দশম শ্রেণির পাঠ্য ‘কোনি’ উপন্যাস এর ভেতরের তথ্যগুলো এখানে তালিকাবদ্ধ করে দেওয়া হল। Class 10 কিংবা SLST , MSC বাংলা বিষয়ের জন্য ‘কোনি’ উপন্যাস থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি আশা করি কাজে লাগবে । সেই সঙ্গে কোনি MCQ practice করার জন্য এখানে নিচে লিঙ্ক দেওয়া হবে ।
নিচে PDF Link দেওয়া হল।
‘কোনি’ উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য 👇👇
গ্রন্থ পরিচিতি:
*লেখক- মতি নন্দী । (১৯৩১-২০১০)
*প্রথম প্রকাশ- ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে আনন্দ পাবলিশার্স ।
* ২০১৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ দশম শ্রেণীর সহায়ক পাঠ্য হিসাবে প্রকাশ *
*প্রকাশক- কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় । / মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ।
*মোট পরিচ্ছেদ- ১৪ টি ।
*মোট পৃষ্ঠা- ৭৪
*প্রচ্ছদ ও অলংকরণ- সুব্রত মাজী ।
লেখক পরিচিতিঃ
মতি নন্দী (১০ জুলাই ১৯৩১ – ৩ জানুয়ারি ২০১০) ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র । আসল নাম মতিলাল নন্দী । তিনি ছিলেন মূলত ক্রীড়া সাংবাদিক এবং উপন্যাসিক ও শিশু সাহিত্যিক। তিনি আনন্দ পুরস্কার এবং সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেছেন। তার বিখ্যাত উপন্যাস ‘কোনি ,’ স্ট্রাইকার’ , ‘স্টপার’ , ‘মিনু চিনুর ট্রফি’ , কলাবতী সিরিজ। ১৯৭৪ সালে আনন্দ পুরষ্কার এবং ১৯৯১ সালে ‘সাদা খাম’ উপন্যাসের জন্য সাহিত্য একাডেমি পুরষ্কার পান।
কোনির পরিচিতি
*পুরো নাম- কনকচাঁপা পাল
*ছাত্রী- পঞ্চম শ্রেণী
* বয়স- চোদ্দো- পনেরো(প্রায়)
*বাসস্থান- শ্যামাপুকুর বস্তি
*পরিবারের সদস্য সংখ্যা – মোট আটজন (৭ ভাই-বোন ও মা)
*ভাইবোন- ৪ ভাই ৩ বোন
বড়োভাই- কমল পাল (বয়স ২৫ বছর)
মেজোভাই- গত বছর ইলেকট্রিক তারে শক পেয়ে মারা গেছে ।
সেজোভাই- কাঁচরাপাড়ায় পিসির বাড়িতে থাকে।
ছোটোভাই- গোপাল (বয়স ১২ বছর)
*বাবা- পাঁচ বছর আগে টি.বি-তে মারা গেছে।
*দাদা- কমল পাল ইনফ্লুয়েঞ্জায় মারা যায়। (৮ নং পরিচ্ছেদ)
*বন্ধু- ভাদু, চণ্ডু ও কান্তি ।
*সাঁতারের স্ট্রোক- ফ্রী স্টাইলার
*প্রশিক্ষক- ক্ষিতীশ সিংহ (ক্ষিদ্দা )।
*’ক্ষিদ্দা’ ডাকটা প্রথম শোনা যায় ভেলোর কন্ঠে। (দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ)
*কোনির প্রথম জয়- জুপিটার ক্লাবের প্রতিযোগিতায় অমিয়াকে হারিয়ে। (১১ নং পরিচ্ছেদ)
ক্ষিতীশ সিংহ
*পুরো নাম- ক্ষিতীশ সিনহা ।
*বয়স- ৫০-এর আশেপাশে ।
*স্ত্রীর নাম- লীলাবতী ।
*পোষ্য-এর নাম- দুটি বিড়াল । (বিশু ও খুশি)
*দোকানের নাম-
পূর্বে– সিনহা টেলারিং । (গ্রে স্টিট)
পরে– প্রজাপতি । (হাতিবাগান)
*পেশা-
প্রথমে-জুপিটার ক্লাবের সাঁতারের চিফ ট্রেনার ।
পরে– অ্যাপোলোতে যোগ । (৬ নং পরিচ্ছেদ)
*চরিত্র বৈশিষ্ট্য-ধৈর্য,অধ্যবসায়,জেদ, পরিশ্রমী, অভিজ্ঞ ।
*কোনিকে প্রথম দেখা- গঙ্গায় বারুনীর দিন ।
*ক্ষিতীশের সাথে কোনির প্রথম কথা- চতুর্থ পরিচ্ছেদ ।
বিষ্টু ধর
নাম- বিষ্টুচরণ ধর । (বেষ্টা দা)
ডিগ্রী- আই.এ. পাশ ।
বয়স- চল্লিশ বছর ।
কারবার- বড়োবাজারে ঝাড়ন মশলার কারবার ।
বাড়ি- সাতটি বাড়ি আছে ।
ওজন- সাড়ে তিন মন ।
চলচ্চিত্র নির্মাণ
*চলচ্চিত্র শুভ মুক্তি – ১৬ই এপ্রিল ১৯৮৪ সাল ।
* পরিচালক- সরোজ দে।
*কোনির ভূমিকায় অভিনয় করেন- শ্রীপর্ণা ব্যানার্জী ।
*ক্ষিদ্দার ভূমিকায় অভিনয় করেন- সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ।
*জাতীয় সেরা চলচ্চিত্রের পরিচয় লাভ- ১৯৮৬ সাল ।
মাদ্রাজ সাঁতার প্রতিযোগিতা
*প্রতিযোগিতার সূচনা- বুধবার
*প্রতিযোগিতার সমাপ্তি- শনিবার
*প্রতিযোগিতার মোট দিন-৫ দিন।
*বাংলার সাঁতারু- মোট ৫ জন (অমিয়া, বেলা, হিয়া মিত্র, অঞ্জু ও কোনি) ।
*অন্য প্রতিযোগিতা-
রমা যোশী (মহারাষ্ট্র) ।
সাধনা দেশপান্ডে (মহারাষ্ট্র)
মঞ্জির কাউর (পাঞ্জাব)
*বাংলা দলের ম্যানেজার- ধীরেন ঘোষ ।
*মেয়েদের দলের ম্যানেজার- প্রণতি ভাদুড়ি । (বেলেঘাটা সুইমিং ক্লাব) ।
*বাংলা দলের মেয়েদের কোচ- হরিচরণ মিত্র ।
*কোনিকে নামানো হয় অমিয়ার পরিবর্তে।
*সুইমিং পুলের নাম-চিপকে সমুদ্রতীরে ।
বিষয়বস্তু
‘কোনি’ উপন্যাসটির শুরু হয়েছে গঙ্গার ঘাটের দৃশ্য দিয়ে। বারুণী উৎসবের দিন গঙ্গার ঘাটে সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ কোনিকে লক্ষ করেন এবং তার মধ্যে ভবিষ্যতে চ্যাম্পিয়ন
হওয়ার সম্ভাবনাকে আবিষ্কার করেন। কোনিকে উপযুক্ত দাবিদার তৈরি করতে গিয়ে ক্লাবের রাজনীতির চক্রান্তের কারণে ক্ষিতীশ জুপিটার ক্লাব ছেড়ে অ্যাপোলো ক্লাবের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। সেখানেই চলে কোনির প্রশিক্ষণ। প্রচণ্ড পরিশ্রম,অধ্যবসায় ও দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে কোনি মাদ্রাজে জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলা দলের হয়ে অংশ নিলেওবাদ পড়ে যায়। শেষে দলের সাঁতারু অমিয়ার পেটে ক্রাম্প ধরায় তার পরিবর্তে কোনি সুযোগ পেয়ে সাফল্যলাভ করে এবং বাংলা চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক লাভ করে। দুটি মানুষের দারিদ্র, বঞ্চনা , রাজনীতি প্রভৃতির বিরুদ্ধে লড়াই এখানে হৃদয়গ্রাহী কাহিনি রূপে সকলের মন জয় করে নিয়েছে।
কোনি উপন্যাসে ব্যবহৃত কিছু নাম ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের টীকা
ট্যালবট : ডোনাল্ড ম্যালকম ট্যালবট ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার একজন অলিম্পিক সাঁতারের কোচ। তিনি কানাডা, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সাঁতারু দলের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।
কারলাইল : ফোর্বস কারলাইল ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সাঁতার শিক্ষক। কারলাইল সাঁতার শিক্ষার পথিকৃৎ বলে পরিচিত। তিনি শ্যেন গোল্ড, কারেন মোরেস, জন ডেভিস প্রমুখ বেশ কিছু বিশ্ববিখ্যাত সাঁতারুর শিক্ষাদাতা।
গ্যালাঘার : সিন্ডি গ্যালাঘার হলেন আমেরিকার একজন প্রথম সারির সাঁতার শিক্ষক। আমেরিকার মহিলা সাঁতারু দল তাঁর প্রশিক্ষণে বহু সাফল্যের মুখ দেখেছে।
হেইন্স : জর্জ ফ্রেডরিক হেইন্স ছিলেন আমেরিকার সান্টা ক্লারা সাঁতার ক্লাবের একজন সাঁতার প্রশিক্ষক। তিনি আমেরিকার সাতটি সাঁতার দলের প্রশিক্ষক ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছরের প্রশিক্ষক জীবনে তিনি প্রায় ২৬ জন অলিম্পিক সাঁতারু তৈরি করেছেন।
কাউন্সিলম্যান : জেমস ই কাউন্সিলম্যান ছিলেন আমেরিকার একজন স্বনামধন্য সাঁতারু ও সাঁতার প্রশিক্ষক। তিনি ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন সর্বাপেক্ষা প্রবীণ ব্যক্তি হিসেবে ৫৮ বছর বয়সে ইংলিশ চ্যানেল সাঁতরে পার হন। তিনি দীর্ঘ ৩৩ বছর পুরুষদের সাঁতারু দলের প্রশিক্ষক ছিলেন।
ডন ব্র্যাডম্যান : বিশ্বের সর্বকালের সর্বসেরা ক্রিকেট খেলোয়াড় স্যার ডোনাল্ড জর্জ ব্র্যাডম্যান অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেললেও সমগ্র পৃথিবীর কাছে পরিচিত ছিলেন ‘ডন’ ডাকনামে। টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর গড় রান ছিল ৯৯.৯৪, যা আজও বিশ্বের বিস্ময়।
জন ফ্রেজার : জন ফ্রেজার জুনিয়র ছিলেন একজন অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল খেলোয়াড়, যিনি আজ পর্যন্ত সবচেয়ে অনমনীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন বলে গণ্য হন। বিশ্ব তাঁকে ‘জন মপসি ফ্রেজার’ বলে চিহ্নিত করেছিল।
কেন রোজওয়াল : কেনথ রবার্ট রোজওয়াল, ডাকনামে ‘কেন’ অস্ট্রেলিয়ার একজন শৌখিন ও পেশাদারি টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি একসময় বিশ্বের সর্বোচ্চ পদক তালিকায় বিরাজ করতেন। তিনি আজও বিশ্বের সর্বসেরা টেনিস খেলোয়াড়দের একজন বলে বিবেচিত।
পেলে : ‘পেলে’ নামে সর্বজনবিদিত এডসন অ্যারেন্টেস ডো নাসিমেন্টো একজন প্রাক্তন ব্রাজিলীয় ফুটবল তারকা। তাঁকে আজও পৃথিবী, সর্বকালের সেরাদের মধ্যে একজন হিসেবেই জানে। মোট ১৩৬৩টি ফুটবল ম্যাচে পেলে ১২৮১টি গোলের অধিকারী, যা বিশ্বরেকর্ড।
ইথিওপিয়া : ইথিওপিয়া আফ্রিকায় অবস্থিত একটি রুক্ষ, শুষ্ক দেশ। যেটি গ্রেট রিফট উপত্যকা দ্বারা দ্বিখণ্ডিত। প্রাচীন ঐতিহ্যের অধিকারী এই দেশটি আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবসতিপূর্ণ অঞ্চল।
বিকিলা : অ্যাবেবে বিকিলা ছিলেন ইথিওপিয়ার একজন দ্বৈত ম্যারাথন চ্যাম্পিয়ন। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে সোনার মেডেল জিতে তিনি বিশ্বে খ্যাতিলাভ করেন। বিকিলার প্রতি সম্মান প্রদর্শন হেতু বিখ্যাত ‘আদ্দিস আবাবা’ স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়।
বি. এ. এস. এ. : সম্পূর্ণ নাম ‘Bengal Amateur Swimming Association’, সংক্ষেপে BASA .
সিজার-কিক্ : প্রতিযোগিতায় সাঁতার কাটার সময়ে পায়ের এক বিশেষ ধরণের স্টাইলের নাম সিজার কিক্ ।
শোলান্ডার : ডোনাল্ড আর্থার শোলান্ডার ছিলেন আমেরিকার একজন খ্যাতনামা সাঁতারু, যিনি পাঁচবার অলিম্পিকে খেতাব জিতেছিলেন। ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে টোকিওতে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকে চারটি সোনার পদক জিতে তিনি সফলতম খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
………………………………………………
আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇
নাট্যসাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের অবদান
নাট্যসাহিত্যে গিরিশচন্দ্র ঘোষের অবদান
নাট্যসাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান
নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্র-র অবদান
নাট্যসাহিত্যে মধুসূদন দত্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান
বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান
গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।
বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা
আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান
গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান
কথাসাহিত্যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান
কথাসাহিত্যে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান
কথাসাহিত্যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান
উপন্যাস সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান
বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের অবদান