You are currently viewing বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা করো || ‘ঘোড় সওয়ার’ কবি কাকে বলা হয় ? বিষ্ণু দে-র কাব্য বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো || Bishnu Dey

বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা করো || ‘ঘোড় সওয়ার’ কবি কাকে বলা হয় ? বিষ্ণু দে-র কাব্য বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো || Bishnu Dey

বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা করো, বিষ্ণু দে, Bishnu Dey, বিষ্ণু দে-র কাব্য বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো, ‘ঘোড় সওয়ার’ কবি কাকে বলা হয় ? , বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান, আধুনিক বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান,

বিষ্ণু দে||বাংলা কাব্যে কবি বিষ্ণু দে-র অবদান

কবি বিষ্ণু দে

জন্মঃ ১৯০৯ সালের ১৮ জুলাই

পিতাঃবিষ্ণু দে-র পিতা অবিনাশ চন্দ্র দে ছিলেন একজন উকিল ।

মাতাঃ মনোহারিণী দেবী।

জন্মস্থানঃ কলকাতার পটলডাঙ্গা

আদি নিবাসঃ হাওড়া

মৃত্যুঃ ১৯৮২ সালের ৩ ডিসেম্বর

ছদ্মনামঃ

কাব্যে বিষ্ণু দে-র কাব্য সমূহঃ

১. উর্বশী ও আর্টেমিস ( ১৯৩৩ ), ২. চোরাবালি (১৯৪১),৩. পুর্বলেখা (১৯৪১), ৪. সাত ভাই চম্পা (১৯৪৫), ৫.সন্দ্বীপের চর (১৯৪৭), ৬.অন্বিষ্ট (১৯৫০), ৭. নাম রেখেছি কোমল গান্ধার (১৩৬০ বং), ৮.আলেখ্য (১৩৬৫ বং), ৯. তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ (১৯৫৮), ১০. স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ (১৯৬৩), ১১. সেই অন্ধকার চাই (১৯৬৬), ১২.সংবাদ মূলত কাব্য (১৯৬৯), ১৩. ইতিহাসে ট্রাজিক উল্লাসে(১৯৭০), ১৪. রবি করোজ্জ্বল নিজদেশে (১৩৮০ বং), ১৫.ঈশাবাস্য দিবানিশি (১৩৮১ বং), ১৬. চিত্ররূপ মত্ত পৃথিবীর(১৩৮২ বং), ১৭. উত্তরে থাকো মৌন (১৯৭৭), ১৮.আমার হৃদয়ে বাঁচো(১৯৮১) ।

অনুবাদ কাব্যঃ  ‘এলিয়েটের কবিতা’ (১৯৫৩) , ‘হে বিদেশী ফুল’ (১৯৫৬), ‘মাও সে তুং-এর কবিতা’ (১৯৫৮) ইত্যাদি।

প্রবন্ধ গ্রন্থঃ  ‘রুচি ও প্রগতি’ (১৯৪৬) , ‘সাহিত্যের ভবিষ্যৎ’ (১৯৫২) , ‘এলোমেলো জীবন ও শিল্পসাহিত্য ’ (১৯৫৮), ‘রবীন্দ্রনাথ ও শিল্পসাহিত্যে আধুনিকতার সমস্যা ’ (১৯৬৫) , ‘মাইকেল, রবীন্দ্রনাথ ও অন্যান্য জিজ্ঞাসা’ (১৯৬৭), ‘জনসাধারণের রুচি’ (১৯৭৫), ‘যামিনী রায়’সহ (১৯৭৭) ইত্যাদি।

কাব্যে বিষ্ণু দে-র কাব্য বৈশিষ্ট্যঃ

১. বিষ্ণু দে-র কাব্যে রবীন্দ্র স্মরণ ঘটেছে বারবার। প্রথমদিকে এর স্মরণে ছিল তীর্যকতা-শেষের দিকে সে স্মরণে এসেছে গভীর শ্রদ্ধা। কল্লোল , পরিচয় প্রভৃতি পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত থাকায় সে সময়ের কাব্যধারার আধুনিকতা তাঁর কাব্যে পাওয়া যায় ।

২. টুকরো টুকরো ছবি সাজিয়ে তিনি একটা কাঁচের মতন ছবি গড়ে তুলেছেন বহু কবিতায়। যেমন টপ্পা ঠুংরি কবিতায় কবি বড় বাজারের ছবি তুলে ধরেছেন এভাবে-

“বড় বাজারের উপল উপকূলে

জনগণের প্রবল স্রোত

উগারিছে ফেনা

আর বিড়ির আর সিগারেটের আর উনুনের আর মিলের ধোঁয়া

আর পানের পিক

আর দীর্ঘশ্বাস।।”

৩. পৌরাণিক চরিত্র গুলিকে তুলে ধরে সমকালীন চরিত্রগুলিকে সেকালের সঙ্গে অন্বিত করেছেন।

৪. বিষ্ণু দের কবিতায় মাঝে মাঝে একটা গল্পধর্মিতা লক্ষ্য করা যায় । লক্ষিত হয় নাট্যিক উৎকণ্ঠাও। যেমন সাত ভাই চম্পা কাব্যের ‘মৌ ভোগ’ কবিতায় লালকমল, নীলকমল, কঙ্কালী পাহাড়ের প্রসঙ্গ এসেছে–

“ওদিকে ওরে লালকমলের নীলকমলের হাতে

ভাইয়ের নিলে প্রাণের লাল নিশান।।”

৫. কবি বর্তমানের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে স্মৃতির জগৎ, অর্থাৎ অতীত জগৎ ও ভবিষ্যত জগৎকে অন্বেষণ করেছেন। তাঁর এই জাতীয় রচনা হলো “স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ” কাব্য গ্রন্থটি। এই কাব্যগ্রন্থটি তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ।

৬. তাঁর কবিতার মূল উপজীব্য হল মানুষ, তার সংগ্রাম ও রাজনীতি, সেখানে সমকালীন জীবনের, দেশ ও কালের, রাজনীতি ও সমাজের প্রতিধ্বনি।

৭. প্রথম জীবনে ইউরোপীয় ক্লাসিক ও আধুনিক শিল্প সাহিত্যের প্রভাব পাওয়া যায় এবং পরে দুই বিশ্বযুদ্ধের মাঝখানের সময়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ , দুর্ভিক্ষ , দাঙ্গা , তেভাগা-আন্দোলন ইত্যাদি থেকে শুরু করে স্বাধীনতার পরের ঘটনাবহুল জীবন ও আন্দোলন তার কবিতায় সরাসরি ছায়া ফেলেছে।

পুরস্কার ও সম্মানঃ

১. ১৯৭১ সালে তার ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ বইটির জন্য  ‘জ্ঞানপীঠ‘ পুরস্কার লাভ করেন।

২. ১৯৬৫ সালে পান সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার ও নেহেরু স্মৃতি পুরস্কার ।

৩. সোভিয়েত ল্যান্ড আওয়ার্ড ।

আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇

বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান

বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান

গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।

বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা

Leave a Reply