( ডাকাতের মা গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর,‘ডাকাতের মা গল্পের’ সাজেশন, telenapota abiskar proshno, একাদশ শ্রেণির বাংলা সাজেশন 2022, ২০২২ সালের একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্ত্বপূর্ণ তিনটি প্রশ্নোত্তোর । ২০২২ সালের একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্ত্বপূর্ণ তিনটি প্রশ্নোত্তোর । উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২২, Higher Secondary Bengali Suggestion 2022, hs bengali suggestion 2022 pdf, hs bengali suggestion 2022 pdf, ‘ডাকাতের মা’ গল্পের প্রশ্নোত্তর |bhaat golpo by Soiyod mostafa siraj || ডাকাতের মা বাংলা সাজেশন ২০২২ |Higher Secondary Bengali Suggestion Question and Answer | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা বিষয়ের সাজেশন অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলির উত্তর PDF Download এর লিঙ্ক নীচে দেওয়া হল।’তেলেনাপোতা আবিষ্কার প্রশ্ন ও উত্তর,’ডাকাতের মা‘ সাজেশন, Class XI Bengali বা WBCHSE HS Bengali উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা পাঠ্য ডাকাতের মা গল্প । ডাকাতের মা গল্পের গুরুত্ত্বপূর্ণ পাঁচটি বড় প্রশ্ন ও উত্তর এখানে আলোচনা করা হলো। ডাকাতের মা থেকে যেসকল বড় প্রশ্ন গুলি উচ্চমাধ্যমিক বাংলা বা একাদশ শ্রেণির বাংলা বিষয়ের ডাকাতের মা গল্পের এই প্রশ্নগুলি পড়লে তোমরা যথভাবে উত্তর লিখতে পারবে । class 11 bengali suggestion 2022 এর জন্য সমগ্র গল্প কবিতা , নাটক ,ভাষা , শিল্প সংস্কৃতির ইতিহাসের প্রশ্ন ও উত্তরের জন্য এই ওয়েবসাইটটি ফলো করো। )
১) “এতক্ষণে বোঝে সৌখী ব্যাপারটা “- কোন ব্যাপারের কথা বলা হয়েছে ? সে কিভাবে এই ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছিল নিজের ভাষায় লেখ ?
অথবা
“কিন্তু আজ যে অন্য ব্যাপার”- ‘আজ ‘ বলতে কোন দিনটির কথা বলা হয়েছে ? সেদিনের সেই ‘ অন্য ব্যাপারের’ পরিচয় দাও ?
উত্তর: সতীনাথ ভাদুড়ীর লেখা ‘ ডাকাতের মা’ গল্পে সৌখী জেল থেকে বাড়ি ফিরে আসার পরের দিন সকালেই তাদের বাড়িতে পুলিশ এসেছিল। প্রশ্নে উদ্ধৃত ‘ আজ ‘ বলতে সেই দিনটির কথা বলা হয়েছে।
∆ অন্য ব্যাপার টি হল: সৌখী একজন ডাকাত তার বাবাও একজন ডাকাত ছিল। ডাকাতিই যেন তাদের পেশা, সেই সূত্রে তাদের বাড়িতে পুলিশের যাওয়া আসা নতুন কোনো ব্যাপার নয়। পুলিশ দেখে ভয় পাওয়ারও লোক নয় সৌখীর মা। কিন্তু সেদিন সকলে যখন পুলিশ এসেছিল তখন তাঁর বুক ভয়ে কেঁপে উঠেছিল, কারণ সেদিনের ব্যাপারটা ছিল অন্যরকম।
জেলফেরত ছেলেকে তার প্রিয় আলু – চচ্চড়ি ভাত রেধে খাওয়ানোর ইচ্ছে হয় সৌখীর মায়ের, কিন্তু তার সামর্থ্য ছিলনা। আবার সকালে ছেলের কাছে টাকা চেয়ে বাজার করবে এমনটাও তার পছন্দ নয়। তাই অনেক ভেবচিন্তে গভীর রাতে বেড়িয়ে পড়েন। মাতাদীন পেশকারের বাড়ির পাঁচিল টপকে জলভর্তি লোটা চুরি করে বাজারে চৌদ্দ আনা বিক্রি করে বাড়ি ফিরে সৌখীর মা। লোটা বিক্রির টাকায় সবে মাত্র আলু-চচ্চড়ি রান্না শুরু করেছিল, এমন সময় মাতাদীন পেশকার দোকানী ও পুলিশ নিয়ে এসে হাজির হন। আগে তাদের বাড়িতে পুলিশ আসত স্বামী অথবা ছেলের খোঁজে, ‘আজ ‘ তাদের বাড়িতে পুলিশ এসেছে তারই খোঁজে। এটাই ছিল সেদিনকার অন্য ব্যাপার। আর সেই ‘অন্য ব্যাপার’টি পুলিশের আগমণের পরেই বুঝতে পেরেছিল সৌখী।
২) ‘ডাকাতের মা’ ছোট গল্প অবলম্বনে সৌখীর মায়ের চরিত্র বিশ্লেষণ করো?
অথবা,
‘ডাকাতের মা ‘ গল্পে ডাকাতের মায়ের চরিত্রটি বিশ্লেষণ কর।
উত্তর: সতীনাথ ভাদুড়ীর একটি অনবদ্য ছোটো গল্প ‘ ডাকাতের মা’। এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র এই সৌখীর মা। আপাত দৃষ্টিতে একটি সাধারণ চরিত্র হলেও কয়েকটি বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে বিশেষ মর্যাদার আসনে অধষ্ঠিত হয়েছে। সেগুলি হল –
১) সংগ্রামী মনোভাব: একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে সন্তান জেলে থাকায় টাকার অভাবে পরিবারটি যখন বসতে চলেছে তখন সৌখীর মা বুক পেতে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালিয়ে গেছে।
২) দায়িত্বশীলতা : সে নিজে উপার্জন করে বৌ ও নাতির দায়িত্ব নিতে পারছিল না, বলে তাদেরকে বৌমার বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল।
৩) বিচক্ষণতা : একজন ডাকাতের মাকে যতটা বিচক্ষণ হতে হয়, তিনি ঠিক ততখানিই বিচক্ষণ। মাঝরাতে দরজায় টোকা পড়লে কিংবা পুলিশ বাড়িতে তল্লাশি করতে এলে, কিংবা পুলিশের লোক বাড়িতে এলে কি করা উচিত তা তিনি ভালো করেই জানেন।
৪) অপত্য স্নেহ : সৌখীর মায়ের যে গুণটি তাকে বিশেষ উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে তাহল তার সন্তানের প্রতি বাৎসল্য। যদিও সে চুরির মত নিন্দনীয় কাজ করেছে, তবুও এ কথায় বলা যায় যে সে পেশাদার চোর নয়। সন্তানের প্রতি তার এই স্নেহ চুরির নিছক ঘটনাকে অতিক্রম করে মানবিকতার উর্ধ্বে। তেমনই তাকে একজন ডাকাতের মা না বলে ‘স্নেহময়ী জননী’ বলা সঙ্গত হবে।
৩) ” ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে সে”- কে ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে ? ‘কলঙ্ক ‘ শব্দটি ব্যবহারের কারণ কী ?
উত্তর: সতীনাথ ভাদুড়ীর লেখা ‘ডাকাতের মা’ গল্পে সৌখীর মা তার ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে।
∆ কলঙ্ক শব্দটি ব্যবহারের কারণ: দীর্ঘদিন জেল খাটার পর সৌখী বাড়ি ফিরে এসেছে। ছেলেকে কাছে পেয়ে তাঁর মায়ের আনন্দের শেষ নেই। কিন্তু সেই আনন্দ যেন ক্ষণস্থায়ী। জেল ফেরত ছেলেকে সকাল বেলা কী খেতে দেবে এই চিন্তায় ঘুম আসছিলো না। শেষ পর্যন্ত একটা উপায় সে বের করল। জনৈক মাতাদীন পেশকারের বাড়ি থেকে একটি ঘটি চুরি করে তা বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে ছেলের জন্যে আলু-চচ্চড়ি ভাতের আয়োজন করেছিল। এমন সময় অপ্রত্যাশিতভাবে বাড়িতে পুলিশ এল। সৌখী তখন এসব বিষয় সম্পর্কে কিছুই জানত না, সে তখনও ঘুমাচ্ছিল। কিন্তু মাকে অপমানের হাত থেকে বাঁচাতে সৌখী বলে সে ঘটি চুরি করেছে। এর আগে তাদের বাড়িতে পুলিশ আসত স্বামী অথবা ছেলের খোঁজে ‘আজ ‘ তাদের বাড়িতে পুলিশ এসেছে তারই খোঁজে। কিন্তু সৌখি মায়ের এই তুচ্ছ কাজের দায়ভার নিজের মাথায় নিয়ে পুলিশের সঙ্গে রওনা দেয়। যে এত বড় ডাকাত , তাঁর কাছে সামান্য ঘটি চুরির মত কাজ কলঙ্কের বিষয়। তাই সৌখীর মা নিজে অপরাধ ক’রে ছেলের নামে বদনাম অর্থাৎ ‘কলঙ্ক’ সৃষ্টি করে আত্মগ্লানিতে ভুগতে থাকে। ।।
……………
‘ডাকাতের মা’ গল্পের নোটস এর পিডিএফ ডাউনলোড করে নাও 👇👇👇
আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇
বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান
বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান
গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।
বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা
আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান
গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান