প্রশ্নোত্তরে প্রাচীন ও মধ্যযুগ || বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস

তোমরা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস এর প্রাচীন ও মধ্যযুগ এর প্রশ্নোত্তরগুলি পড়তে পারো। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ‘বন্ধ্যাযুগ’ বা ‘অন্ধকার যুগ’ , (১) প্রাচীন যুগ (২) মধ্যযুগ ও (৩) আধুনিক যুগ , চর্যাপদ , শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য, বিদ্যাপতি, অভিনব জয়দেব’ কাকে বলা হয়, ময়ূর ভট্টের কাব্যের নাম, চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি, WBSLST Bengali , বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস MCQ, সাহিত্যের ইতিহাস প্রশ্নোত্তর, স্কুল সার্ভিস প্রস্তুতি বাংলা, এই বিষয়গুলি পরীক্ষায় কাজে লাগবে বলেই মনে হয়।

👇অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর 👇

বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগ

১। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে কয়টি যুগে ভাগ করা হয়ে থাকে ? সেগুলি কী কী ?

উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে তিনটি যুগে ভাগ করা হয়। ভাগগুলি হল—

(১) প্রাচীন যুগ (২) মধ্যযুগ ও (৩) আধুনিক যুগ।

২। প্রাচীনযুগের সময় সীমা কত ধরা হয় ?

উত্তরঃ খ্রিস্টীয় দশম শতাব্দী থেকে দ্বাদশ শতাব্দী পর্যন্ত সময়কালকে বলা হয় বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগ ।

৩। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মধ্যযুগের সময়সীমা কত ?

উত্তরঃ খ্রিস্টীয় তেরশো পঞ্চাশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত মধ্যযুগের সময়সীমা ধরা হয়।

৪। আধুনিকযুগের সময়সীমা কত ধরা হয় ?

ঊনবিংশ শতাব্দী থেকে অর্থাৎ ১৮০০ সাল থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত আধুনিকযুগের সময়-সীমা বিস্তৃত।

৫। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ‘বন্ধ্যাযুগ’ বা ‘অন্ধকার যুগ’ বলা হয় কোন্ সময়কে ?

উত্তরঃ ত্রয়ােদশ ও চতুর্দশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত সময়কে অর্থাৎ ১২০১ থেকে ১৩৫০ সাল পর্যন্ত দেড়শো বছরকে বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ‘বন্ধ্যাযুগ’ বা ‘অন্ধকার যুগ’ বলা হয়।

(প্রাচীন যুগ) চর্যাপদ

৬। বাংলা সাহিত্যের আদিতম নিদর্শন কোন্ গ্রন্থটি ?

উত্তরঃ বাংলা সাহিত্যের আদিতম নিদর্শন ‘চর্যাপদ’

৭। চর্যাপদকে অন্য কোন্ কোন্ নামে অভিহিত করা হয় ?

উত্তরঃ চর্যাপদকে আশ্চর্য চর্যাচয় ’ বা ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’ নামেও অভিহিত করা হয়।

৮। চর্যাপদ কোন্ সময়ে রচিত বলে অনুমান করা হয় ?

উত্তরঃ চর্যাপদ আনুমানিক দশম শতাব্দী থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে রচিত হয়। কেউ কেউ মনে করেন অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে রচিত।

চর্যাপদের ভাষাকে কোন্ ভাষারূপে অভিহিত করা হয় ?

উত্তর: চর্যাপদের ভাষাকে ‘সন্ধ্যাভাষা’ নামে অভিহিত করা হয়।

আরও দেখে রাখতে পারো 👉আরাকান রাজসভার কবি ও কাব্য

১০। চর্যাপদের পুঁথি কে আবিষ্কার করেন ?

উত্তর: চর্যাপদের পুঁথি মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আবিষ্কার করেন।

১১। চর্যাপদের বিষয়বস্তু কী ?

উত্তর: বৌদ্ধধর্মের সহজযান নামক একটি শাখার ধর্মীয় তত্ত্ব ও গুঢ় সাধনার কথা চর্যাপদের বিষয়বস্তু।

 ১২। চর্যাপদ কত খ্রিস্টাব্দে কোথা থেকে প্রকাশিত হয় ?

উত্তর: চর্যাপদ ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয়।

১৩। চর্যাপদে মােট কয়টি পদ ছিল ? তার মধ্যে কয়টি পদ পাওয়া গিয়েছে ?

উত্তর: চর্যাপদে মােট ৫০টি পদ ছিল (কারও কারও মতে ৫১টি) তার মধ্যে সাড়ে ছেচল্লিশটি পদ পাওয়া গেছে।

১৪। চর্যাপদে মােট কতজন কবির নাম পাওয়া যায় ?

উত্তর: চর্যাপদে মােট ২৪ জন কবির নাম পাওয়া যায়।

১৫। চর্যাপদ রচনার সময়ে বাংলাদেশে কোন্ রাজবংশ রাজত্ব করতেন ?

উত্তর: চর্যাপদ রচনার সময়ে বাংলাদেশে পাল বংশের রাজারা রাজত্ব করতেন।

( মধ্যযুগ) শ্রীকৃষ্ণকীর্তন

১৬। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন কোন গ্রন্থ ?

উত্তর: মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য।

১৭। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কোন্ সময়ে রচিত হয় ?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য পঞ্চদশ শতাব্দীতে রচিত হয়।

১৮। শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুঁথি কে আবিষ্কার করেন ?

উত্তর: শ্রীকষ্ণকীর্তনের পুঁথি পণ্ডিত বসন্ত রঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ আবিষ্কার করেন।

১৯। শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুঁথি কত খ্রিস্টাব্দে কোথা থেকে আবিষ্কৃত হয় ?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুঁথি ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রাম থেকে আবিষ্কৃত হয়।

২০। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কত খ্রিস্টাব্দে কোথা থেকে প্রকাশিত হয় ?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে প্রকাশিত হয়।

২১। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য কয়টি খণ্ডে বিভক্ত ? খণ্ডগুলির নাম কী কী ?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য ১৩টি খণ্ডে বিভক্ত। সেগুলি হলঃ-   ১)জন্মখন্ড,২)তাম্বুলখন্ড,৩)দানখন্ড,৪)নৌকাখন্ড, ৫)ভারখন্ড,৬)ছত্রখণ্ড,৭)বৃন্দাবনখন্ড, ৮)কালীয়াদমনখন্ড, ৯) যমুনা বা বস্ত্রহরণখন্ড, ১০)হারখন্ড, ১১)বাণখণ্ড,১২)বংশীখন্ড ও ১৩)রাধাবিরহ।

২২। বাংলা সাহিত্যে প্রথম আখ্যানকাব্য কোনটি ?

উত্তর: বাংলা সাহিত্যে প্রথম আখ্যান কাব্য শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য।

২৩। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা কে ?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস।

২৪। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যকে অন্য কোন নামে অভিহিত করা হয় ?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যকে ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামেও অভিহিত করা হয়।

২৫। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের প্রধান তিনটি চরিত্রের নাম লেখ।

  উত্তর: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের প্রধান তিনটি চরিত্র হল কৃষ্ণ, রাধা এবং বড়াই।

বিদ্যাপতি

২৬. বিদ্যাপতি কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?

উত্তর: বিদ্যাপতি বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলার বিসফী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

২৭। বিদ্যাপতি কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন ?

উত্তর: বিদ্যাপতি ১৩৮০ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।

২৮। বিদ্যাপতির পিতার নাম কী ?

উত্তর: বিদ্যাপতির পিতার নাম গণপতি ঠাকুর।

২৯। বিদ্যাপতি কোন্ রাজসভার সভাকবি ছিলেন ?

উত্তর: বিদ্যাপতি মিথিলা রাজসভার সভাকবি ছিলেন।

আরও পড়ে নাও 👉 প্রশ্নোত্তরে শিবায়ন কাব্য ও তার কবিগন

৩০। ‘মৈথিল কোকিল’ কাকে বলা হয় ?

উত্তর: বিদ্যাপতিকে ‘মৈথিল কোকিল’ বলে অভিহিত করা হয়।

৩১। ‘অভিনব জয়দেব’ কাকে বলা হয় ?

উত্তর: বিদ্যাপতিকে ‘অভিনব জয়দেব’ বলে অভিহিত করা হয়।

৩২। মধ্যযুগে কবি সার্বভৌম কাকে বলা হয় ?

উত্তর: বিদ্যাপতিকে ‘কবি সাবভৌম’ বলা হয়।

৩৩। বিদ্যাপতি রাধাকৃষ্ণবিষয়ক পদগুলি কোন্ ভাষায় রচনা করেন ?

উত্তর: বিদ্যাপতি রাধাকৃষ্ণবিষয়ক পদগুলি মৈথিলি ভাষায় রচনা করেন। বাংলা দেশে সেগুলি ব্রজবুলি আকারে পাওয়া যায়।

৩৪। ব্রজবুলি ভাষা কী ?

উত্তর: ব্রজবুলি ভাষা বাংলা, মৈথিলি ও অবহট্টভাষার সংমিশ্রণের গঠিত একটি শ্রুতিমধুর কৃত্রিম সাহিত্যিক ভাষা।

৩৫। ব্রজবুলি ভাষার স্রষ্টা কে ?

উত্তরঃ ব্রজবুলি ভাষার স্রষ্টা বাংলাদেশের সাধারণ পাঠক । বিদ্যাপতির পদগুলিই প্রথম এই ভাষায় প্রচারিত হয়।

দেখে নাও👉 চৈতন্যজীবনী কাব্য ও কবিগন

মঙ্গলকাব্য

৩৬। মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি কে ?

উত্তর: মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি কানাহরি দত্ত।

৩৭। মনসামঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে ? তাঁর কাব্যের নাম কী ?

উত্তর: মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি কানা হরি দত্ত। মনসামঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি নারায়ণ দেব। নারায়ণদেবের রচিত কাব্যের নাম ছিল ‘পদ্মাপুরাণ’

৩৮। মনসামঙ্গলের প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাহিনী কে রচনা করেন ?

উত্তর: বিজয় গুপ্তই প্রথম মনসামঙ্গল কাব্যের পূর্ণাঙ্গ কাহিনি রচনা করেন। কানা হরি দত্ত যে কাহিনী লিখেছিলেন তা ছিল আংশিক।

৩৯। বিজয় গুপ্ত লিখিত মনসামঙ্গলের পুঁথির নাম কী ?

উত্তর: বিজয়গুপ্ত লিখিত মনসামঙ্গলের পুঁথির নাম ছিল ‘পদ্মাপুরাণ’।

৪০। বিজয় গুপ্ত কোন শতাব্দীর কবি ?

উত্তর: বিজয়গুপ্ত পঞ্চদশ শতাব্দীর কবি।

৪১। নারায়ণ দেবের উপাধি কী ছিল ?

উত্তর: নারায়ণদেবের উপাধি ছিল সুকবিবল্লভ।

৪২। ধর্মমঙ্গল কাব্যের কয়টি কাহিনি বৃত্ত এবং কী কী ?

উত্তর: ধর্মমঙ্গল কাব্যের কাহিনী বৃত্ত -ধর্মমঙ্গল কাব্যের দুইটি কাহিনিবৃত্ত রয়েছে।সেগুলি হল-

i)হরিশ্চন্দ্রের কাহিনি এবং 

ii)লাউসেনের কাহিনি

৪৩। বিপ্রদাস পিপিলাই-এর রচিত কাব্যের নাম কী ছিল ?

উত্তর: বিপ্রদাস পিপিলাই রচিত কাব্যের নাম ছিল ‘মনসাবিজয়‘।

৪৪। বিপ্রদাস পিপিলাই এর বাসস্থান কোথায় ছিল ?

উত্তর: বিপ্রদাস পিপিলাই এর বাসস্থান ছিল চব্বিশ পরগণা জেলার বসিরহাট মহকুমার অন্তর্গত নাদুড়্যা বটগ্রামে। ৪৫। কোন্ কবি নিজেকে ‘কেতকাদাস’ নামে অভিহিত করেছেন ?

উত্তর: মনসামঙ্গলের কবি ক্ষেমানন্দ নিজেকে ‘কেতকাদাস’ বলে উল্লেখ করেছেন।

৪৬। কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের জন্মস্থান কোথায় ?

উত্তর: বর্ধমান জেলার সেলিমাবাদ পরগণার অন্তর্গত কাঁদড়া গ্রামে কেতকাদাস ক্ষেমানন্দের জন্মস্থান।

৪৭। চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আদি কবি কে ?

উত্তর: চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আদি কবি হলেন মানিক দত্ত।

৪৮। মানিক দত্তের জন্মস্থান কোথায় ?

উত্তর: মানিক দত্তের জন্মস্থান ছিল মালদহ জেলার ফুলিয়া নগরে।

৪৯। দ্বিজমাধব কর্তৃক রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের নাম কী ?

উত্তর: দ্বিজমাধব কর্তৃক রচতি কাব্যের নাম ‘সারদামঙ্গল’ বা ‘সারদাচরিত’

৫০। চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে ?

উত্তর: চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী।

৫১। মুকুন্দরামের কাব্য কোন শতাব্দীতে রচিত ?

উত্তর: মুকুন্দরামের কাব্য যােড়শ শতাব্দীতে রচিত।

৫২। মুকুন্দরামের জন্মস্থান কোথায় ছিল ?

উত্তর: মুকুন্দরামের জন্মস্থান ছিল বর্ধমান জেলার দামুন্যা গ্রামে।

৫৩। মুকুন্দরামের উপাধি কি ছিল ?

উত্তর: মুকুন্দরামের উপাধি ছিল ‘কবিকঙ্কণ’

৫৪। মুকুন্দরামের কাব্যের নাম কী ছিল ?

উত্তর: মুকুন্দরামের কাব্যের নাম ছিল ‘অভয়ামঙ্গল‘ ।

৫৫। মুকুন্দরাম কার আশ্রয়ে থেকে অভয়ামঙ্গল রচনা করেন ?

উত্তর: মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার অন্তর্গত আড়ব্যা গ্রামের জমিদার বাঁকুড়া রায়ের পুত্র রঘুনাথ রায়ের আশ্রয়ে থেকে অভয়ামঙ্গল কাব্য রচনা করেন।

৫৬। ধর্মমঙ্গল কাব্যের আদি কবি কে ?

উত্তর: ধর্মমঙ্গল কাব্যের আদি কবি হলেন ময়ূরভট্ট।

৫৭। ময়ূর ভট্টের কাব্যের নাম কী ?

উত্তর: ময়ূর ভট্টের কাব্যের নাম ‘হাকন্দপুরাণ ‘।

৫৮। ধর্মমঙ্গল কাব্যের প্রথম সার্থক রচয়িতা কে ?

উত্তর: ধর্মমঙ্গল কাব্যের প্রথম সার্থক রচয়িতা রূপরাম চক্রবর্তী।

৫৯। রূপরাম কোন্ শতাব্দীর কবি ?

উত্তর: রূপরাম সপ্তদশ শতাব্দীর কবি।

৬০। ধর্মমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি কে ?

উত্তর: ঘনরাম চক্রবর্তী ধর্মমঙ্গল কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি।

৬১। ঘনরাম কোন্ শতাব্দীর কবি ?

উত্তর: ঘনরাম অষ্টাদশ শতাব্দীর কবি।

৬২। ‘কবিরত্ন’ কার উপাধি ?

উত্তর: ‘কবিরত্ন’ ঘনরাম চক্রবর্তীর উপাধি।

৬৩। ঘনরামের কাব্য কয়টি সর্গে বিভক্তি ?

উত্তর: ঘনরামের কাব্য ২৪টি সর্গে বিন্যস্ত।

৬৪। ঘনরামের কাব্যের মােট শ্লোক সংখ্যা কত ?

উত্তর: ঘনরামের কাব্যের মােট শ্লোকসংখ্যা ৯১৪৭।

৬৫। ঘনরামের কাব্যে কোন্ রাজার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ?

উত্তর: ঘনরামের কাব্যে বর্ধমানের মহারাজা কীর্তিচন্দ্রের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

৬৬। কোন্ কাব্যকে ‘রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য ‘ বলা হয় ?

উত্তর: ধর্মমঙ্গল কাব্যকে রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য বলা হয়।

৬৭। ধর্মমঙ্গল কাব্যকে কে রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য বলে অভিহিত করেছেন ?

উত্তর: ডঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ধর্মমঙ্গল কাব্যকে রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য বলে অভিহিত করেছেন।

ধর্মমঙ্গল কাব্যকে কেন “রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য” বলা হয় ?

রামায়ণ অনুবাদ ধারা

৬৮। রামায়ণের প্রথম অনুবাদক কে ?

উত্তর: রামায়ণের প্রথম অনুবাদক কৃত্তিবাস ওঝা।

৬৯। কৃত্তিবাসের রামায়ণ কোন্ সময়ে রচিত হয় ?

উত্তর: কৃত্তিবাসের রামায়ণ পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথমভাবে রচিত হয়।

আরো দেখে রাখতে পারো 👉 নাথ সাহিত্য

৭০। কৃত্তিবাসের রামায়ণ কোথা থেকে প্রথম মুদ্রিত হয় ?

উত্তরঃ কৃত্তিবাসের রামায়ণ শ্রীরামপুরের খ্রিস্টান মিশন থেকে ১৮০২-২৮০৩ খ্রিস্টাব্দে | সর্বপ্রথম মুদ্রিত হয়।

৭১। কৃত্তিবাসের রামায়ণে মােট কতগুলি শ্লোক আছে ?

উত্তর: কৃত্তিবাসের রামায়ণে মােট ২৪,০০০ শ্লোক আছে।

৭২। কোন্ মহিলা কবি রামায়ণের অনুবাদ করেন ?

উত্তর: মহিলা কবি চন্দ্রাবতী রামায়ণের অনুবাদ করেন।

৭৩। চন্দ্রাবতী কার কন্যা ?

উত্তর: চন্দ্রাবতী মনসামঙ্গল কাব্যের কবি দ্বিজ বংশীদাসের কন্যা।

ভাগবত অনুবাদ ধারা

৭৪। ভাগবতের অনুবাদ প্রথম কে করেন ?

উত্তর: ভাগবতের প্রথম অনুবাদ করেন মালাধর বসু।

৭৫। মালাধর বসুর কাব্যের নাম কী ?

উত্তর: মালাধর বসুর কাব্যের নাম ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়’

৭৬। মালাধর বসুর উপাধি কী ছিল ?

উত্তর: মালাধর বসুর উপাধি ছিল ‘গুণরাজ খান।

মহাভারত অনুবাদ ধারা

৭৭। মহাভারতের আদি অনুবাদক কে ?

উত্তর: মহাভারতের আদি অনুবাদক হিসাবে কেউ কেউ সঞ্জয়ের নাম আবার কেউ কেউ কবীন্দ্র পরমেশ্বরের নাম উল্লেখ করেছেন।

৭৮। কবীন্দ্র পরমেশ্বর কাব্যের নাম কী ?

উত্তর: কবীন্দ্র পরমেশ্বরের কাব্যের নাম ‘পাণ্ডববিজয়’

৭৯। কবীন্দ্র পরমেশ্বরের কাব্য অপর কী নামে পরিচিত ?

উত্তর: কবীন্দ্র পরমেশ্বরের কাব্য ‘পরাগলী মহাভারত’ নামে পরিচিত।

৮০। কবীন্দ্র পরমেশ্বর কার সভাকবি ছিলেন ?

উত্তর: কবীন্দ্র পরমেশ্বর চট্টগ্রামের শাসনকৰ্ত্তা পরাগল খাঁর সভাকবি ছিলেন।

৮১। শ্রীকর নন্দী কার সভাকবি ছিলেন ?

উত্তর: শ্রীকর নন্দী চট্টগ্রামের শাসনকর্তা ছুটি খার (পরাগল খাঁর পুত্র) সভাকবি ছিলেন।

৮২। শ্রীকর নন্দী মহাভারতের কোন অংশ অনুবাদ করেন ?

উত্তর: শ্ৰকির নন্দী মহাভারতের শুধু অশ্বমেধ পর্বের অনুবাদ করেন।

৮৩। মহাভারতের অনুবাদক হিসাবে সঞ্জয়ের নাম কে প্রথম উল্লেখ করেন ?

মহাভারতের আনুবাদক হিসাবে সঞ্জয়ের নাম প্রথম উল্লেখ করেন আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন।

৮৪। সঞ্জয়ই মহাভারতের প্রথম অনুবাদক– একথা কে বলেছেন ?

উত্তর: মনীন্দ্রকুমার ঘােষ সঞ্জয়কে মহাভারতের প্রথম অনুবাদ হিসাবে প্রতিপন্ন করতে চেয়েছেন।

৮৫। মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কে ?

উত্তর: মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক কাশীরাম দাস।

৮৬। কাশীরাম দাসের জন্মস্থান কোথায় ?

উত্তর: কাশীরাম দাসের জন্মস্থান বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমার অন্তর্গত সিঙ্গি গ্রামে।

৮৭। কাশীরাম দাসের কাব্যের নাম কী ছিল ?

উত্তর: কাশীরাম দাসের কাব্যের নাম ছিল ‘ভারত পাঁচালী’

৮৮। কাশীরাম দাসের কাব্য কোন সময়ে রচিত হয় ?

উত্তর: কাশীরাম দাসের কাব্য যােড়শ শতাব্দীর একেবারে শেষ ভাগে অথবা সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে রচিত হয়।

৮৯। কাশীরাম দাস মহাভারতের কোন্ কোন্ পর্ব অনুবাদ করেন ?

কাশীরাম দাস মহাভারতের আদি, সভা, বন, বিরাট এই চারটি পর্ব অনুবাদ করেন।

৯০। কাশীরাম দাসের মহাভারতের বাকী অংশ কারা লেখেন ?

উত্তর: কাশারীম দাসের মহাভারতের বাকী অংশ লেখেন কবির ভ্রাতুপুত্র এবং জামাতা সম্পূর্ণ করেন।

আরাকান রাজসভা

৯১। দৌলত কাজী কার পৃষ্ঠপােষকতায় তার কাব্য রচনা করেন ?

উত্তর: দৌলতী কাজী আরাকান-রাজ শ্রীসুধমার সমরসচিব আশরাফ খানের পৃষ্ঠপােষকতায় তাঁর কাব্য রচনা করেন।

৯২। দৌলত কাজীর কাব্যের নাম কী ?

উত্তর: দৌলত কাজীর কাব্যের নাম ‘লাের চন্দ্রানী বা সতী ময়নামতী’

৯৩। দৌলত কাজী কোন্ শতাব্দীর কবি ?

উত্তর: দৌলত কাজী সপ্তদশ শতাব্দীর কবি।

আরাকান রাজসভার সাহিত্য বিস্তারিত আলোচনা

৯৪। দৌলত কাজী কত খ্রিস্টাব্দে তাঁর কাব্য রচনা করেন ?

উত্তর: দৌলত কাজী ১৫২২ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৬৩৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তার কাব্য রচনা করেন।

৯৫। সৈয়দ আলাওলের বিখ্যাত কাব্যটির নাম কী ?

উত্তর: সৈয়দ আলাওলের বিখ্যাত কাব্যটির নাম ‘পদ্মাবতী’

৯৬। সৈয়দ আলাওল কোন শতাব্দীর কবি ?

উত্তর: সৈয়দ আলাওল সপ্তদশ শতাব্দীর কবি।

৯৭। বাংলা সাহিত্যে যথার্থ গাথা সাহিত্য কোনগুলি ?

উত্তর: বাংলা সাহিত্যে যথার্থ গাথা সাহিত্যের নিদর্শন হল ময়মনসিংহ গীতিকা ও পূর্ববঙ্গ গীতিকাগুলি।

৯৮। গীতিকাগুলি কার সম্পাদনায় কোথা থেকে প্রকাশিত হয় ?

উত্তর: গীতিকাগুলি দীনেশচন্দ্র সেনের সম্পাদনায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত হয়।

৯৯। গীতিকাগুলিতে মােট কয়টি পালা আছে ?

উত্তর: গীতিকাগুলিতে মােট ৫৪টি পালা আছে।

১০০। এই পালাগুলির মধ্যে কোন্ পালাটি শ্রেষ্ঠ ?

উত্তর: পালাগুলির মধ্যে ‘মহুয়া’ পালাটিই সর্বশ্রেষ্ঠ।

প্রস্তুতির জন্য 👇 পরীক্ষাগুলি দিতে পারোঃ👇

১। সাহিত্যের ইতিহাস প্রাচীন ও মধ্যযুগ) MCQ

২। সমাসের MCQ practice SET

৩। সমাসের SAQ practice SET

৪। কারক অ-কারক SAQ Practice SET

৫। শব্দভাণ্ডার MCQ Practice SET

৬। কাব্যসাহিত্যের ইতিহাস (আধুনিক যুগ) MCQ

৭। ধ্বনি ও বর্ণ MCQ practice SET

৮। মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস SAQ SET

৯। সাহিত্যের রূপরীতি/ নাট্য সাহিত্য SAQ

আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇

বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান

বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান

গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।

বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা

আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান

গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান

কথা সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান

Leave a Reply