You are currently viewing শিখন সেতু | পাঠভিত্তিক প্রশ্নাবলির উত্তর | দশম শ্রেণি ‘জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্প | জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর

শিখন সেতু | পাঠভিত্তিক প্রশ্নাবলির উত্তর | দশম শ্রেণি ‘জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্প | জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর

পাঠভিত্তিক প্রশ্নাবলি | জ্ঞানচক্ষু‘ গল্প  | পাঠভিত্তিক প্রশ্নাবলির উত্তরপত্র | জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর

পাঠভিত্তিক প্রশ্নাবলি (সেতু পাঠক্রম এর উত্তর সমূহ )

জ্ঞানচক্ষু / আশাপূর্ণা দেবী

১। ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখোঃ 

১.১। ‘সেই বই নাকি ছাপাও হয়’ – যার লেখা বই ছাপা হয় –

(ক) তপনের লেখা বই , (খ) ছোটো মাসির লেখা বই , (গ) তপনের নতুন মেসোর লেখা বই , (ঘ) রবীন্ত্রনাথ ঠাকুরের লেখা বই ।

উত্তরঃ- গ) তপনের নতুন মেসোর লেখা বই ।

১.২। ‘তপন প্রথমটা ভাবে ঠাট্টা , কিন্তু যখন দেখে মেসোর মুখে করুণার ছাপ , তখন আহ্লাদে — হয়ে যায় ।-

(ক) আনন্দিত , (খ) দুঃখিত , (গ) কাঁদো কাঁদো , (ঘ) বিহ্বল ।

উত্তরঃ- গ) কাঁদো কাঁদো । 

১.৩। “তপনের হাত আছে ।” – কথাটির অর্থ হলো – (ক) হস্তক্ষেপ , (খ) ভাষার দখল , (গ) মারামারি , (ঘ) জবরদস্তি ।

উত্তরঃ- ক) হস্তক্ষেপ ।   

১.৪। তপন তার প্রথম গল্পটি লিখেছিল – (ক) সকালবেলা , (খ) দুপুরবেলা , (গ) বিকেলবেলা , (ঘ) রাত্রিবেলা ।

উত্তরঃ- খ) দুপুরবেলা । 

২। নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখোঃ 

 ২.১। ‘এ যে সত্যিই হুবহু গল্পের মতাই লাগছে ।” — হুবহু শব্দটি ব্যবহার করে অন্য একটি বাক্য লেখো ।

উত্তরঃ- রহিমের হাতের লেখার সাথে রতন হাতের লেখার হুবহু মিলে আছে ।

২.২। ‘পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে ।- অলৌকিক ঘটনাটি বিবৃত করো ।

উত্তরঃ- আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের লেখা গল্প ছাপার অক্ষরে প্রকাশ পেয়ে হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরছে , এই ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে । 

২.৩। ‘সত্যিকার লেখক ।‘ – উক্তিটির মধ্য দিয়ে তপনের কোন্ মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে ?

উত্তরঃ- ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের আলোচ্য উক্তিটির মধ্য দিয়ে তপনের মনের বিস্ময় প্রকাশ পেয়েছে । লেখকরা যে বাস্তব জগতের মানুষ নন এই ভাবনা তার নতুন মেসোকে দেখে ভেঙে যাওয়ায় এই উক্তি করেন ।

২.৪। “কথাটা শুনে তপনে চোখ মার্বল হয়ে গেল ।”— চোখ মার্বেল হয়ে যাওয়ার অর্থ কী ?

উত্তরঃ- ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের ছোটো মেসোমশাই বই লেখেন আর সেই বই ছাপা হয় । একথা শুনে তপের চোখ মার্বেল হয়ে যায় । তপনের ধারণা ছিল লেখকেরা অন্য জগতের মানুষ । তাই তাঁর চোখ মার্বেল হয়ে গিয়েছিল । 

২.৫। ‘রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই ।’ — উক্তিটির অর্থ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ব্যাখ্যা করো ।

উত্তরঃ- ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে ‘রত্ন’ বলতে তপনের লেখা গল্পকে  এবং ‘জহুরি’ বলতে তপনের নতুন মেসোমশাইকে বোঝানো হয়েছে । জহুরি যেমন কোনটা আসল রত্ন আর কোনটা নকল তা বলতে পারেন , তেমনি একজন লেখক বলতে পারেন কোনটা লেখা ভাল আর কোনটা খারাপ । তপন গল্প লেখার পর ছোটোমাসিকে প্রথম দেখিয়েছিল । তা ছোটোমাসি আবার মেসোকে দেখায় । তখন তপন ভেবেছিল লেখার আসল মূল্য একমাত্র নতুন মেসোই বুঝবে । কেননা তপনের মেসোমশাই একজন সত্যিকারের লেখক । 

২.৬। “বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের ।” – কেন তার এমন পরিস্থিতি হয়েছিল ?

উত্তরঃ- ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের লেখা গল্প ছাপানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘদিন অদৃশ্য থাকার পর হঠাৎই একদিন ছোটমাসি ও মেসো ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকা হাতে নিয়ে তপনের বাড়িতে আসেন । তাতে তার গল্প ছাপার কথা ভেবে তপনের বুকের রক্ত ছলাত করে ওঠে । 

২.৭ ‘তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই ।’ – কোন ঘটনা সবচেয়ে দুঃখজনক ?

উত্তরঃ- আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন । সে একটি গল্প লিখেছিল । সেটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তপন গল্পটি পড়ে মাকে শোনাতে যায় । তখন গল্পের প্রতিটি লাইন তাঁর কাছে অপরিচিত । তখন তপনের মনে হয়েছে নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়ার চেয়ে দুঃখের আর কিছু নেই । 

২.৮। ‘নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের ।’ – ‘জ্ঞানচক্ষু কথাটির অর্থ কী ? নতুন মেসোকে দেখে কীভাবে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছিল ?

উত্তরঃ- আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে জ্ঞানচক্ষু বলতে মানুষের অন্তর্দৃষ্টিকে বোঝানো হয়েছে । যার সাহায্যে মানুষ প্রকৃত সত্যকে যাচাই করে নিতে পারে । 

গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের লেখক সম্পর্কে এক অদ্ভুত ধারণা ছিল । তাঁর ধারনা ছিল লেখকেরা অন্য জগতের মানুষ । সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো মিল নেই । কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে তাঁর জ্ঞানচক্ষু খুলে যায় । সে জানতে পারে লেখকেরা যে তার বাবা , মামা ও কাকাদের মতোই সাধারণ জীবনযাপন করে । তাদের মতোই দাড়ি কামান , সিগারেট খান , খেতে বসে খাবার তুলে দেন , স্নানের সময় স্নান করেন , ঘুমানোর সময় ঘুমান এবং খবরের কাগজের কথা নিয়ে গল্প ও তর্ক করেন । এসব দেখার পর তপন ভাবে লেখকেরা আকাশ থেকে পড়া কোন জীব নয় , নিছক মানুষ । এভাবে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায় । 

২.৯। ‘তাই এই ভয়ানক আনন্দের খবরটা ছোটোমাসিকে সর্বাগ্রে দিয়ে বাসে ।’ -তপন কেন তার গল্প লেখার খবর সবার আগে তার ছোটোমাসিকে দিয়েছিল ?

উত্তরঃ- আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন । সে স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতির বিষয় নিয়ে গল্প লিখেছে । আর গল্পটি লেখার খবর সবার আগে সে তার ছোটোমাসিকে দিয়েছিল । কেননা ছোটোমাসি তপনের চিরকালের বন্ধু । তপন ছোটোমাসির থেকে আট বছরের ছোট হলেও সমবয়সি । এজন্য তপন সব কিছুর ব্যাপারে আগে ছোটোমাসিকে জানায় ।

২.১০। ‘একাসনে বসে লিখেও ফেলল আস্ত একটা গল্প ।’ — একাসনে বসার দরকারটি বুঝিয়ে দাও ।

উত্তরঃ- ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের লেখক সম্পর্কে এক অদ্ভুত ধারণা ছিল । তাঁর ধারনা ছিল লেখকেরা অন্য জগতের মানুষ । সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাদের কোনো মিল নেই । কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে তাঁর জ্ঞানচক্ষু খুলে যায় । সে জানতে পারে লেখকেরা যে তার বাবা , মামা ও কাকাদের মতোই সাধারণ জীবনযাপন করে । তখন সে একদিন দুপুরবেলা শান্ত নিস্তব্ধ পরিবেশে তিনতলার মধ্যে একাসনে বসে স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতির বিষয় নিয়ে গল্প লিখেছে ।

২.১১। গল্প প্রকাশিত হওয়ার পরও ছোটোমেসোর প্রতি যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত ছিল , তা করে না তপন । প্রকাশিত গল্পটি পড়ে তার কেন তার মনে অভিমান জাগে , তা বুঝিয়ে দাও ।

উত্তরঃ- আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের তপন একটি গল্প লিখেছিল । সেটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তপন গল্পটি পড়ে মাকে শোনাতে যায় । তখন গল্পের প্রতিটি লাইন তাঁর কাছে অপরিচিত । কেননা গল্পটি তপনের মেসোমশাই আগাগোড়াই কারেকশন করে দেয় । ফলে পূর্বের লেখার সঙ্গে তার কোনো মিল নেই । এমত অবস্থায় তপন লজ্জায় অপমানে ভেঙে পড়ে । এটাই ছিল তাঁর সবচেয়ে দুঃখের মুহূর্ত । তাই গল্পটি প্রকাশিত হওয়ার পরও ছোটোমেসোর প্রতি যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত ছিল তা করেনি, বরং তার মনে অভিমান দেখা দিয়েছিল । এরকম দুঃখের মুহূর্তে তপন গভীরভাবে সংকল্প করেছে এরপর যদি কখনো লেখা ছাপানোর হয় সে নিজে গিয়ে তা ছাপতে দেবে । নিজের কাঁচা লেখা হলে তা না ছাপলেও কোনো ক্ষতি নেই । যেন তাকে শুনতে না হয় অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে । আর কখনো যেন তপনকে নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়তে না হয় । 

২.১২। ‘তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন ।’ কেন তপনের একথা মনে হয়েছিল ? 

উত্তরঃ- আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন । সে স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতির বিষয় নিয়ে গল্প লিখেছে । গল্পটি ছাপার অক্ষরের বের হলে তপন তা মাকে পড়ে শোনাতে যায় । কিন্তু গল্পটি পড়ার সময় প্রত্যেকটি লাইন তপনের কাছে ছিল আনকোরা । কেননা গল্পটি তপনের মেসোমশাই আগাগোড়াই কারেকশন করে দেয় । ফলে পূর্বের লেখার সঙ্গে তার কোনো মিল নেই । এমত অবস্থায় তপন লজ্জায় অপমানে ভেঙে পড়ে । এভাবে পূর্বের সুখের দিনটি হয়ে ওঠে তপনের জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন ।

আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকিঃ দশম শ্রেণি

অসুখী একজন’ কবিতার প্রশ্নোত্তর

জ্ঞানচক্ষু গল্প দশম শ্রেণি

সেতু পাঠ নবম শ্রেণির ‘কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি’

সেতু পাঠ নবম শ্রেণির ‘ধীবর বৃত্তান্ত’

সেতু পাঠ নবম শ্রেণির ‘ইলিয়াস’ গল্প

বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান

বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান

গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।

বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা

আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান

গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান

কথাসাহিত্যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান

কথাসাহিত্যে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান

কথাসাহিত্যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান

উপন্যাস সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের অবদান

বাংলা উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা সাহিত্যে রাজশেখর বসু(পরশুরাম)-এর অবদান আলোচনা করো।

(অনুসন্ধান বিষয়কঃ সেতু পাঠক্রম দশম শ্রেণির বাংলা,শিখন সেতু | পাঠভিত্তিক প্রশ্নাবলির উত্তর | দশম শ্রেণি | ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প, জ্ঞানচক্ষু গল্প, gyanchokkhu class x, জ্ঞানচক্ষু, jnanchokkhu golpo class x, জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর,)

Leave a Reply