দেহবাদী ও ভোগবাদী কবি হিসেবে পরিচিত মোহিতলাল মজুমদার রবীন্দ্র- সমসাময়িক কবি হলেও তাঁর কাব্যে স্বাতন্ত্রের পরিচয় পাওয়া যায় । কবি মোহিতলাল মজুমদার ১৮৮৮ জন্ম গ্রহন করেন এবং ১৯৫২ সালে পরলোক গমণ করেন । তাঁর কাব্য রচনার প্রারম্ভিক স্তরে রবীন্দ্রনাথ ও সত্যেন্দ্রনাথের প্রভাব লক্ষিত হলেও পরবর্তীকালে তিনি রবীন্দ্র-বিরোধী কাব্য ভাবনায় ভাবিত হয়ে কল্লোল গোষ্ঠীতে যোগদান করেন ।
কবি মোহিতলাল মজুমদারের কবি প্রতিভা ও কাব্য বৈশিষ্ট্য খুব সংক্ষেপে নীচে তুলে ধরা হল ।
বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান , কবি প্রতিভা ও কাব্য বৈশিষ্ট্য :
১। তাঁর কাব্য রচনায় বেদান্ত সর্বস্ব সাহিত্যের একনিষ্ঠতা লক্ষ্য করা যায় ।
২। একদিকে যেমন প্রেম- সৌন্দর্য্য – রোমান্টিকতা – আধ্যাত্মিক অনুভূতির স্পন্দন রয়েছে , তেমনি ইন্দ্রিয়াসক্ত তীব্র কায়াসাধনার দ্বারা ভোগ সর্বস্ব দেহাত্মবাদ ও ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবাদ তাঁর কাব্যকে সমৃদ্ধ করেছে ।
৩। ক্লাসিক ও রোমান্টিকতার সমন্বয়ে ভাবগম্ভীর মননশীল প্রকাশভঙ্গি বলিষ্ঠ রূপে বিশেষ করে তাঁর সনেট গুলিতে প্রকট হয়ে উঠেছে ।
৪। ছন্দ ও অলঙ্কারে পারদর্শী কবির কবিতার ভাষা একইসঙ্গে ওজস্বী ও প্রাঞ্জল ।
মোহিতলাল মজুমদারের কাব্য সমূহ :
মোহিতলাল মজুমদারের কাব্য ‘ দেবেন্দ্রমঙ্গল ’ ১৬টি সনেট নিয়ে প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালে । “স্বপনপসারী” (১৯২২) , “বিস্মরণী” (১৯২৭) , “স্মরগরল” (১৯৩৬) , “হেমন্ত গোধূলি” (১৯৪১) , তার সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ ‘ ছন্দচতুর্দশী ’ ৫৪ টি সনেট নিয়ে প্রকাশিত হয় ১৯৫১ সালে ।
◼️ পরবর্তীকালে তিনি “শনিবারের চিঠি”র মাধ্যমে রবীন্দ্র-বিরোধী গোষ্ঠীর সমালোচক রূপে ‘শ্রী সত্যসুন্দর দাস’ , ‘কৃত্তিবাস ওঝা’ ও ‘সব্যসাচী’ ছদ্মনামে কয়েকটি সমালোচনামূলক প্রবন্ধ রচনা করেন ।
মোহিতলাল মজুমদারের সমলোচনামূলক প্রবন্ধ :
“আধুনিক বাংলা সাহিত্য” (১৯৩৬) , ” বাংলা কবিতার ছন্দ” (১৯৪৫), “কবি শ্রীমধুসূদন” (১৯৪৭), “সাহিত্য বিচার” (১৯৪৭), “বাংলা ও বাঙালী”(১৯৫১) , “কবি রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্র কাব্য”(১৯৫২/১৯৫৩ দুই খন্ডে) ইত্যাদি।
প্রস্তুতির জন্য 👇 পরীক্ষাগুলি দিতে পারোঃ👇
১। সাহিত্যের ইতিহাস প্রাচীন ও মধ্যযুগ) MCQ
৪। কারক অ-কারক SAQ Practice SET
৫। শব্দভাণ্ডার MCQ Practice SET
৬। কাব্যসাহিত্যের ইতিহাস (আধুনিক যুগ) MCQ
৭। ধ্বনি ও বর্ণ MCQ practice SET
৮। মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস SAQ SET
আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇
বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান
বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান
গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।
বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা
আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান
গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান