( ‘গ্যালিলিও’ (সত্যেন্দ্রনাথ বসু) প্রবন্ধের বড় প্রশ্ন উত্তর,‘ ‘গ্যালিলিও’ । (সত্যেন্দ্রনাথ বসু) প্রবন্ধের সাজেশন, telenapota abiskar proshno, একাদশ শ্রেণির বাংলা সাজেশন 2022, ২০২২ সালের একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্ত্বপূর্ণ ৫ টি প্রশ্নোত্তোর । ২০২২ সালের একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্ত্বপূর্ণ তিনটি প্রশ্নোত্তোর । উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা বিষয়ের সাজেশন অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলির উত্তর PDF Download এর লিঙ্ক নীচে দেওয়া হল।’তেলেনাপোতা আবিষ্কার প্রশ্ন ও উত্তর,’গ্যালিলিও’ । (সত্যেন্দ্রনাথ বসু) প্রবন্ধের’ সাজেশন, Class XI Bengali বা WBCHSE HS Bengali উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা পাঠ্য ‘গ্যালিলিও’ । (সত্যেন্দ্রনাথ বসু) প্রবন্ধের । ‘গ্যালিলিও’ । (সত্যেন্দ্রনাথ বসু) প্রবন্ধের গুরুত্ত্বপূর্ণ পাঁচটি বড় প্রশ্ন ও উত্তর এখানে আলোচনা করা হলো। ‘গ্যালিলিও’ । (সত্যেন্দ্রনাথ বসু) প্রবন্ধের থেকে যেসকল বড় প্রশ্ন গুলি উচ্চমাধ্যমিক বাংলা বা একাদশ শ্রেণির বাংলা বিষয়ের ‘গ্যালিলিও’ । (সত্যেন্দ্রনাথ বসু) প্রবন্ধের গল্পের এই প্রশ্নগুলি পড়লে তোমরা যথভাবে উত্তর লিখতে পারবে । class 11 bengali suggestion 2022 এর জন্য সমগ্র গল্প কবিতা , নাটক ,ভাষা , শিল্প সংস্কৃতির ইতিহাসের প্রশ্ন ও উত্তরের জন্য এই ওয়েবসাইটটি ফলো করো। )
১) ‘গ্যালিলিও’ প্রবন্ধে গ্যালিলিওর ছাত্র জীবনের বর্ণনা দাও।
উত্তর: সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ‘গ্যালিলিও’ প্রবন্ধে বিশ্ব বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর ছাত্র জীবনের সংক্ষিপ্ত পরিচয় পাওয়া যায়।
ছােটোবেলা থেকেই গালিলিও একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। পরিবারের ইচ্ছায় গ্যালিলিও তেরাে বছর বয়সে বেনেডিটিন সম্প্রদায়ের ভ্যালাম-ব্রোসার মঠে সাহিত্য, ন্যায় ও ধর্মশাস্ত্রের অধ্যয়ন করতে যান। সন্তানের সন্ন্যাসী হয়ে ঘর ছাড়ার ভয়ে অতঃপর গ্যালিলিওর পিতা তাকে মঠ থেকে ছাড়িয়ে ১৫৮১ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পিসা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তারি পড়তে পাঠান। যদিও গ্যালিলিও পিতার মতােই বড়াে চিত্রকরও হতে পারতেন। সেইসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ছাত্রকে দর্শন পড়তে হত। সেটি ছিল আরিস্টটলের যুগ। কিন্তু ছােটোবেলা থেকে যুক্তিবাদী গ্যালিলিও বিনা প্রশ্নে বা বিনা তর্কে কোনাে কিছুই মেনে নিতেন না। মাঝে মাঝে শিক্ষকের সঙ্গেও তার বাকযুদ্ধ বেঁধে যেত এই সময়েই তিনি ডাক্তারি পড়া ছেড়ে গণিত অধ্যয়ন করতে শুরু করেন এরপর অল্প সময়েই তিনি গণিত ও পদার্থবিদ্যায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। তার পাণ্ডিত্যের খ্যাতি ক্রমে ক্রমে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি পান্ডিত্যে তার গুরুকেও অতিক্রম করেন ।
২) “এই স্বভাবই শেষ জীবনে তার অশেষ দুঃখের কারণ হলাে” -কার কোন্ স্বভাবের কথা বলা হয়েছে ? সেই স্বভাব তার শেষ জীবনে অশেষ দুঃখের কারণ হলাে কীভাবে ?
উত্তর: সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ‘গালিলিও’ প্রবন্ধ থেকে জানা যায় যে বাল্যকাল থেকেই গ্যালিলিও সবকিছু যুক্তি সহকারে বিচার করে নিতেন। তখনকার দিনে প্রচলিত বিশ্বাস, ধ্যানধারণা কোনোকিছুই তিনি চোখ বন্ধ করে মেনে নিতে পারতেন না। তাঁর এই যুক্তিবাদী স্বভাবই তাঁর শেষ জীবনে ‘অশেষ দুঃখের কারণ’ হয়েছিল।
∆ জগতের সকল মানুষ বিশ্বপ্রকৃতির মর্মকথা বােধবুদ্ধি দিয়ে উপলদ্ধি করুক ও তাদের মধ্যে যথার্থ সত্য জ্ঞানের উদ্বোধন ঘটুক, এই লক্ষ্য ছিল গ্যালিলিওর। তাঁর ইটালিয়ান ভাষায় লেখা ‘জ্যোতিষ ও জ্যোতির্বিজ্ঞান’ এর বইয়ের বিরুদ্ধতা করলেন সনাতনীরা। তেমনি তার আবিষ্কার ও গবেষণার বিষয়কে মানতে পারলেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ছাত্ররা। ধর্মযাজকেরা প্রচার করলেন গ্যালিলিওর অধ্যাপনা ধর্মবিশ্বাসের পরিপন্থী, বাইবেলের প্রতি মানুষের আস্থার ওপর আঘাতকারী। ১৬১৬ খ্রিস্টাব্দে পােপ কার্ডিনাল বেলারিমিনকে দায়িত্ব দিলেন গালিলিওকে বােঝানাের। কিন্তু নতুন পােপ টমেমি ও কোপারনিকাসের বিশ্ববিন্যাসের গুণাগুণ সংক্রান্ত আলােচনার বইকে গ্যালিলিও বৃথা গর্বের অজ্ঞতা ও অসতর্কতার নিদর্শন হিসেবে গণ্য করলে তাকে কারারুদ্ধ করে। অনুতাপব্যঞ্জক সাদা পােশাক পরিয়ে হাঁটু গেড়ে তাকে বলতে হল কোপারনিকাসের মত তিনিও ত্যাগ করেছেন। এরপরও ক্যাথলিক ধর্মপন্থীদের অনুশাসনে জীবনের শেষ ন-টি বছর তাকে গৃহবন্দী হয়ে অশেষ দুঃখে কাটাতে হয়।
সে জন্য নিশ্চিতভাবে দায়ী তাঁর এই যুক্তিবাদী স্বভাবের অটল দৃঢ়তা ।
৩) “ক্যাথলিক খ্রিস্টান যাজকদের সঙ্গে গ্যালিলিওর বিরোধের কারণ কী ?” গ্যালিলিওর জীবনের শেষ ন’বছর যে অবস্থায় কেটেছিল তার বিবরণ দাও।
উত্তর: প্রখ্যাত বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ‘গালিলিও’ প্রবন্ধে দেখা যায় যে, দূরবিন যন্ত্র তৈরি করে গ্যালিলিও তাতে চোখ রেখে আবিষ্কার করেন চাঁদের পাহাড়, ছায়াপথের প্রকৃতি, বৃহস্পতির চারটি উপগ্রহ, আরো অনেক কিছু । ভেনিসের ক্যাথােলিক যাজকরা এসব যেমন বিশ্বাস করলেন না, তেমনই গালিলিওর দূরবিনে চোখ রাখতেও সম্মত হলেন না তারা। তাদের মতে খালি চোখে দেখতে না পাওয়া কিছু যদি যন্ত্রে দেখা যায়, তবে তা বাস্তব নয়, তা যন্ত্রেরই কারসাজি। তারা ভাবলেন যে, এইভাবে গ্যালিলিও আসলে কোপারনিকাসের ধর্মবিরােধী মতবাদকেই প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। তাই পরবর্তীকালে ফ্লোরেন্সে তিনি যখন কোপারনিকাসের সূর্যকেন্দ্রিক মতবাদের সপক্ষে বই লেখেন, তখন সেখানকার ধর্মযাজকরা প্রচার করলেন যে, গ্যালিলিওর অধ্যাপনা এবং গ্রন্থ ধর্মবিশ্বাস এবং বাইবেলের বিরােধী। এভাবেই গ্যালিলিওর সঙ্গে ক্যাথােলিক যাজকদের বিরােধ বাধে।
∆ ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মযাজকদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে গ্যালিলিওর শেষের ন’বছর অত্যন্ত দুঃখকষ্টে কাটে । এই ন’বছর তিনি ফ্লোরেন্সের শহরতলিতে নিজের ঘরে গৃহবন্দি থাকেন। যে মেয়েটি তাঁর দেখাশোনা করতো, সেও মারা যায় । একসময় সে নিজেও প্রায় অন্ধ হয়ে যায় । তখনও তাঁর মাথার মধ্যে নতুন নতুন অনেক চিন্তার ভিড় জমা হয় কিন্তু জীবন তাঁর কাছে এতটাই তিক্তময় হয়ে উঠেছিল যে নতুন করে কিছু ভাবতে ইচ্ছে হত না ।
শেষের পাচঁ বছর পোপের অনুগ্রহে তাঁর বান্ধব একটু শিথিল হয়েছিল । সে সময় নানা প্রান্ত থেকে অনেকেই তাঁর সাথে দেখা করতে আসত । অবশেষে, ১৬৪২ সালের ৮ই জানুয়ারি গ্যালিলিও শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ।
৪) “নিজের দূরবিন নিয়ে গ্যালিলিও অনেক নতুন আবিষ্কার করলেন।”—দূরবিনের সাহায্যে গ্যালিলিও কী কী আবিষ্কার করলেন ? সনাতনীরা তার বিরুদ্ধতা করেছিলেন কেন ?
উত্তর: সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ‘গালিলিও’ প্রবন্ধে গ্যালিলিও সেই দূরবীন দিয়ে মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচনে মনোনিবেশ করেছিলেন। নিজের দূরবীন নিয়ে গ্যালিলিও যে সকল নতুন আবিষ্কার করেছিলেন সেগুলি হল- চাঁদের পর্বতমালা, বৃহস্পতির উপগ্রহসমূহ, সূর্যবিম্বে কলঙ্কবিন্দু, শুক্র গ্রহের চন্দ্রের মতো ঔজ্জ্বল্যের হ্রাস-বৃদ্ধি, শনি গ্রহের বলয়, ছায়াপথ ও লক্ষ লক্ষ তারার সমাবেশ। এছাড়াও আরো অনেক জিনিস।
∆ গ্যালিলিও ভেনিসে থাকাকালে দূরবিনের সাহায্যে চাদের পাহাড়, ছায়াপথের প্রকৃতি, বৃহস্পতির চারটি এবং পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ, এছাড়াও আরো অনেক কিছু আবিষ্কার করেছিলেন, তা সেখানকার ধার্মিক পণ্ডিতেরা কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাননি। কুসংস্কারাচ্ছন্ন এই সনাতনীরা গ্যালিলিওর শত অনুরােধেও কিছুতেই দূরবিনে চোখ রাখেননি। সম্ভবত তাঁদের ভয় ছিল, এতে পাছে তাঁদের ধর্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়। বরঞ্চ তারা বলেন যা খালি চোখে দেখা যায় না, তা যদি যন্ত্র দিয়ে দেখা যায়, তাহলে সেটা মােটেও বাস্তব নয়, যন্ত্রেরই কারসাজি।
তাই তারা গ্যালিলিওর বিরুদ্ধতা করে জানিয়েছিলেন যে, গ্যালিলিও আসলে চালাকির সাহায্যে কোপারনিকাসের সূর্যকেন্দ্রিক মতবাদ অভ্রান্ত প্রমাণ করার সপক্ষে যুক্তি সংগ্রহের মতাে অন্যায়-কর্ম করছেন। সেইসব সনাতনপন্থী ও তার সহকর্মী যারা গ্যালিলিওর যশপ্রতিভায় ঈর্শ্বানিতে ছিলেন, তারা গোপনে অভিযোগ করেছিলেন গ্যালিলিও ধর্মবিদ্বেষী মতবাদ প্রচার করছে ।
৫) “Vanice’ – কর্তৃপক্ষের কাছে তার কদর বেড়ে গেল।” – কার কদর বাড়ে ? এই কদর বাড়ার কারণ ও পরিণাম উল্লেখ কর ?
অথবা,
দূরবিন আবিষ্কার করার ফলে ভেনিস কর্তৃপক্ষের নিকট কীভাবে গ্যালিলিওর কদর বেড়ে গিয়েছিল ?
উত্তর : সত্যেন্দ্রনাথ বসুর লেখা ‘গ্যালিলিও’ প্রবন্ধে উল্লেখিত ভেনিস কর্তৃপক্ষের কাছে দূরবীন আবিষ্কারের ফলেই গ্যালিলিওর কদর বেড়ে যায় ।
∆ (১৬০৯) খ্রিস্টাব্দে ফ্লোরেন্সের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভেনিসে চাকুরিসূত্রে থাকাকালীন গ্যালিলিও হল্যান্ডবাসী এক ব্যক্তির এক যন্ত্র আবিষ্কারের সংবাদ শুনতে পান, যে যন্ত্রের সাহায্যে দূরের বস্তু কাছে দেখা যায়। এর কিছুদিনের মধ্যেই তিনি প্রকৃতপক্ষে সেযুগে ভেনিস ছিল সমুদ্র বাণিজ্যে উন্নত এক সমৃদ্ধিশালীনগররাষ্ট্র। সমুদ্রপথে জাহাজে করে ভেনিসবাসীরা নানা দেশ থেকে যেমন জিনিসপত্র সংগ্রহ করত, তেমনি ইউরােপের নানা দেশে তা রপ্তানিও করত। তবে, মাঝে-মধ্যেই ভেনিসের বাণিজ্য-জাহাজগুলিকে শত্রুদের আক্রমণের কবলে পড়তে হত। সেই আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে জরুরি ছিল শত্রুর আক্রমণের আগাম খবর পাওয়া। সেই উদ্দেশ্যে, আগে থেকেই লক্ষ করার জন্য বা আগাম যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য ভেনিস কর্তৃপক্ষ প্রতিটি জাহাজে একটি করে দূরবিন রাখার প্রয়ােজনীয়তা অনুভব করলেন। তাই তাঁরা গ্যালিলিওকে দূরবিন সরবরাহের অনুরােধ জানান। দূরবিন আবিষ্কারের কারণেই। ভেনিসের কর্তৃপক্ষের কাছে গ্যালিলিওর কদর বেড়ে গিয়েছিল।
∆ এই আবিষ্কারের ফলেই ভেনিস সরকার খুশি হয়ে তার শিক্ষকতার মেয়াদ ৬ বছর বাড়িয়ে দেন ।
‘গ্যালিলিও’ প্রবন্ধের নোটস এর পিডিএফ ডাউনলোড করে নাও 👇👇👇
আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇
বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান
বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান
গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।
বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা
আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান
গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান