You are currently viewing আফ্রিকা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | পাঠভিত্তিক প্রশ্নাবলি | সেতু পাঠক্রম | আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর

আফ্রিকা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | পাঠভিত্তিক প্রশ্নাবলি | সেতু পাঠক্রম | আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর

আফ্রিকা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | পাঠভিত্তিক প্রশ্নাবলি | সেতু পাঠক্রম | অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন উত্তর

আফ্রিকা | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখোঃ 

১.১ ‘বাঁধলে তোমাকে বনস্পতির নিবিড়’ – (ক) অন্তঃপুরে , (খ) পাহারায় , (গ) বুকের ভিতরে , (ঘ) সৌন্দর্যে ।

উত্তরঃ- খ) পাহারায় ।

১.২ নিভৃত অবকাশে আফ্রিকা চিনেছিল — (ক) দুর্গমের রহস্য , (থ) জলস্থল-আকাশের দুর্বোধ সংকেত , (গ) প্রাকৃতিক রহস্য , (ঘ) রহস্য ও দুর্বোধ সংকেত

উত্তরঃ- ক) দুর্গমের রহস্য ।

১.৩ আপনাকে উগ্র করে — প্রচণ্ড মহিমায় তাণ্ডবের দুন্দুভিনিনাদে – (ক) যুগান্তরের , (খ) বিভীষিকার , (গ) মানবের , (ঘ) প্রলাপের ।

উত্তরঃ- খ) বিভীষিকার ।

১.৪ ‘বাষ্পাকুল অরণ্য পথে’ – অরণ্য পথ বাষ্পাকুল হওয়ার কারণ হল – (ক) বর্ষার মেঘ , (খ) অত্যাচারীর ক্রন্দন , (গ) আবহাওয়ার জন্য , (ঘ) আফ্রিকার ভাষাহীন কান্না ।

উত্তরঃ- ঘ) আফ্রিকার ভাষাহীন কান্না ।

২. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাঃ 

২.১ ‘নখ যাদের তীক্ষ্ম তোমার নেকড়ের চেয়ে’ — কাদের কথা বলা হয়েছে ? তাদের নখ নেকড়ের চেয়ে তীক্ষ্ম বলার কারণ কী ?

উত্তরঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতায় এখানে আফ্রিকা মহাদেশের কথা বলা হয়েছে ।

কবি আফ্রিকার মানুষদের উপর সাম্রাজ্যবাদী শ্বেতাঙ্গ শাসকের বর্বর ও পাশবিক অত্যাচারের ভয়াবহতার কথা বলতে গিয়ে তাদের বন্য নেকড়ের চেয়েও নিষ্ঠুর ও হিংস্র বলে অভিহিত করেছেন । কেননা নেকড়ের তীক্ষ্ণ নখের থেকেও সূচালো ও ধারালো হল সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসন । কবি এখানে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছেন ।

২.২ ‘চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে ।’ কারা চিরচিহ্ন দিয়ে গেল ? উক্তিটির মর্মার্থ লেখো ।

উত্তরঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতায় সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপীয় শক্তিসমূহ আফ্রিকার অপমানিত ইতিহাস চিরচিহ্ন দিয়ে গিয়েছিল ।

কবি তাঁর ‘আফ্রিকা’ কবিতায় আফ্রিকার ও সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের অত্যাচার ও শোষণ-বঞ্চনার কথা বর্ণনা করেছেন । সাম্রাজ্যবাদী ঔপনিবেশিক প্রভুরা আফ্রিকার মানুষকে ক্রীতদাসে পরিণত করেছিল । ক্ষমতাবান সেই সাম্রাজ্যবাদীর দল নির্মম অত্যাচার চালাত আফ্রিকার আদিম মানুষদের ওপর । সেইসব সভ্য মানুষদের বর্বরতা আর অমানুষিক অত্যাচারে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল আফ্রিকার মানুষজন । তাদের রক্ত আর অশ্রুতে কর্দমাক্ত হয়েছিল আফ্রিকায় মাটি । সাম্রাজ্যবাদী দস্যুদের কাঁটামারা জুতোর নীচে সেই বীভৎস কাদার পিণ্ড চিরচিহ্ন রেখেছিল আফ্রিকার অপমানিত ইতিহাসে । 

২.৩ ‘সেখানে নিভৃত অবকাশে তুমি/সংগ্রহ করছিল দুর্গমের রহস্য’ — আফ্রিকার দুর্গমতার বিষয়গুলি কবিতা অবলস্বনে বর্ণনা করো ।

উত্তরঃ– কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘আফ্রিকা’ কবিতায় এক দুর্গম রহস্যময় স্থানে আফ্রিকার জন্ম হয়েছিল । নিভৃত অবকাশে দুর্গমের রহস্য সংগ্রহ করেছিল বিশ্বের অন্যতম বিশাল এই ভূখণ্ড । জলস্থল আকাশের দুর্বোধ সংকেত চিনেছিল । প্রকৃতি তাকে দিয়েছিল অপার রহস্যময়তা । অতীত জাদু মন্ত্র জাগাচ্ছিল আফ্রিকার চেতনাতীত মনে । তার উপর সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আস্ফালনকে আফ্রিকা নিজেই চিনে নিতে চাইছিল । 

২.৪ ‘আজ যখন পশ্চিম দিগন্তে / প্রদোষকাল ঝঞ্ঝাবাতাসে রুদ্ধশ্বাস’ – ‘আজ’ বলতে কোন সময়কে বাঝানো হয়েছে ? ঝঞ্ঝাবাতাস বলতে কি বুঝিয়েছেন কবি ?

উত্তরঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘আফ্রিকা’ কবিতায় ক্ষমতালোভী সভ্য পশ্চিমি দেশগুলি আগ্রাসনে আফ্রিকার আত্মসম্মান ও মর্যাদা ধুলিস্যাৎ হয়েছে । কিন্তু আজ তাদের অস্তিত্বের শেষ সময় । এখানে আজ বলতে সেই দিনটির কথা বলা হয়েছে । 

ঝঞ্ঝাবাতাস বলতে কবি বুঝিয়েছেন যে সাম্রাজ্যবাদী শাসন এতদিন অসহায় আফ্রিকার উপর অত্যাচার চালিয়ে এসেছে এবার তার শেষ সময় । এবার পশ্চিমি সভ্যতার অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক ও সামাজিক সঙ্কটের মুখে , বিপন্ন হতে চলেছে তার অস্তিত্ব ।

২.৫ “শঙ্কাকে চাচ্ছিলে হার মানাতে ।” — কে শঙ্কাকে হার মানাতে চাইছিল ? তার সেই হার মানানোর পন্ধতিটি কী ছিল ?

উত্তরঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতায় আফ্রিকা শঙ্কাকে হার মানাতে চাইছিল ।

দুর্গম দুর্ভেদ্য আফ্রিকা নিজেকে উগ্র বিভীষিকাময় তাণ্ডবে শামিল করে , বিধ্বংসী তাণ্ডবলীলার শব্দের মাধ্যমে একটি আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে নিজের মনোগত শঙ্কাকে হার মানাতে চেয়েছিল ।

২.৬ ‘হায় ছায়াবৃতা’ — ছায়াবৃতা কে ? কেন সে ছায়াবৃতা ?

উত্তরঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘আফ্রিকা’ কবিতায় আফ্রিকাকে ‘ছায়াবৃতা’ বলে সম্বোধন করেছেন ।

 ‘ছায়াবৃতা’ কথার অর্থ হল ছায়া দ্বারা আবৃতা ।  সৃষ্টিলগ্ন থেকে আফ্রিকা ছিল সুগভীর অরণ্যে পরিপূর্ণ । এই অরণ্য ভেদ করে সুর্যালোক ভূমিস্পর্শ করতে পারে না । দুর্গম অরণ্যে ঘেরা আফ্রিকা মূল ভূখণ্ড থেকে বহুদূরে অবস্থিত । আধুনিক সভ্যতা ও জ্ঞানের আলো থেকে সে বঞ্চিত । কবি তাই এই অরণ্যভূমিকে ছায়াবৃতা বলেছেন । 

২.৭ ‘দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে ।’ — মানহারা মানবীর পরিচয় দাও । কবি কাকে তার দ্বারে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ?

উত্তরঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতায় ‘মানহারা মানবী’ হল আফ্রিকা । সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাতে আফ্রিকার যুগে যুগে শোষিত হয়েছে । ক্ষমতালোভী সভ্য পশ্চিমি দেশগুলি বারবার নিজেদের অধিকার কায়েম করেছে আফ্রিকায় । আফ্রিকার অধিবাসীদের রক্ত ও অশ্রু ঝরে পড়ে তার বনভূমির ধূলিকে কর্দমাক্ত ও পিচ্ছিল করে তুলেছে । আফ্রিকায় আত্মসম্মান ও মর্যাদা ধুলিস্যাৎ হয়েছে বারবার । তাই কবি আফ্রিকাকে মানহারা মানবীর বলেছেন । 

কবি রবীন্দ্রনাথ যুগান্তের কবির কাছে আহ্বান করেছেন মানহারা মানবীর পাশে দাঁড়াতে ।

২.৮ ‘আফ্রিকা’ কবিতা অনুসরণে আফ্রিকা মহাদেশের উদ্ভবের ইতিহাস আলোচনা করো ।

উত্তরঃ– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতায় মানব সভ্যতার শুরু থেকেই আফ্রিকা মহাদেশ রহস্যে ঘেরা । এ আফ্রিকা ছিল গহীন অরণ্য দ্বারা আচ্ছাদিত । এখানে সূর্যের আলো ভালোভাবে পৌঁছাতে পারতো না । এই গহীন অরণ্যে লুকিয়ে আছে সীমাহীন প্রাকৃতিক সম্পদ । সেই সম্পদকে সভ্য মানুষের দল লুট করে আফ্রিকাকে গড়ে তুলল তাদের ঔপনিবেশ । কবির ভাষায় —

“বাঁধলে তোমাকে বনস্পতির নিবিড় পাহারায় /কৃপণ আলোর অন্তঃপুরে । /সেখানে নিভৃত অবকাশে তুমি/সংগ্রহ করছিলে দুর্গমের রহস্য ।”

২.৯ ‘সভ্যের বর্বর লোভ ।’ — কাদের তথাকথিত ‘সভ্য’ বলা হয়েছে ? তাদের বর্বর লোভের যে পরিচয় ‘আফ্রিকা’ কবিতায় রয়েছে তা আলোচনা করো । 

উত্তরঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘আফ্রিকা’ কবিতায় ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদীদের সভ্য বলেছেন ।

ইউরোপের প্রায় প্রতিটি সভ্য দেশই আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করে । কিন্তু ক্ষমতালোভী সেইসব দেশ আফ্রিকার সম্পত্তি লুন্ঠন করে সেখানকার মানুষকে অত্যাচারে , অপমানে ও লাঞ্ছনার বিধ্বস্ত করে তোলে । নিরপরাধ আফ্রিকাবাসীর ঘামে-রক্তে আর কান্নায় ভিজে গেছে সেখানকার মাটি । সভ্যের এই বর্বর লোভ কবির কাছে নির্লজ্জ অমানুষতা রূপে প্রতিভাত হয়েছে ।

আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇

জ্ঞানচক্ষু গল্প দশম শ্রেণি

অসুখী একজন কবিতার প্রশ্নোত্তর

আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকিঃ দশম শ্রেণি

হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রশ্নোত্তর

সেতু পাঠ নবম শ্রেণির ‘কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি’

সেতু পাঠ নবম শ্রেণির ‘ধীবর বৃত্তান্ত’

বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান

বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান

গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।

বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা

আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান

গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান

কথাসাহিত্যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান

কথাসাহিত্যে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান

কথাসাহিত্যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান

উপন্যাস সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের অবদান

বাংলা উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা সাহিত্যে রাজশেখর বসু(পরশুরাম)-এর অবদান আলোচনা করো।

(অনুসন্ধান বিষয়কঃ সেতু পাঠক্রম দশম শ্রেণির বাংলা, শিখন সেতু | পাঠভিত্তিক প্রশ্নাবলির উত্তর | দশম শ্রেণি | ‘আফ্রিকা কবিতা, afrika kobita, class x bengali, আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর, আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর, আফ্রিকা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, )

Leave a Reply