিশহরের কুমারহট্ট গ্রামে তার জন্ম । জমিদারির হিসেব নিকেশের কাজ করতেন তিনি, তাঁর হিসেবের খাতায় “দাও মা আমায় তহবিলদারী” কবিতা দেখে জমিদার সন্তুষ্ট হন । নবদ্বীপ রাজ কৃষ্ণচন্দ্র তাঁকে ‘কবিরঞ্জন’ উপাধিদেন । শাক্তপদের পাশাপাশি তিনি ‘কালীকীর্তন’ ও ‘ কৃষ্ণকীর্তন ‘ নামে দুটি গ্রন্থ রচনা করেন । শাক্ত পদাবলীর উভয় শাখাতেই (‘শ্যামা সংগীত ও উমা সংগীত’) তিনি সমান ভাবে সফল । “মা আমায় ঘুরবি কত/কলুর চোখ বাঁধা বালোদের মত ।” রামপ্রসাদের লেখা এসব গান আজও সমানভাবে বাঙালির কণ্ঠে ধ্বনিত হয় ।রামপ্রসাদ সেনের শারদউৎসবের সময় উমার পিতৃগৃহে আগমন থেকে বিদায় উপলক্ষ্যে আগমনী-বিজয়ার যে গান গুলি তা এককথায় অনবদ্য । “গিরি এবার উমা এলে আর উমায় পাঠাব না/বলে বলবে লোক মন্দ কারো কথা শুনবো না ।” সহজসরল ভাষায় রচিত এসব গানের জন্যে রামপ্রসাদ সেনকে বাঙালীর হৃদয়ে চিরস্থায়ী আসন দিয়েছে ।
আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇
বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান
বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান
গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।
বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা
আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান
গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান