You are currently viewing মধ্যযুগের ইসলামি সাহিত্য PDF || WBMSC Bengali || মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন বাংলা

মধ্যযুগের ইসলামি সাহিত্য PDF || WBMSC Bengali || মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন বাংলা

মধ্যযুগের ইসলামি সাহিত্য PDF👇

ভূমিকা :- বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের উৎসাহে প্রাচীন সাহিত্য বিশারদ চট্টগ্রামের মুন্সি আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ সর্বপ্রথম মুসলমান কবিদের পুঁথি সংগ্রহের কাজ শুরু করেন ।

বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের থেকে প্রকাশিত প্রাচীন বাংলা পুঁথির বিবরণ’’ – এ করিম সাহেব মুসলমান কবিদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৫১-৫২ শিক্ষাবর্ষ থেকে আবারও পান্ডুলিপি সংগ্রহের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৫২ সালে আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ ৫৮৫টি পান্ডুলিপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দান করেন , যা ‘পুঁথি পরিচিতি’ গ্রন্থ নামে প্রকাশিত হয়। ১৯৬০ সালে এই পুঁথি পরিচিতি গ্রন্থটি, এশিয়াটিক সোসাইটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন ইংরেজিতে অনুবাদ করেন।   

মধ্যযুগের ইসলামি সাহিত্য রচয়িতাগণ 

( পঞ্চদশ  শতক ) 

) শাহ মুহম্মদ সগীর:-

i) ইসলামী সাহিত্যের প্রাচীনতম বাংলা কবি।

ii) কাব্য ইউসুফ- জোলেখা।

iii) সুফীমতের কাব্য।

iv) এটি রূপক কাব্য। 

V) ইরানি কবি ফিরদৌসিরচিত ‘ইউসুফজোলেখা’ অনুসরণে রচিত ।

Vi ) সগীরের কাব্যটি আনুমানিক ১৩৮৯খ্রীষ্টাব্দ–১৪১০খ্রীষ্টাব্দ রচিত।

vii) কাব্যে ৭৩টি আখ্যান রয়েছে।

) কবি জৈনুদ্দিন:-

 i) কাব্য ‘রসুল-বিজয়’

ii)  ভণিতায় চাটিগাঁয়ের জৈনুদ্দিন নাম পাওয়া যায়। 

iii) শামসুদ্দিনশাহ এর আমলে রচিত ( আনুমানিক ১৪৭৪ – ১৪৮০ খ্রিস্টাব্দ) ।

iv) ইউসুফ খানের অনুরোধে লেখা। 

) মোজাম্মিল:- 

গ্রন্থসমূহঃ 

 i) নীতিশাস্ত্র

ii) সয়ৎনামা

iii) খঞ্জনচরিত্র।

(ষোড়শ শতক) 

এই শতকের কবিরা মূলত  চৈতন্যের বৈষ্ণব ভাবধারা দ্বারা প্রভাবিত। 

১) সাবিরিদ খাঁ:- 

কাব্য– ‘বিদ্যাসুন্দর’, ‘হানিফা-কয়রাপরী’, ‘রসুলবিজয়’।

২) দোনা গাজী :- কাব্য- সয়ফুলমুলুক-বদি-উজ্জামাল। 

৩) শেখ ফয়জুল্লাহ:- কাব্য- সত্যবিজয়, গোরক্ষবিজয়, গাজী বিজয়, জয়নবের চৌতিশা, সুলতান জমজমা , রাগনামা।

৪) দৌলত উজীর :- সম্পূর্ণ নাম দৌলত উজীর বাহরাম খান । 

বাল্য  নাম – আসা উদ্দীন। 

জন্ম –চট্টগ্রাম জেলার জাফরাবাদ।

কাব্য – ‘লায়লী– মজনু’ ( ১৫৬০সালে রচিত) , ‘ইমাম বিজয়’, জঙ্গনামা। 

৫) মুহম্মদ কবীর:- কাব্য –মধুমালতী (হিন্দু আখ্যান) হিন্দি কবি মনঝন রচিত ‘মধুমালত’ কাব্যের মর্মানুবাদ।

(সপ্তদশ শতক) 

১)  দৌলত কাজীঃ (আরাকান রাজসভার সাহিত্য দেখে নাও)

২)  সৈয়দআলাওলঃ  ( আরাকান রাজসভার সাহিত্য দেখে নাও)  

৩) সৈয়দ সুলতান :- 

কবি সৈয়দ সুলতান কাহিনীকাব্য ও শাস্ত্রকাব্য রচয়িতা হিসেবে পরিচিত। 

তাঁর মোট ৮টি কাব্য ও কিছু গানের  পুঁথি পাওয়া যায়। কাব্যগুলির বিষয় মূলত সুফী সাধনা, হিন্দুযোগতন্ত্র সাধনা ও কিছু মর্সিয়া সাহিত্য।  বিশেষ উল্লেখযোগ্য কাব্য নবীবংশ, জ্ঞানপ্রদীপ, জ্ঞানচৌতিশাজয়কুম রাজার লড়াই। 

দেখে নাও👉 অনুবাদ-অনুষঙ্গ ( আন্তর্জাতিক সাহিত্য) উইলিয়াম শেক্সপিয়র

৪) মুহম্মদ খান :- মধ্যযুগের শক্তিশালী কবি। আদি নিবাস চট্টগ্রাম, বিখ্যাত কাব্য –‘সত্য-কলি-বিবাদ-সংবাদ ‘ ( রূপক কাব্য, হিন্দু কাব্য)

৫) আবুল হাকিম:কাব্য – ‘ লালমতী-সাইফুল-মুলুক’ ।

৬) নওয়াজিস খান :- কাব্য – ‘গুলে বকাওলী’। 

৭) মঙ্গল চাঁদ:- কাব্য – ‘শাহজালাল-মধুমালা’। 

৮) আব্দুল হাকিম:- কাব্য – ‘ইউসুফ-জোলেখা’।

৯) মুহম্মদ খান:- কাব্য – ‘মুক্তাল হোসেন’ (১১পর্ব) (এটি একটি জঙ্গনামা। আরবি গ্রন্থ ‘ মুক্তল হুয়সন’ এর অনুবাদ)। 

** ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের সাহিত্যে প্রচলিত জঙ্গনামা একটি মহাকাব্য বা বীরত্বপূর্ণ কবিতা। এই শব্দটি ফার্সি ভাষা থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে।

১০)  সৈয়দ মুহম্মদ:- কাব্য – ‘জেবলমুলুক-শামারোখ’ ( হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রতিমূলক কাব্য)  

১১)  সৈয়দ সুলতান:- কাব্য – ‘নবীবংশ’। 

(অষ্টাদশ শতক)

১) শেখ সাদীঃ  (ইরানি কবি সাদী নয়) :- কাব্য – ‘গদা-মল্লিকা’। 

২)  মুহম্মদ মুকীম:– কাব্য – ‘মৃগাবতী’ এবং ‘গুলে বকাওলী’ ।

অন্যান্য সাহিত্য ও মর্সিয়া সাহিত্য ( ইসলামি শোককাব্য) 👇

১)  শেখ ফয়জুল্লা– ‘জয়নবের চৌতিশা’ ( বাংলায় প্রথম রচিত মর্সিয়া সাহিত্য)। 

২)  বাহরাম খানঃ – ‘জঙ্গনামা’।

৩) হায়াত মামুদঃ (রংপুর) – ‘জঙ্গনামা’।

৪)  শেবরাজঃ – ‘কাশিমের লড়াই’। 

৫) ঝাফরঃ – ‘সখিনা বিলাপ’ এবং ‘শহীদ-ই-কারবালা’।

৬)  ফকীর গরীবুল্লাহঃ – ‘জঙ্গনামা’।

মধ্যযুগের ইসলামি সাহিত্য PDF টি ডাউনলোড করে নাও 👇

          ……………………………

আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇

নাট্যসাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের অবদান

নাট্যসাহিত্যে গিরিশচন্দ্র ঘোষের অবদান

নাট্যসাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান

নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্র-র অবদান

নাট্যসাহিত্যে মধুসূদন দত্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান

বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান

গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।

বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা

আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান

গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান

কথাসাহিত্যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান

কথাসাহিত্যে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান

কথাসাহিত্যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান

উপন্যাস সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের অবদান

বাংলা উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা সাহিত্যে রাজশেখর বসু(পরশুরাম)-এর অবদান আলোচনা করো।

Leave a Reply