পাঠভিত্তিক প্রশ্নাবলি | ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা | দশম শ্রেণি | পাঠভিত্তিক প্রশ্নাবলির উত্তরপত্র
পাঠভিত্তিক প্রশ্নাবলি (সেতু পাঠক্রম এর উত্তর সমূহ )
আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি / শঙ্খ ঘোষ
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখোঃ
১.১ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ বাক্যাংশটি কবিতায় ক’বার ব্যবহৃত হয়েছে ? – (ক) একবার , (খ) দুবার , (গ) তিনবার , (ঘ) চারবার ।
উত্তরঃ- (খ) দুবার ।
১.২ আমাদের ডান-পাশে — (ক) রাস্তা , (খ) ধ্বস , (গ) খাদ , (ঘ) পর্বত ।
উত্তরঃ- (খ) ধ্বস ।
১.৩ “পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ ।” — ‘হিমানী’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ — (ক) জল , (খ) আগুন , (গ) তুষার , (ঘ) পর্বত ।
উত্তরঃ- (গ) তুষার ।
১.৪ “ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে” — কী ছড়ানো রয়েছে ? (ক) আমাদের শিশুদের শব , (খ) সৈন্যদের শব , (গ) লালরঙের ফুল , (ঘ) বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের শব ।
উত্তরঃ- (ক) আমাদের শিশুদের শব । আরো দেখে রাখতে পারো 👉 জ্ঞানচক্ষু গল্প দশম শ্রেণি
২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখোঃ
২.১ ‘আয় আরা বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় যু্দ্ধের বিরদ্ধে কবি কোন বক্তব্য প্রকাশ করেছেন ?
উত্তরঃ- ‘আয় আরা বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় যু্দ্ধের বিরদ্ধে কবি সাধারণ মানুষকে হতাশার মধ্যে বাঁচার পথ দেখিয়েছেন এবং সংঘবদ্ধ হতে বলেছেন ।
২.২ “তবু তো কজন আছি বাকি” — যারা বাকি আছে তাদের কীসের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে ?
উত্তরঃ- কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত । কবির মতে সাম্রাজ্যবাদী ও স্বার্থান্বেষী একদল মানুষ নানান প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের চলার পথ রুদ্ধ করে দিতে চাইছে । সামাজিক , অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবনের তারা নানাভাবে বিপন্ন । যুদ্ধের ভয়াবহতা সাধারণ মানুষকে জীবিকাহীন , আশ্রয়হীন করে তুলেছে । এইরকম পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ মানুষই যখন হতাশাগ্রস্ত তখন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন যে কয়েকজন মানুষ বেঁচে আছে , যারা পরস্পর ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করার কথা বলে । কবি তাদের নিয়ে প্রতিরোধের আশায় আহ্বান জানিয়েছেন ।
২.৩ “আয় আরো হাতে হাত রেখে / আয় আরো বেঁধে বঁধে থাকি ।”—এই উদ্বৃতির মধ্যে দিয়ে কবি কী বলতে চেয়েছেন ?
উত্তরঃ- কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় বিশ্বব্যাপী প্রতিকূল পরিবেশের কথা তুলে ধরতে গিয়ে বোমারু বিমানের আক্রমণ , নিরপরাধ সাধারণ মানুষের নির্বিচারে প্রাণদান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের ধ্বংস হয়ে যাওয়ার বর্ণনা তুলে ধরেছেন । কবি উপলব্ধি করেছেন এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য মানুষের সৌভ্রাতৃত্ব , সহযোগিতা ও সহমর্মিতা একান্ত প্রয়োজন । কেননা সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ও অশুভ শক্তির প্রভাবে সাধারণ মানুষ আজ বিপন্ন । সমগ্র বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ , সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদীতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষ যখন অসহায় হয়ে পড়েছে , তখন কবি তাঁর কবিতার মধ্য দিয়েই শুভবুদ্ধি ও মানবতাবোধ সম্পন্ন মানুষদের আহ্বান জানিয়েছেন । কবির ভাষায় —
“আয় আরো হাতে হাত রেখে / আয় আরো বেঁধে বঁধে থাকি ।”
২.৪ “আমাদের ইতিহাস নেই” — এই উক্তির অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝিয়ে দাও ।
উত্তরঃ- কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত “আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি” কবিতার উদ্ধৃত অংশটি । ইতিহাস হল কোনো জাতির ও সভ্যতার আত্মবিকাশের গৌরবময় কাহিনি । কিন্তু যখন সেই ইতিহাস নিয়ন্ত্রিত হয় কোনো ক্ষমতাবান গোষ্ঠী , ধর্মসম্প্রদায় কিংবা রাজনীতির দ্বারা , তখন ইতিহাসের সেই মহিমার বিকৃতি ঘটে । ক্ষমতাবানরা নিজেদের স্বার্থে ইতিহাসকে নিজেদের মতো করে গড়ে তোলে । মানুষ একসময় ভুলে যায় তার প্রকৃত ইতিহাস , আর চাপিয়ে দেওয়া ইতিহাসকেই নিজের বলে মেনে নেয় । এই পরিপ্রেক্ষিতকেই কবি এখানে তুলে ধরেছেন ।
২.৫ “আমরা ভিখারি বারো মাস।” — কেন একথা বলা হয়েছে ?
উত্তরঃ- কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে । কবিতায় কবি ভিখারি বারোমাস বলতে কবি মানুষের মানসিক দৈন্যের কথা বলেছেন । সাধারণ মানুষ নানান প্রতিকূলতা ও যুগযন্ত্রণার ক্ষত নিয়ে বেঁচে আছে । সে পথহারা , তার মানসিক দৃঢ়তা শিথিল হয়ে পড়েছে । তার প্রকৃত ইতিহাসের সঠিক প্রতিফলন হয়নি জেনেও সে নিশ্চুপ ও বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন । এইভাবে পারিপার্শ্বিক জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আত্মকেন্দ্রিক ও গৃহসুখী মানসিকতাকেই কবি ভিখারির মতো দিন অতিবাহিত করা বলতে চেয়েছেন । এভাবে আপাত দুর্বল ও ভীরু সাধারণ মানুষের অবহেলিত মানসিক দৈন্যের কথা বলতে গিয়ে কবি এমন মন্তব্য করেছেন ।
২.৬ “পৃথিবী হয়তো বেঁচে আছে/পৃথিবী হয়তো গেছে মরে” — কবির মনে এমন অনিশ্চয়তা কেন ?
উত্তরঃ- আলোচ্য উক্তিটি কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে । যুদ্ধ ও দাঙ্গাবিধ্বস্ত পৃথিবীতে মানুষ দিশেহারা , তার হাত-পা বাঁধা । পারিপার্শ্বিক প্রতিকূলতার মাঝে পীড়িত ঘরহারা , ইতিহাসে ঠাঁই না পাওয়া মানুষগুলোর কাছে বেঁচে থাকার অর্থটাই হারিয়ে গেছে । পৃথিবীর বেঁচে থাকা বা না থাকায় তাদের কিছু যায় আসে না । জীবনের অর্থহীনতায় বেঁচে থাকার আশা হারিয়েছে । তাই সমস্ত পৃথিবীটা তার কাছে জীবন্মৃত বলে মনে হয়েছে ।
২.৭ “আমাদের মাথায় বোমারু।” — কবিতা অনুসরণে সেই রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির বর্ণনা দাও ।
উত্তরঃ- কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত । যুদ্ধবাজ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যেমন বোমারু বিমান থেকে অতর্কিতে আক্রমণ চালায় , তেমনই আচমকা আক্রমণে মানুষের জীবন আজ বিপন্ন । কবিতায় কবি সেই বিপন্নতার কথাই বলেছেন ।
২.৮ ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ — কবি এমন আহ্বান জানিয়েছেন কেন ?
উত্তরঃ- কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘ আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা থেকে আলোচ্য উক্তিটি গৃহীত । কবিতায় বিশ্বব্যাপী প্রতিকূল পরিবেশের কথা তুলে ধরতে গিয়ে বোমারু বিমানের আক্রমণ , নিরপরাধ সাধারণ মানুষের নির্বিচারে প্রাণদান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের ধ্বংস হয়ে যাওয়ার বর্ণনা তুলে ধরেছেন । কবি উপলব্ধি করেছেন এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য মানুষের মানুষের সৌভ্রাতৃত্ব , সহযোগিতা ও সহমর্মিতা একান্ত প্রয়োজন । কেননা সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ও অশুভ শক্তির প্রভাবে সাধারণ মানুষ আজ বিপন্ন । সমগ্র বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ , সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদীতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষ যখন অসহায় হয়ে পড়েছে , তখন কবি তাঁর কবিতার মধ্য দিয়েই শুভবুদ্ধি ও মানবতাবোধ সম্পন্ন মানুষদের আহ্বান জানিয়েছেন — “আয় আরো বেঁধে বঁধে থাকি।”
২.৯ “ছড়ানো রয়েছে কাছে দূরে ।” কাছে-দূরে কী ছড়ানো রয়েছে ?
উত্তরঃ- আলোচ্য উক্তিটি কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘ আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে । কাছে দূরে ছড়ানো রয়েছে শিশুদের শব ।
২.১০ “আমাদের চোখ মুখ ঢাকা ।” — একথা বলার কারণ কী ?
উত্তরঃ- আলোচ্য উক্তিটি কবি শঙ্খ ঘোষ রচিত ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে । শান্তিপ্রিয় সর্বহারা মানুষ সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারা ষড়যন্ত্রের শিকার । স্বার্থসিদ্ধির জন্য তারা সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে । আর এই বঞ্চনার ইতিহাস বয়ে চলে যুগযুগান্তরে , যেখানে অবক্ষয়ের অন্ধকারে ঢাকা পড়ে আছে মানুষের মানবিক সত্তা । তাই কবি বলেছেন —“আমাদের চোখ মুখ ঢাকা।”
আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇
আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকিঃ দশম শ্রেণি
‘অসুখী একজন’ কবিতার প্রশ্নোত্তর
সেতু পাঠ নবম শ্রেণির ‘কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি’
সেতু পাঠ নবম শ্রেণির ‘ধীবর বৃত্তান্ত’
সেতু পাঠ নবম শ্রেণির ‘ইলিয়াস’ গল্প
বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান
বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান
গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।
বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা
আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান
গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান
কথাসাহিত্যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান
কথাসাহিত্যে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান
কথাসাহিত্যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান
উপন্যাস সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান
বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের অবদান
বাংলা উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা সাহিত্যে রাজশেখর বসু(পরশুরাম)-এর অবদান আলোচনা করো।
(অনুসন্ধান বিষয়কঃ সেতু পাঠক্রম দশম শ্রেণির বাংলা,শিখন সেতু | পাঠভিত্তিক প্রশ্নাবলির উত্তর | দশম শ্রেণি |’আয় আরা বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতা , ay aro bedhe bedhe thaki, class x bengali, আয় আরা বেঁধে বেঁধে থাকি, kobita class x,)