You are currently viewing কথা সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান | বাংলা উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্রের আবদান

কথা সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান | বাংলা উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্রের আবদান

[কথা সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান | বাংলা উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্রের আবদান, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘দুর্গেশনন্দিনী’ , ‘কপালকুণ্ডলা’ , ‘মৃণালিনী’ , ‘যুগলাঙ্গুরীয়’ , ‘চন্দ্রশেখর’ , ‘সীতারাম’ ইত্যাদি উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্রের কৃতিত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হল। ]

বাংলা উপন্যাসে বা কথা সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান:
সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র বাংলা উপন্যাসের প্রথম যথার্থ শিল্পী । তিনি বাংলা কথাসাহিত্যকে রোমান্সধর্মিতা , ইতিহাস চেতনা , জীবন সমস্যা কিংবা মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার বিন্যাসে ইউরোপিয়ান সাহিত্যের সমপর্যায়ভুক্ত করে তুলেছেন । প্রথম জীবনে ইংরেজি ভাষায় তিনি উপন্যাস রচনায় হস্তক্ষেপ করেন । ‘Rajmohan’s Wife’ (১৮৬৪) এর মাধ্যমে তাঁর সাহিত্যসাধনার শুরু । এটি তাঁর বাস্তব জীবনের গল্প । তাঁর প্রথম বাংলা উপন্যাস ‘দুর্গেশনন্দিনী’ (১৯৬৫) । এর মাধ্যমে স্রষ্টা বঙ্কিমচন্দ্রের আবির্ভাব ঘটে ।
বঙ্কিমচন্দ্রের রচিত চোদ্দটি উপন্যাসকে প্রধানত কয়টি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় । যেমন —
ক) ইতিহাসাশ্রিত রোমান্সধর্মী উপন্যাস — ‘দুর্গেশনন্দিনী’ (১৮৬৫) , ‘কপালকুণ্ডলা’ (১৮৬৬) , ‘মৃণালিনী’ (১৮৬৯) , ‘যুগলাঙ্গুরীয়’ (১৮৭৪) , ‘চন্দ্রশেখর’ (১৮৭৫) , ‘সীতারাম’ (১৮৮৭) ।
খ) ইতিহাসিক উপন্যাস — ‘রাজসিংহ’ (১৮৮২) ।
গ) তত্ত্ব ও দেশাত্মবোধক উপন্যাস — ‘আনন্দমঠ’ (১৮৮৪) , ‘দেবীচৌধুরাণী’ (১৮৮৪) ।
ঘ) গার্হস্থ্য ও সামাজিক উপন্যাস — ‘বিষবৃক্ষ’ (১৮৭৩) , ‘ইন্দিরা’ (১৮৭৩) , ‘রজনী’ (১৮৭৭) , ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ (১৮৭৮) , ‘রাধারাণী’ (১৮৮৬) ।
বঙ্কিমচন্দ্রের এক অনন্য সৃষ্টি ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাস । এটি মনুষ্যজীবন ও মনুষ্যপ্রকৃতির সঙ্গে মনুষ্যভাগ্যের অন্তর্লীন বিরোধ টানাপোড়েনের ফসল । ‘চন্দ্রশেখর’ উপন্যাসের বিষয় অবৈধ প্রেম সম্পর্ক । ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ উপন্যাসে মধ্যবিত্ত নর-নারীর অবৈধ প্রণয় কামনা, অসংযত মানসিক দ্বন্দ্ব, রক্তক্ষরণ সর্বোপরি ট্রাজিক পরিনাম তাঁকে ঔপন্যাসিক সিদ্ধির চূড়ায় নিয়ে যায় ।
‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসটি ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের সময় সন্ন্যাসী বিদ্রোহের পটভূমিতে রচিত । পরাধীন দেশে বহু তরুণ-যুবক উপন্যাসটি পড়ে স্বদেশিকতা ও জাতীয়তার মন্ত্রে দীক্ষিত হওয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছিল ।
পরিশেষে এ কথা বলা যায় যে , উপন্যাসের ভাষা নির্মাণ এবং সৌন্দর্যে বঙ্কিমচন্দ্র বাংলা উপন্যাসকে যে স্তরে নিয়ে গিয়েছিলেন ; তাঁর সমসময়ে কিংবা অল্প কিছুদিন পরেও বাংলা উপন্যাসে তিনি হয়ে রইলেন অদ্বিতীয় ।

আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇

বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান

বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান

গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।

বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা

আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান

গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান

Leave a Reply