You are currently viewing অনুসর্গ কী ? অনুসর্গের প্রকারভেদ PDF

অনুসর্গ কী ? অনুসর্গের প্রকারভেদ PDF

অনুসর্গ বিস্তারিত আলোচনা

আজ আমরা বাংলা ব্যাকরণের একটি অধ্যায় অনুসর্গ বিষয়ে আলোচনা করব । অনুসর্গ বিষয়ে কতগুলি প্রশ্ন দেখে রাখি আজকের আলোচনা দ্বারা যেগুলির উত্তর পাওয়া যাবে। প্রশ্নগুলি হলঃ

অনুসর্গ কী ? অনুসর্গ কাকে বলে ?অনুসর্গ কী কাজ করে ? অনুসর্গের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ? অনুসর্গের প্রয়োজনীয়তা কী ? অনুসর্গ ও বিভক্তির মধ্যে পার্থক্য কোথায় ? অনুসর্গ কে পরসর্গ বলে কেন, অনুসর্গের প্রকারভেদ এবংঅনুসর্গ ও উপসর্গের মধ্যে পার্থক্য কী ? এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

PDF Download link নিচে দেওয়া হল।

আমরা জানি যে এক বা একাধিক ধ্বনি পরস্পর যুক্ত হয়ে যখন অর্থ প্রকাশ করে তখন তাকে বলে শব্দ। যেমন- গাছ,, আকাশ, মাটি, ঘর, বই, রাম ইত্যাদি। 

এই শব্দের সঙ্গে বিভক্তি ও নির্দেশক যুক্ত হলে তাকে বলে পদ। যেমন-  

                         ঘর +এ = ঘরে

                         রাম+কে = রামকে

                        রাম +এর = রামের

                        মাটি + তে = মাটিতে

                        বই +খানা = বইখানা ( ‘খানা’ নির্দেশক)

                        বই+ টি – বইটি

অর্থাৎ, শব্দ+ বিভক্তি/ নির্দেশক = পদ

যে বর্ণ বা বর্ণ গুচ্ছ ধাতু বা শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পদ গঠন করে ও কারক সম্পর্ক স্থাপন করে তাকে বিভক্তি বলে। আমরা জানি জানি এ,কে ,তে ,র, এর,রে,য় হল বিভক্তি।

বিভক্তির কাজ: বিভক্তির কাজ হল শব্দকে পদে পরিণত করা এবং কারক সম্পর্ক গড়ে তোলা।

যেমন দেখো একটি উদাহরণ:-

রমা শ্যামকে বকা দিল।  –এখানে ‘শ্যাম’ বিশেষ্যটির পদ সঙ্গে ‘কে’ বিভক্তি যুক্ত হয়ে বাক্যটিতে কারক সম্পর্ক স্থাপন করেছে।   

রমা কর্তৃক শ্যাম বকা খাইল।  —- এই বাক্যটিতে ‘রমা’ এই বিশেষ্য পদের পরে ‘কর্তৃক’ অব্যয়টি স্বাধীনভাবে বসে বিভক্তির মত কাজ করল এবং কারক সম্বন্ধ নির্ধারণ করল।  

প্রথম বাক্যে শ্যাম বিশেষ্য পদটির সঙ্গে কে বিভক্তি যুক্ত হয়ে অন্যান্য পদগুলি সঙ্গে কারক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। তেমনি পরের উদাহরণটিতে রমা বিশেষ্য পদটির পরে ‘কর্তৃক’ অব্যয়টি পৃথকভাবে বসে বিভক্তির মত কাজ করে বাক্যের পরবর্তী পদগুলোর সঙ্গে কারক সম্পর্ক স্থাপন করেছে।

তাহলে এই ‘কর্তৃক’ পদটি হল অব্যয় জাতীয় পদ বা অনুসর্গ।  

অনুসর্গ কাকে বলে ?

অনুসর্গ এক প্রকার অব্যয়

‘অনু’ অর্থ = পশ্চাৎ বা ‘পরে’।

‘সর্গ’ অর্থাৎ = অবস্থান

‘অনুসর্গ’ কথাটির অর্থ হল পশ্চাৎ বা পরে অবস্থান যার।

‘অনুসর্গ’ ব্যবহৃত হয় বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে।

সংজ্ঞা:- যে সব অব্যয় বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে পৃথক ভাবে বসে শব্দ বিভক্তির মতো কাজ করে বা কারক- সমন্ধ নির্ধারণ করে সেই অব্যয়গুলিকে বলা হয় অনুসর্গ ।

অনুসর্গগুলি হলঃ দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক, হইতে, থেকে, চেয়ে, নিমিত্ত,জন্য, জন্যে,মতো,তরে, ছাড়া,   হেতু,প্রতি,বিনা,বাবদ,দরুন,সঙ্গে, সাথে,সহিত,দিকে,পানে, দিয়ে,অভিমুখে,আগে, মাঝে,অধিক,ব্যতীত,ভিন্ন,পাছে,অপেক্ষা, নিকট,প্রতি  ইত্যাদি।

অনুসর্গের আরো কয়েকটি প্রচলিত নাম আছে:-

পরসর্গ, সম্বন্ধীয়, কর্মপ্রবচনীয় ।

অনুসর্গকে কর্মপ্রবচনীয় বলে কেন ?

পাণিনিই প্রথম অনুসর্গকে কর্মপ্রবচনীয় বলেছেন । পাণিনির উক্ত কর্মপ্রবচনীয় শব্দে ‘কর্ম’ বলতে তিনি বুঝিয়েছেন ক্রিয়াকে । কর্মপ্রবচনীয় কথাটির অর্থ হল, যে পদগুলি পূর্বে কোনো ক্রিয়ার অর্থ প্রকাশ করত কিন্তু  বর্তমানে কোনো ক্রিয়ার অর্থ প্রকাশ করে না, কেবল ক্রিয়ার সঙ্গে নামপদের সম্বন্ধ গড়ে তোলে। তাই ক্রিয়াজাত অনুসর্গগুলিই প্রকৃতপক্ষে  কর্মপ্রবচনীয়। এগুলি আসলে অসমাপিকা ক্রিয়া হলেও বর্তমানে ক্রিয়া নয়, ক্রিয়ার সঙ্গে নামপদের সম্পর্ক প্রকাশ করে। সুতরাং আমরা এই সংজ্ঞা থেকে বুঝতে পারছি যে, শব্দজাত অনুসর্গগুলি আক্ষরিক অর্থে কর্মপ্রবচনীয় নয় , ক্রিয়াজাত অনুসর্গগুলিই প্রকৃতপক্ষে  কর্মপ্রবচনীয়।

অনুসর্গযোগে কয়েকটি বাক্যের উদাহরণ:-   

১.নুন ছাড়া খাবার ভালো খেতে লাগে না। 

নুন – বিশেষ্য পদ

ছাড়া- অনুসর্গ

ছাড়া অনুসর্গটি নুন ও খাবারের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছে।

ছাড়া অনুসর্গটি ‘নুন’ এই বিশেষ্য পদটির পরে পৃথক ভাবে বসে সংশ্লিষ্ট পদের সঙ্গে পরবর্তী পদের অর্থবোধক সম্পর্ক সৃষ্টি করেছে।

২.সুতো দিয়ে বাঁধ।

সুতো- বিশেষ্য পদ 

দিয়ে- অনুসর্গ

‘দিয়ে’ অনুসর্গটি ‘দড়ি’ এবং ‘বাঁধ’ এই পদ দুটির মধ্যে একটি সম্পর্ক তৈরি করে অর্থ প্রকাশ করেছে।

৩. রীতার চেয়ে শ্যামা ভালো।  রীতা- বিশেষ্য পদ তার সঙ্গে ‘এর’ বিভক্তি যুক্ত হয়েছে। 

‘চেয়ে’ অব্যয় টি অনুসর্গ হিসেবে পরবর্তী পদগুলোর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে পরিপূর্ণ অর্থ প্রকাশ করছে।

৪.তার কাছে খাতাটি আছে।   

তার – সর্বনাম  

কাছে- অনুসর্গ

‘ও’ সর্বনাম পদটির সঙ্গে ‘র’ বিভক্তিযুক্ত হয়েছে। 

‘কাছে’- অনুসর্গ

তাহলে আমরা বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে অনুসর্গের ব্যবহার এবং বিভক্তিছাড়া শব্দের পরে অনুসর্গের ব্যবহার জানলাম।

অনুসর্গের কাজ:-

১.অনুসর্গগুলি বাক্যের মধ্যে ব্যবহৃত হয়ে এক পদের সঙ্গে অন্য পদের সম্পর্ক স্থাপন করে।

২. অনুসর্গগুলি অনেক সময় কারকের বিভক্তি হিসেবেও কাজ করে। 

অনুসর্গের বৈশিষ্ট্য:-

১. অনুসর্গগুলো অব্যয় পদ এবং এর নিজস্ব অর্থ আছে।

২. বিভক্তি দিয়ে যেমন কারক চেনা যায় ,তেমনি অনুসর্গ দিয়েও কারক চেনা যায়।

৩. অনুসর্গ বিভক্তির মত কাজ করে।বিভক্তির মত কারক সম্বন্ধ নির্দেশ না করলে তাকে অনুসর্গ বলা যায় না।

৪. অনুসর্গ শব্দের পরে বসে সংশ্লিষ্ট শব্দের সঙ্গে পরবর্তী শব্দের অর্থবোধক সম্পর্ক সৃষ্টি করে।

৫. অনুসর্গের পূর্বপদটি বিশেষ্য হলে সেটি বিভক্তিযুক্ত হতে পারে, আবার না-ও হতে পারে। কিন্তু সর্বনাম হলে অবশ্যই বিভক্তিযুক্ত হবে।

অনুসর্গের প্রয়োজনীয়তা:-

১. অনুসর্গগুলো বাংলা ভাষায় বিভক্তির কাজ করে এজন্য বাক্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২. অনুসর্গগুলো বাক্য গঠনে সহায়তা করে অনুসর্গ ব্যতীত বাক্য গঠন সম্ভব হয় না।

৩.  অভাব ,তুলনা, ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করতে অনুসর্গের প্রয়োজন।

৪. অনুসর্গ ছাড়া কারকের অর্থ প্রকাশ পায় না।

৫. অনুসর্গের দ্বারা বাক্যের ভাব সুষ্ঠু ও পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করা যায়।

অনুসর্গ ও বিভক্তির মধ্যে পার্থক্য কোথায় ?

১ অনুসর্গের নিজস্ব অর্থ আছে। যেমন- দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক।

   বিভক্তির নিজস্ব অর্থ নেই। যথা:- এ,তে, য়, র ইত্যাদি।

২. অনুসর্গ পদের পরে আলাদাভাবে বসে। যেমন- গাছ থেকে ফল পড়ে।

   বিভক্তি পদের সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় থাকে। যেমন- বনে আছে বাঘ।

৩. অনুসর্গ প্রধানত শব্দের পরে ব্যবহৃত হলেও কোন কোন ক্ষেত্রে শব্দের আগেও ব্যবহৃত হয়।       

    যেমন- ‘বিনা মেঘে বজ্রাঘাত।’

    বিভক্তি শব্দের শেষে প্ৰযুক্ত হয়ে শব্দের সঙ্গে একীভূত হয়ে যায়। যেমন- ‘বৃষ্টিতে ভিজে গেল’।

৪. অনুসর্গ নিজে এক ধরনের অব্যয় পদ। বিভক্তি কোনো পদ নয়।

৫। অনুসর্গ শুধুমাত্র পদের পরে বসে, ধাতুর পরে বসে না। অপর দিকে বিভক্তি শব্দ ও ধাতু, উভয়ের     

     সাথে যুক্ত হতে পারে। 

অনুসর্গের প্রকারভেদ:- অনুসর্গ দুই প্রকার –

১.শব্দজাত অনুসর্গ এবং 

২.ক্রিয়াজাত অনুসর্গ

১. শব্দজাত অনুসর্গ:-

শব্দজাত অনুসর্গগুলিকে কেউ নাম অনুসর্গ বা কেউ বিশেষ্য অনুসর্গও বলে থাকেন। বাংলায় এই অনুসর্গগুলিকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়।

(ক) সংস্কৃত বা তৎসম অনুসর্গ 

(খ) বিবর্তিত, রূপান্তরিত বা তদ্ভব অনুসর্গ (+ দেশি অনুসর্গ) 

(গ) বিদেশি অনুসর্গ

(১) সংস্কৃত বা তৎসম অনুসর্গ:-

যে সকল শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সরাসরি বাংলা ভাষার বাক্যে অনুসর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয় সে সকল অনুসর্গ কে সংস্কৃত অনুসর্গ বলা হয়। 

যেমন:-দ্বারা, কর্তৃক, সহিত,ব্যতীত,দিকে,নিমিত্ত,পশ্চাতে,অভিমুখে,মধ্যে ইত্যাদি

১. দ্বারা : আমার দ্বারা কিছুই হবে না। 

২. কর্তৃক : শরৎচন্দ্র কর্তৃক এইসব শব্দ প্রযুক্ত হইয়াছিল। 

৩. ব্যতীত : জল ব্যতীত মাছের জীবন অসম্ভব। 

৪. দিকে : ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বসে আছি।

৫. ন্যায় : গােপাল ভাঁড়ের ন্যায় রসিক কটি আছে? 

৬. নিমিত্ত : বিশ্রামের নিমিত্ত এই কক্ষটি নির্মিত। 

৭. পশ্চাতে : মরীচিকার পশ্চাতে ছুটলে মৃত্যুই পরিণতি।

৮. সমীপ : প্রহরী রাজার সমীপে চোরটিকে পেশ করল।

৯. অভিমুখে : নদীগুলি যায় মোহনার অভিমুখে। 

১০. মধ্যে : সে ইতিহাসে দশের মধ্যে দশ পেয়েছে।  

এগুলি ছাড়াও এই শাখাটিতে অন্য অনুসর্গগুলি হলাে : অপেক্ষা, উপরে, কারণে, জন্য, নিকট, প্রতি, সঙ্গে, সম্মুখে, সহিত, নীচে, অন্তরে, অবধি। 

(খ) বিবর্তিত, রূপান্তরিত বা তদ্ভব অনুসর্গ এবং দেশি অনুসর্গ :-

তদ্ভব শব্দের মতাে এই অনুসর্গগুলি সংস্কৃত থেকে রূপান্তরিত বা বিবর্তিত হয়ে তৈরি হয়েছে।

‘বিবর্তিত’ শব্দের অর্থ হল= ‘পরিবর্তিত’ বা পরিবর্তনের মাধ্যমে আসা।

সংস্কৃত শব্দের বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে আগত কোন শব্দ যখন অনুসর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয় তখন তার নাম হয় সংস্কৃত বিবর্তিত অনুসর্গ বা বিবর্তিত রূপান্তরিত বা তদ্ভব অনুসর্গ।

১. বিনা : শিক্ষা বিনা উপায় নেই।  

২. তরে : কীসের তরে এত  কলহ ?  

৩. মাঝে : এ কলকাতার মাঝে আরেকটা কলকাতা আছে। 

৪. সঙ্গে : ফুলটির সঙ্গে ভ্রমরের বন্ধুত্ব। 

৫. ছাড়া ; এই বৃষ্টিতে ছাতা ছাড়া বার হওয়া অসম্ভব। 

৬. আগে : সবার আগে প্রয়ােজন দেশের উন্নতি। 

৭. পাশে : গরিবদের পাশে না দাঁড়ালে মানুষই নও। 

৮. কাছে : তােমার কাছে যে কলম আছে, আমার কাছেও সে কলমই আছে।

৯. সুদ্ধ : বাচ্চাগুলাের উৎসাহ বড়ােদের সুদ্ধ মাতিয়ে তুলেছে। 

১০. বই : মানুষটা ঢের পড়াশােনা করে বই কি। 

এই দশটি ছাড়াও এই ধারার অন্য অনুসর্গগুলি হলাে : সামনে, ভিতর, আশে, পানে। এর মধ্যে তরে, সাথে, মাঝে, পানে অনুসর্গগুলি শুধু কবিতাতেই ব্যবহার করা হয়। 

(গ) বিদেশি অনুসর্গ:- যে সকল শব্দ বিদেশি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করে বাক্যে অনুসর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয় সে সকল অনুসর্গকে বিদেশি অনুসর্গ বলে।

যেমন:-

১. বরাবর : এই সােজা রাস্তায় নাক বরাবর চললেই পৌঁছে যাবে। 

২. বনাম : মােহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গলের খেলায় বরাবরই প্রচুর দর্শক হয়। 

৩. বাবদ : সামান্য এই কটা জিনিসের দাম বাবদ এতগুলি টাকা গচ্চা গেল!  

উপসর্গ ও অনুসর্গের মধ্যে পার্থক্য কোথায়:- 

১.উপসর্গ ধাতু বা শব্দের আগে বসে। কখনোই পরে বসে না।

  দু -একটি ক্ষেত্র বাদে অনুসর্গ সাধারণত বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে বসে।

২. উপসর্গ বিভক্তির মতো ব্যবহৃত হয় না। অপরদিকে অনুসর্গ বিভক্তির মতো ব্যবহৃত হয়। 

৩.উপসর্গ এমন অব্যয়সূচক শব্দাংশ যা স্বাধীন পদ হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে না । 

অপরদিকে, অনুসর্গ এমন অব্যয়সূচক শব্দাংশ যা স্বাধীন পদ হিসেবে বাক্যে ব্যবহৃত হতে পারে।

৪.উপসর্গের নিজস্ব অর্থ নেই। অপরদিকে, অনুসর্গের নিজস্ব অর্থ আছে।

৫. প্রতি ও অতি উপসর্গ বাদে অন্য উপসর্গ গুলি স্বতন্ত্র প্রয়োগ নেই এরা ধাতু বা শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়।

অনুসর্গের স্বতন্ত্র প্রয়োগ আছে এরা সাধারণত পদের সঙ্গে মিশে যায় না, স্বতন্ত্রভাবে অবস্থান করে। (দু একটি ক্ষেত্রে অবশ্য পদের সঙ্গে জুড়ে যায়)।

৬. উপসর্গ ধাতু বা শব্দের আগে বসে অর্থের পরিবর্তন ঘটায়, নতুন শব্দ গঠন করে।

  অনুসর্গ বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের পরে বসে শব্দ বিভক্তির কাজ করে।

আজ আমরা বাংলা ব্যাকরণের একটি নিশেষ অধ্যায় অনুসর্গ বিষয়ে জানলাম। যে বিষয়গুলি আলোচিত হল নিশ্চয় বুঝে গেছো । সেই বিষয়গুলি হলঃ অনুসর্গ কী ? অনুসর্গ কাকে বলে ?অনুসর্গ কী কাজ করে ?অনুসর্গের বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী ? অনুসর্গের প্রয়োজনীয়তা কী ? অনুসর্গ ও বিভক্তির মধ্যে পার্থক্য কোথায় ?অনুসর্গের প্রকারভেদ এবং অনুসর্গ ও উপসর্গের মধ্যে পার্থক্য কী ? অনুসর্গকে কর্মপ্রবচনীয় বলে কেন ?

 …………………………………

অনুসর্গ আলোচনার PDF টি DOWNLOAD করে নাও 👇👇👇👇👇

প্রস্তুতির জন্য আরও পরীক্ষাগুলি দিতে পারোঃ👇

১। সাহিত্যের ইতিহাস প্রাচীন ও মধ্যযুগ) MCQ

২। সমাসের MCQ practice SET

৩। সমাসের SAQ practice SET

৪। কারক অ-কারক SAQ Practice SET

৫। শব্দভাণ্ডার MCQ Practice SET

৬। কাব্যসাহিত্যের ইতিহাস (আধুনিক যুগ) MCQ

৭। ধ্বনি ও বর্ণ MCQ practice SET

৮। মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস SAQ SET

আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇

বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান

বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান

গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।

বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা

আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান

গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান

কথাসাহিত্যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান

কথাসাহিত্যে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান

কথাসাহিত্যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান

উপন্যাস সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের অবদান

বাংলা উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা সাহিত্যে রাজশেখর বসু(পরশুরাম)-এর অবদান আলোচনা করো।

Leave a Reply