Subhash Mukhopadhyay, ‘পদাতিক কবি’ কাকে বলা হয় ?, বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান, বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান আলোচনা করো, Bangla sahityer itihas adhunik jug, বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান আলোচনা করো || ‘পদাতিক কবি’ কাকে বলা হয় ? তাঁর কাব্য-বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো, সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কাব্য বৈশিষ্ট্য,
‘পদাতিক কবি’ কাকে বলা হয় ? || বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান আলোচনা।
কবি: সুভাষ মুখোপাধ্যায়
জন্ম: ১৯১৯,১২ফেব্রুয়ারি(কৃষ্ণনগর)
পিতার নাম:- ক্ষিতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়
মা :- যামিনী দেবী।
মৃত্যু: ২০০৩ (কলকাতা)
কাব্যগ্রন্থ: “পদাতিক”(১৯৪০), “অগ্নিকোন”(১৯৪৮),”চিরকুট”(১৯৫০),”ফুল ফুটুক”(১৯৫৭),”কাল মধুমাস”(১৯৬৬),”এর ভাই”(১৯৭১), ‘ছেলে গেছে বনে’ (১৯৭২), ‘একটু পা চালিয়ে ভাই’ (১৯৭৯), ‘জল সইতে ‘(১৯৮১), ‘চইচই চইচই’ (১৯৮৩), ‘বাঘ ডেকেছিল’ (১৯৮৫), ‘যা রে কাগজের নৌকা’ (১৯৮৯), ‘ধর্মের কল’ (১৯৯১)।
অনুবাদ কাব্য :-
‘নাজিম হিকমতের কবিতা’ (১৯৫২),
‘পাবলো নেরুদার কবিতাগুচ্ছ ‘(১৩৮০ বঙ্গাব্দ)
‘নাজিম হিকমতের আরো কবিতা (১৩৮৬ বঙ্গাব্দ)
পাবলো নেরুদার আরো কবিতা’ (১৩৮৭ বঙ্গাব্দ)
‘হাফিজের কবিতা’ (১৯৮৬)
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কাব্য বৈশিষ্ট্য:
১। আধুনিক যুগের এক বিপ্লবী কবি। ন্যায় প্রতিষ্ঠাই তার কাব্যের মূল উপজীব্য।
২। তিনি নবযুগের পূজারি। নি:সঙ্গতার বেদনা তার কবিতায় প্রশ্রয় পায়নি।
৩। পুরোনো সমাজ ভেঙে নতুন যুগের স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন যা শেষ দিককার গদ্য-কবিতার প্রায় সব লেখাতেই বলে গেছেন।
৪। দেশবাসীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্যে বিশ্বাসী সৈনিক কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় ছিলেন একইসঙ্গে কর্মী ও কবি।
৫। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় একার মুক্তি বা উদ্বর্তন চান নি , তিনি কোনো গোষ্ঠী , সামগ্রিক একটু জাতির মুক্তির কথা বলতে চেয়েছেন তাঁর কবিতা ও অন্যান্য রচনায় ।
৬। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় প্রকৃত মানব প্রেমিক । দেশ মাতার সন্তান মানুষকে ভালোবেসে তিনি উচ্চারণ করেছেন তাঁর কবিতার চরণ ।
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ছড়ার বইঃ-
: মিউ-এর জন্য ছড়ানো ছিটানো (১৯৮০)।
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাসঃ-
হাংরাস (১৯৭৩), কে কোথায় যায় (১৯৭৬), চিঠির দর্পণে।
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের গদ্য ও ভ্রমণ কাহিনিঃ-
আমার বাংলা (১৯৫১), যেখানে যখন (১৩৬৭ বঙ্গাব্দ), ডাকবাংলার ডায়েরী (১৯৬৫), নারদের ডায়েরী (১৩৭৬ বঙ্গাব্দ), যেতে যেতে দেখা (১৩৭৬ বঙ্গাব্দ), ক্ষমা নেই (১৩৭৮ বঙ্গাব্দ), ভিয়েতনামে কিছুদিন (১৯৭৪), আবার ডাকবাংলার ডাকে (১৯৮৪), টো টো কোম্পানী (১৯৮৪), এখন এখানে (১৯৮৬), খোলা হাতে খোলা মনে (১৯৮৭)।
পুরস্কার ও সম্মান : ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার পান ১৯৬৪ সালে।
১৯৭৭ সালে অ্যাফ্রো-এশিয়ান লোটাস প্রাইজ; ১৯৮২ সালে কুমারন আসান পুরস্কার।
১৯৮২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রদত্ত মির্জো টারসান জেড পুরস্কার।
১৯৮৪ সালে আনন্দ পুরস্কার এবং ওই বছরেই পান সোভিয়েত ল্যান্ড নেহেরু পুরস্কার ও ১৯৯২ সালে ভারতীয় জ্ঞানপীঠ পুরস্কার।
১৯৯৬ সালে ভারতের সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মাননা সাহিত্য অকাদেমী ফেলোশিপ পান সুভাষ মুখোপাধ্যায়। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানিত করেছিল তাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেশিকোত্তম দ্বারা।
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত কিছু কবিতার লাইন ––
১। ” শতাব্দী লাঞ্ছিত আর্তের কান্না
প্রতি নিঃশ্বাসে আনে লজ্জা;
মৃত্যুর ভয়ে ভীরু বসে থাকা, আর না –
পরো পরো যুদ্ধের সজ্জা।
প্রিয় ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য
এসে গেছে ধ্বংসের বার্তা,
দুর্যোগে পথ হয়, হোক দুর্বোধ্য
চিনে নেবে যৌবন আত্মা।”
২। সময়টা সুবিধের নয় /কিছু না ক’রে /যে পারে সেই হাতিয়ে নিচ্ছে /খোলা মঞ্চে /চোখের পর্দাটুকুও না ফেলে /বহুরূপীরা /ঘড়ি ঘড়ি নিজেদের রঙ বদলাচ্ছে /কার হাত, কিসের হাততালি /কিসেরই বা জয়জোকারমুখ দেখে কিছুই ঠাহর হচ্ছে না’। (ধর্মের কল)
৩। “সাতটি রঙের ঘোড়ায় চাপায় জিন/তুমি আলো আমি আঁধারের আল বেয়ে/আনতে চলেছি লাল টুকটুকে দিন।”
আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇
বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান
বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান
গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।
বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান