সিন্ধুতীরে | সৈয়দ আলাওল
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখোঃ
১.১ ‘কন্যারে ফেলিল যথা’ – ‘কন্যা’র নাম কী? (ক) পদ্মাবতী , (খ) ময়না , (গ) চন্দ্রবতী , (ঘ) চন্দ্রাণী ।
উত্তরঃ- (ক) পদ্মাবতী ।
১.২ ‘অতি মনোহর দেশ/ নাহি তথা দুঃখ ক্লেশ’, যে দেশের কথা বলা হয়েছে — (ক) কলিঙ্গ দেশ , (খ) চিতোর , (গ) সিংহল , (ঘ) সমুদ্র কন্যা পদ্মার অধিষ্ঠানভূমি ।
উত্তরঃ- (ঘ) সমুদ্র কন্যা পদ্মার অধিষ্ঠানভূমি ।
১.৩ ‘সখী সবে আজ্ঞা দিল’ — সখীদের কে আজ্ঞা দিয়েছিল ? — (ক) পদ্মা , (খ) পদ্মাবতী , (গ) বিধুন্নলা , (ঘ) রোহিনী ।
উত্তরঃ- (ক) পদ্মা ।
১.৪ চেতনাহীন কন্যাকে দেখে পদ্মার মনে কীসের উদয় হয়েছিল? — (ক) দ্বেষ , (খ) মমতা , (গ) স্নেহ , (ঘ) করুণা ।
উত্তরঃ- (গ) স্নেহ ।
২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখোঃ
২.১ ‘পঞ্চকন্যা পাইল চেতন’ —পঞ্চকন্যার পরিচয় দাও । তারা কীভাবে চেতনা ফিরে পেল , তা নিজের ভাষায় লেখো ।
উত্তরঃ- সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় পঞ্চকন্যা হল সিংহল রাজকন্যা পদ্মাবতী ও তাঁর চার সখী (চন্দ্রকলা , বিজয়া , রোহিণী , বিধুন্নলা) ।
সমুদ্রকন্যা পদ্মা শুধু বিধাতার কাছে অচেতন পদ্মাবতী জন্য প্রার্থনা করে তার দায় শেষ করেননি । তিনি তার উপযুক্ত চিকিৎসার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন । পদ্মার আদেশে তার সখীরা অচেতন পদ্মাবতী ও তার চার সখীদের দেহ বসনে ঢেকে উদ্যানের মধ্যে নিয়ে যান । তারপর তন্ত্র-মন্ত্র মহৌষধি সহযোগে তাদের মাথায় এবং পায়ে আগুনের সাহায্যে সেঁক দেওয়া হয় । এইভাবে চার দণ্ড বহু সেবা-যত্ন চিকিৎসা করার ফলে পঞ্চকন্যা চেতনা ফিরে পায় ।
২.২ ‘কন্যারে ফেলিল যথা’ কন্যার পরিচয় দাও । তাকে যেখানে ফেলা হয়েছিল সেই স্থানটি কীরূপ ছিল ?
উত্তরঃ– কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের অন্তর্ভুক্ত ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় কন্যাটি হল সিংহলরাজ গন্ধর্বসেনের কন্যা পদ্মাবতী ।
পদ্মাবতীকে যেখানে ফেলা হয়েছিল সেই স্থানটি অতি মনোহর । সেখানে কোন দুঃখ কষ্ট নেই । আছে শুধু সত্য ধর্ম ও সাদচার । আর আছে একটি পর্বত এবং নানা পুষ্পসম্বলিত অপূর্ব এক উদ্যান । সেখানে ফুলের সুবাস স্বর্গীয় পরিমণ্ডল সৃষ্টি করেছে । নানা ফলের সমারোহে গাছগুলি দৃষ্টিনন্দন ।
২.৩ ‘দেখিয়া রুপের কলা বিস্মিত হইল বালা/ অনুমান করে নিজ চিতে ।’ — ‘বালা’ কে ? সে কেন বিস্মিত হয়েছিল তা বুঝিয়ে লেখো ।
উত্তরঃ- সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় ‘বালা’ হলেন সমুদ্রনৃপতির কন্যা পদ্মা ।
পদ্মা একদিন সকালে তাঁর সখীদের সাথে উদ্যানে ভ্রমণ করতে এসে সমুদ্রতীরে একটি ভেলা দেখে কৌতূহলবশত সেখানে উপস্থিত হন । বিস্মিত হয়ে তিনি দেখেন যে , চার সখীর মাঝখানে এক অপরূপা কন্যা মাটিতে পড়ে আছেন । তাঁরা সকলেই সংজ্ঞাহীন । কন্যাটি অসামান্য রূপবতী ।
২.৪ ‘সমুদ্রনৃপতিসুতা’ কে ? তার চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।
উত্তরঃ– কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় সমুদ্রনৃপতিসুতা হলেন পদ্মা ।
পদ্মার চরিত্রের বেশকিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায় । সেগুলি হল —
ক) সৌন্দর্যপ্রিয়ঃ- পদ্মার মধ্যে ছিল সৌন্দর্যপ্রিয়তা । তাই তিনি যে উদ্যানটি তৈরি করেছেন সেখানে নানা ফুল সুগন্ধ বিস্তার করেছে , গাছে নানা ফল ধরেছে ।
খ) কৌতূহলীঃ– পদ্মা উদ্যানে ভ্রমণকালে সমুদ্রতীরে ভেলা দেখে কৌতূহলী হয়ে পড়েন । এই কৌতুহলের বশবর্তী হয়েই তিনি সেখানে গিয়ে পদ্মাবতীসহ পাঁচকন্যাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেন ।
গ) সেবাপরায়ণঃ- পদ্মাবতীর মধ্যে যথেষ্ট সেবাপরায়নতা রয়েছে । এই গুণেই তিনি পদ্মাবতীসহ পাঁচকন্যাকে উদ্ধার করে তাদের সেবা-শুশ্রূষার ব্যবস্থা করেছেন ।
ঘ) উদার মানবিকতাঃ– অপরিচিতা পদ্মাবতীকে সমুদ্রতীরে মাদ্রাসে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাঁর যে উৎকণ্ঠা , ঈশ্বরের কাছে তাঁর কাতর প্রার্থনা , এতে তাঁর উদার মানবিকতার দিকটি ধরা পড়েছে ।
২.৫ ‘অনুমান করে নিজ চিতে’ — অনুমানটি কী ?
উত্তরঃ- সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় সমুদ্রের পাড়ে অপূর্ব সুন্দরী পদ্মাবতীকে দেখে সমূদ্ররাজকন্যা পদ্মা অনুমান করেন , ইন্দ্রের অভিশাপের স্বর্গের অপ্সরা বিদ্যাধরি স্বর্গভ্রষ্ট হয়ে অচেতন অবস্থায় সেখানে পড়ে রয়েছেন ।
২.৬ ‘তাহাতে বিচিত্র টঙ্গি’ – ‘টঙ্গি’ শব্দটির অর্থ কী ?
উত্তরঃ- কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় ‘টঙ্গি’ শব্দটির অর্থ হল প্রাসাদ ।
২.৭ ‘সিন্ধুতীরে’ কাব্যাংশটি কোন কাব্যগ্রন্থের কোন খণ্ড থেকে নেওয়া হয়েছে ?
উত্তরঃ– কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতাটি ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের ৩৫ তম খণ্ড ‘পদ্মা-সমুদ্র খণ্ড’ থেকে নেওয়া হয়েছে ।
২.৮ ‘তুরিত গমনে আসি’ — তুরিত গমনে এসে পদ্মা কী দেখতে পেয়েছিলেন ?
উত্তরঃ– সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় পদ্মা তাঁর সখীদের সাথে ভোরবেলা বাগানে বেড়াতে এসে সমুদ্রতীরে একটি ভেলা দেখতে পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছে ভেলায় অচৈতন্য অবস্থায় পাঁচ কন্যাকে দেখতে পেলেন ।
২.৯ ‘তথা কন্যা থাকে সর্বক্ষণ’ — কন্যার পরিচয় দাও । সে সর্বক্ষণ কোথায় অবস্থান করে ?
উত্তরঃ- সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় ‘কন্যা’ বলতে সমুদ্রনৃপতির কন্যা পদ্মার কথা বলা হয়েছে ।
পদ্মা সমুদ্রের পাশে অবস্থিত এক সুন্দর জায়গায় পর্বতের কাছে একটি উদ্যান রচনা করেছিলেন । সেই উদ্যানে নানাধরনের সুগন্ধি ফুল , এ ছাড়া নানারকম সুলক্ষণযুক্ত বৃক্ষ রয়েছে । উদ্যানের মণিমাণিক্যখচিত পাসাদটিতে রাজকন্যা পদ্মা সর্বক্ষণ অবস্থান করতেন ।
২.১০ ‘বিস্মিত হইল বালা’ — তার বিস্ময়ের কারণ কী ?
উত্তরঃ– কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় ‘বালা’ হলেন সমুদ্রনৃপতির কন্যা পদ্মা । তাঁর বিস্ময়ের কারণ হল তিনি একদিন সকালে তাঁর সখীদের সাথে উদ্যানে ভ্রমণ করতে এসে সমুদ্রতীরে একটি ভেলা দেখে কৌতূহলবশত সেখানে উপস্থিত হন । বিস্মিত হয়ে তিনি দেখেন যে , চার সখীর মাঝখানে এক অপরূপা কন্যা মাটিতে পড়ে আছেন । তাঁরা সকলেই সংজ্ঞাহীন । কন্যাটি অসামান্য রূপবতী ।
২.১১ পদ্মা তাঁর সখীদের নিয়ে উদ্যানে আসার সময় কী দেখতে পেয়েছিলেন ? এরপর তিনি কী করলেন ?
উত্তরঃ- সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় পদ্মা তাঁর সখীদের সাথে উদ্যানে আসার সময় দেখতে পেয়েছিলেন , সমুদ্রতীরে ভেলায় পাঁচ কন্যা অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে ।
পদ্মা তা দেখার পর বিধাতার কাছে অচেতন পদ্মাবতী জন্য প্রার্থনা করে তার দায় শেষ করেননি । তিনি তার উপযুক্ত চিকিৎসার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন । পদ্মার আদেশে তার সখীরা অচেতন পদ্মাবতী ও তার চার সখীদের দেহ বসনে ঢেকে উদ্যানের মধ্যে নিয়ে যান । তারপর তন্ত্র-মন্ত্র মহৌষধি সহযোগে তাদের মাথায় এবং পায়ে আগুনের সাহায্যে সেঁক দেওয়া হয় । এইভাবে চার দণ্ড বহু সেবা-যত্ন চিকিৎসা করার ফলে পঞ্চকন্যা চেতনা ফিরে পায় ।
২.১২ ‘তন্ত্রে মন্ত্রে মহৌষধি দিয়া’ — সমুদ্র রাজার কন্যা পদ্মা তার সখীদের নিয়ে কার পরিচর্যা করেছিলেন ? কাব্যাংশ অনুসরণে সেই পরিচর্যার পরিচয় দাও ।
উত্তরঃ- কবি সৈয়দ আলাওল রচিত ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতায় সমুদ্ররাজার কন্যা পদ্মা তাঁর সখীদের নিয়ে পদ্মাবতী ও তাঁর চার সখীর (চন্দ্রকলা , বিজয়া , রোহিণী , বিধুন্নলা) পরিচর্যা করেছিলেন ।
পদ্মা প্রথমে বিধাতার কাছে অচেতন পদ্মাবতীর জন্য প্রার্থনা করে । তিনি তার উপযুক্ত চিকিৎসার যথাসাধ্য চেষ্টা করেন । পদ্মার আদেশে তার সখীরা অচেতন পদ্মাবতী ও তার চার সখীদের দেহ বসনে ঢেকে উদ্যানের মধ্যে নিয়ে যান । তারপর তন্ত্র-মন্ত্র মহৌষধি সহযোগে তাদের মাথায় এবং পায়ে আগুনের সাহায্যে সেঁক দেওয়া হয় । এইভাবে চার দণ্ড বহু সেবা-যত্ন চিকিৎসা করার ফলে পঞ্চকন্যা চেতনা ফিরে পায় । কবির ভাষায় —
“অগ্নি জ্বালি ছেকে গাও কেহ শিরে কেহ পাও
তন্ত্রে মন্ত্রে মহৌষধি দিয়া।
দণ্ড চারি এই মতে বহু যত্নে চিকিৎসিতে
পঞ্চকন্যা পাইলা চেতন। “
আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇
আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকিঃ দশম শ্রেণি
হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রশ্নোত্তর
সেতু পাঠ নবম শ্রেণির ‘কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি’
সেতু পাঠ নবম শ্রেণির ‘ধীবর বৃত্তান্ত’
বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান
বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান
গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।
বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা
আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান
গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান
কথাসাহিত্যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান
কথাসাহিত্যে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান
কথাসাহিত্যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান
উপন্যাস সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান
বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের অবদান
বাংলা উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা সাহিত্যে রাজশেখর বসু(পরশুরাম)-এর অবদান আলোচনা করো।
(অনুসন্ধান বিষয়কঃ সেতু পাঠক্রম দশম শ্রেণির বাংলা, শিখন সেতু | পাঠভিত্তিক প্রশ্নাবলির উত্তর | দশম শ্রেণি | ‘সিন্ধুতীরে’ কবিতা, sindhutire kobita, class x bengali, সিন্ধুতীরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর,সিন্ধুতীরে কবিতার প্রশ্ন উত্তর, সিন্ধুতীরে সৈয়দ আলাওল, )