পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন/ WBSLST/WBSSC বা মাদ্রাসা সারভিস কমিশনের/WBMSC বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কথা সাহিত্য। সমরেশ বসু সেখানে খুবই প্রাসঙ্গিক বিষয়। Samaresh Basu, বাংলা কথা সাহিত্যে সমরেশ বসু, বাংলা কথা সাহিত্যে সমরেশ বসু pdf, সমরেশ বসুর উপন্যাস, সমরেশ বসুর ছোটগল্প, আদাব গল্প সমরেশ বসু, সমরেশ বসুর গঙ্গা, কালকূট কার ছদ্মনাম, ভ্রমর কার ছদ্মনাম, বিবর উপন্যাস, বি টি রোডের ধারে, মহাকালের রথের ঘোড়া এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন বা মাদ্রাসা সারভিস কমিশনের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কথা সাহিত্য। সমরেশ বসু সেখানে খুবই প্রাসঙ্গিক বিষয় বলে এখানে আলোচনা করা হল।
সমরেশ বসু
জন্ম- ১১ই ডিসেম্বর ১৯২৪/ বিক্রমপুর – ঢাকা
মৃত্যু- ১২ই মার্চ ১৯৮৮/ কোলকাতা
প্রকৃত নাম – সমরেশ বসু। (জন্মনাম ছিল- সুরথনাথ বসু।)
ছদ্মনাম- কালকূট , ভ্রমর
পিতা-মাতা- মোহিনীমোহন বসু ও শৈবলিনী বসু ।
পেশা- লেখক
প্রথম প্রকাশিত গল্প- “আদাব’’ (১৯৪৬-এ শারদীয় ‘পরিচয়’-এ)
রচিত প্রথম উপন্যাস – ‘নয়নপুরের মাটি’ (রচনা-১৯৪৬ কিন্তু গ্রন্থাকারে প্রকাশ- ১৯৫২)
প্রথম মুদ্রিত উপন্যাস – ‘উত্তরঙ্গ’ (১৯৫১)
পুরস্কার – সাহিত্য একাডেমি ১৯৮০/ (‘শাম্ব’ উপন্যাসের জন্য )
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের বাংলা কথা সাহিত্যের একজন শক্তিমান লেখক সমরেশ বসু। তাঁর শিল্পীস্বভাবের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল—বাস্তব জীবনের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং বাহির ও অন্তরকে একসঙ্গে করে মানুষের পূর্ণ রূপকে খোঁজার চেষ্টা। তাঁর জীবন বড় বিচিত্র। তরুণ বয়সেই প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতির সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন, জেলও খেটেছেন। শ্রমিক আন্দোলনের শিক্ষা তাঁকে মার্কসবাদে দীক্ষিত করেছে ও বিশ্বস্ত করেছে সাম্যবাদে। যারা সাধারণ মানুষ, এক অর্থে বিত্তহীন তাদের বাঁচার অধিকারকে
প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সংগ্রাম ও নেতৃত্বদান এজন্যই তিনি লেখনী ধারণ করেছেন।
১৯৪৬-এ শারদীয় ‘পরিচয়’-এ তাঁর প্রথম রচনা ‘আদাব’ গল্প মুদ্রিত হয়। তাঁর প্রথম মুদ্রিত উপন্যাস ‘উত্তরঙ্গ’ (১৯৫১)। যদিও তাঁর রচিত প্রথম উপন্যাস ‘নয়নপুরের মাটি’ দীর্ঘকাল পরে মুদ্রিত হয়। তিনি শতাধিক উপন্যাস ও তিন শতাধিক ছোটগল্প লিখেছেন। প্রকৃত নাম সুরথনাথ বসু।
সমরেশ বসুর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:-
বি.টি রোডের ধারে (১৯৫২),শ্রীমতি কাফে (১৯৫৩), গঙ্গা (১৯৫৭), ত্রিধারা (১৯৫৭), বাঘিনী (১৯৬০),তিন ভূবনের পারে (১৯৬৬),জগদ্দল (১৯৬৬),বিবর (১৯৬৫) , প্রজাপতি (১৯৬৭),ভানুমতির নবরঙ্গ (১৯৬৯)
মানুষ (১৯৭০),মহাকালের রথের ঘোড়া (১৯৭৭), টানাপোড়েন (১৯৮০),মোহমায়া (১৯৮৮),অমৃতকুম্ভের সন্ধানে (১৯৫৪),কোথায় পাব তারে (১৯৬৮),ঘরের কাছে আরশিনগর (১৯৮০),চল মন রূপনগরে (১৯৮২),পিঞ্জরে অচিন পাখি (১৯৮২),কোথায় সে জন আছে (১৯৮৩),অমৃত বিষের পাত্রে (১৯৮৬),যে খোঁজে আপন ঘরে (১৯৮৭),জ্যোতির্ময় শ্রীচৈতন্য (১৯৮৭), পুতুল খেলা (১৯৫৮), ফেরাই (১৯৬৪), শালঘেরির সীমানায় (১৯৬৪), জগদ্দল (১৯৬৬), সুচাঁদের স্বদেশ যাত্রা (১৯৬৯), অবচেতন (১৯৭০), যাত্রিক (১৯৭০), ওদের বলতে দাও (১৯৭২), ছায়া ঢাকা মন (১৯৭২), পথিক (১৯৭৩), পরমরতন (১৯৭৩), প্রাচীর (১৯৭৪), মানুষ শক্তির উৎস (১৯৭৪), গন্তব্য (১৯৭৮), বিপর্যস্ত (১৯৮০), বিজন বিভুঁই (১৯৮৩), তিনপুরুষ (১৯৮৬), দুই অরণ্য (১৯৬৪), বিকেলে ভোরের ফুল (১৯৭২)
সমরেশ বসুর ছোটগল্প সংকলন:-
অকালবৃষ্টি (১৯৫৩),পশারিণী (১৯৫৫),ষষ্ঠ ঋতু (১৯৫৬),মনোমুকুর (১৯৫৮),দেওয়াল লিপি (১৯৫৯),পাহাড়ী ঢল (১৯৬১),উজান (১৯৬৬) বনলতা (১৯৬৭),ছেঁড়া তমসুক (১৯৭১), চেতনার অন্ধকার (১৯৭২), ধর্ষিতা (১৯৭২),নাচঘর (১৯৭৬),মাসের প্রথম রবিবার (১৯৭৮),আমি তোমাদেরই লোক (১৯৮৬)।
- ‘কালকূট’ ছদ্মনামে লিখিত উপন্যাস :
‘অমৃতকুম্ভের সন্ধানে’ (১৯৫৪), ‘খুঁজি ফিরি সেই মানুষে’ (১৯৬০) ,‘স্বর্ণশিখর প্রাঙ্গনে’ (১৯৬৫) ,‘শাম্ব’ (১৯৭৮)
- ‘ভ্রমর’ ছদ্মনামে লিখিত উপন্যাস :
‘প্রথা’ (১৯৮৬), ‘আরব সাগরের জল নোনা’ (১৯৭২) ,’যুদ্ধের শেষ সেনাপতি ,’অন্তিম প্রনয়’, ‘প্রেম কাব্যরক্ত’
সমরেশ বসুর উল্লেখযোগ্য রচনা ও তার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:-
১. উত্তরঙ্গ (১৯৫১)
- লেখকের গ্রন্থাকারে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস।
- ‘পরিচয়’ পত্রিকায় কিছু অংশ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ পায়।
- প্রেক্ষাপট – গঙ্গা তীরবর্তী নৈহাটি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা।
- মূল চরিত্র হীরালাল বা লখাই, শ্যাম বাগদী।
- গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছে নবকুমার দাসকে।
২. নয়নপুরের মাটি (১৯৫২)
- লেখক রচিত প্রথম উপন্যাস (মাত্র একুশ বছর বয়সে ১৯৪৬ খ্রিঃ তিনি এই উপন্যাস রচনা করেন)। কিন্তু গ্রন্থাকারে প্রকাশকাল হিসেবে এটি দ্বিতীয় রচনা।
- ‘পরিচয়’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
- মোট পরিচ্ছেদ সংখ্যা ২৩টি।
- উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলি হল মহিম, গৌরাঙ্গ, অহল্যা।
- গ্রন্থটির উৎসর্গপত্রে লেখক লিখেছেন ‘সাগরকে’।
৩. বি.টি রোডের ধারে (১৯৫৩, ভিন্নমতে ১৯৫২ খ্রিঃ)
- মূল বিষয় – কলকাতার বি.টি রোডের বস্তি এলাকার মানুষ ও তাদের জীবন।
- উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলি হল দুলাল, গোবিন্দ, ফুলকি।
- গ্রন্থটির উৎসর্গপত্রে লেখক লিখেছেন, ‘ঈশ্বর সত্য মাস্টারের উদ্দেশ্যে।
৪. ভোটদর্পণ (১৯৫২)
- রচনাটি ‘প্রবাহ’ নামক পত্রিকায় এই বছরে ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
- কাহিনি শুরু ৩০শে ডিসেম্বরে আর সমাপ্তি ১ জানুয়ারি।
- উপন্যাসটি ভোটের আবহে সামাজিক ও রাজনৈতিক ছবির দলিল।
৫. অমৃত কুম্ভের সন্ধানে (১৯৫৪)
- গ্রন্থাকারে প্রকাশের পূর্বে ‘দেশ’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
- গ্রন্থটি কুম্ভ ট্রাজেডিতে নিহত মানুষদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়েছে।
- এই গ্রন্থেই ‘কালকূট’-এর যথার্থ স্বরূপে আত্মপ্রকাশ।
- চরিত্রগুলি হল প্রহ্লাদ, মনিয়াবাঈ, লক্ষ্মীদাসী, বলরাম।
৬. গঙ্গা (১৯৫৭)
- শারদীয়া ‘জন্মভূমি’ পত্রিকায় প্রকাশিত। গ্রন্থাকারে প্রকাশ ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে
- দক্ষিণবঙ্গের গঙ্গার মাঝিদের জীবনের নানা পর্যায় তথা প্রকৃতির কথা আছে। আছে প্রেমের কাহিনিও।
- উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলি হল নিবারণ, বিলাস, হিমি।
- উৎসর্গ করা হয়েছে কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
৭. ত্রিধারা (১৯৫৭)
- ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত।
- উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলি হল গিরীন, মৃণাল, সুজাতা, সুগতা।
- উপন্যাসটি উৎসর্গ করা হয়েছে সাহিত্যিক গোপাল হালদারকে।
৮. খুঁজে ফিরি সেই মানুষে (১৯৬০)
- ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত।
- পটভূমিতে আছে বীরভূমের জয়দেব মেলা।
- গ্রন্থটি ‘কালকূট’ নামে রচিত।
৯. বাঘিনী (১৯৬০)
- মূলত স্মাগলারদের জীবনের কথা বলা হয়েছে এই উপন্যাসে।
- চোলাই মদ, স্মাগলিং, যুবতীর আকর্ষণ এবং এক মহিলার বাঘিনী হয়ে ওঠার গল্প এই উপন্যাস।
- মোট ৫ টি পরিচ্ছেদে বিন্যস্ত উপন্যাসের কাহিনি।
- উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলি হল দুর্গা, ভোলা, কেষ্ট।
- উৎসর্গ করা হয়েছে কবি সাহিত্যিক প্রেমেন্দ্র মিত্রকে।
১০. নির্জন সৈকতে (১৯৬২)
- ১৯৬১ খ্রিঃ ‘জলসা’ পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
- পটভূমিতে আছে পুরী অঞ্চলের সমুদ্র সৈকত।
- গ্রন্থটি ‘কালকূট’ নামে প্রকাশিত।
- উল্লেখযোগ্য চরিত্রের মধ্যে আছে অবুদু, শিবি, সঞ্জয়, রেণু।
- উৎসর্গ করা হয়েছে নির্মলশশী দেবীকে।
- উপন্যাসটির কাহিনি অবলম্বনে চিত্রপরিচালক তপন সিংহের পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র।
১১. স্বর্ণশিখর প্রাঙ্গনে (১৯৬৫)
- ‘জলসা’ নামক একটি পত্রিকায় রচনাটি প্রকাশিত হয়।
- গ্রন্থটি ‘কালকূট’ নামে রচিত।
- উপন্যাসে আছে নাগরিক জটিলতার কথা।
- উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলি হল পরমেশ, মালতী, মল্লিকা, সুমিতা।
- উৎসর্গ করা হয়েছে শচীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়কে।
১২. প্রজাপতি (১৯৬৭)
- ১৩৭৪ বঙ্গাব্দে শারদীয় ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত।
- অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত হয় এই উপন্যাস। পরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সেই দায় থেকে মুক্ত হয় উপন্যাসটি।
- উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলি হল শিখা, সুখেন।
১৩. কোথায় পাবো তারে (১৯৬৮)
- গ্রন্থাকারে প্রকাশের পূর্বে ‘দেশ’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
- গ্রন্থটি ‘কালকূট’ নামে রচিত।
- লেখক তাঁর স্বর্গত পিতৃদেবের উদ্দেশ্যে এই গ্রন্থটি উৎসর্গ করেছেন।
১৪. বাণীধ্বনি বেণুবনে (১৯৭১)
- গ্রন্থাকারে প্রকাশের পূর্বে ১৯৭০ খ্রিঃ ‘সিনেমা জগৎ’ নামক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
- গ্রন্থটি ‘কালকূট’ নামে প্রকাশিত।
- রাজগীরের পটভূমিতে রচিত এই উপন্যাস।
- গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছে শ্রী যোগেন্দ্রনাথ দাসকে।
১৫. হারায়ে সেই মানুষে (১৯৭৫)
- ১৯৭১ খ্রিঃ ‘সিনেমা জগৎ’ পত্রিকায় শারদীয়া সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
- কাহিনিতে আছে বাংলার পূর্ব প্রান্তের মানুষের কথা।
- গ্রন্থটি উৎসর্গ করা হয়েছে শ্রী যোগেন্দ্রনাথ দাসকে।
১৬. মহাকালের রথের ঘোড়া (১৯৭৭)
- রাজনৈতিক উপন্যাস।
- গ্রন্থাকারে প্রকাশের পূর্বে ‘দেশ’ পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
- পটভূমি – বিশ শতকের সত্তর দশকে নকশালবাদী আন্দোলন থেকে উদ্ভূত রাজনৈতিক আন্দোলন
১৭. শাম্ব (১৯৭৮)
- মূল চরিত্র শাম্ব।
- প্রকাশের পূর্বে ১৩৮৪ বঙ্গাব্দে শারদীয় ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
- মহাভারতের শাম্ব কাহিনি অবলম্বনে আধুনিক নিঃসঙ্গ মানুষের সংগ্রামের কথা, আধুনিক জীবনের আশা আকাংখারকথা ব্যক্ত হয়েছে এই উপন্যাসটিতে।
- উপন্যাসটির জন্য লেখক ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান।
১৮. পৃথা (১৯৮৬)
- মহাভারতের কাহিনি অবলম্বনে রচিত।
- মোট পরিচ্ছেদ সংখ্যা ১৫টি।
- উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলি হল কুন্তী, অর্জুন, যুধিষ্ঠির।
- উপন্যাসটি উৎসর্গ করা হয়েছে দেবকুমার বসুকে।
কথাসাহিত্যে সমরেশ বসুর অবদান :
- দ্বিধা-দীর্ণ সমস্যা জর্জরিত আধুনিক সমাজকেসমরেশ বসু তাঁর উপন্যাসে যথাযথভাবে উপস্থাপন করেছেন।সমরেশ বসু দায়বদ্ধ শিল্পী। তাঁর উপন্যাসে বাস্তব জীবন প্রত্যক্ষভাবে উপস্থিত হয়েছে।
- সমরেশ বসু অনেক উপন্যাসে ইতিহাসের পটভূমিকায় নতুন জীবনের কথা নতুন কালের কথা বলেছেন।
- সমরেশ বসুর গল্পের আধুনিক জীবনের জটিল অস্থিরতার চিত্র যথাযথ ভাবে পরিস্ফুট হয়েছে।
- অলৌকিক বিষয়ের মধ্যেও তিনি মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা আনতে সক্ষম হয়েছেন। এ বিষয়ে তাঁর ‘সেই মুখ’ (১৯৫৬) উপন্যাসের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
- গল্পে রাজনৈতিক তত্ত্বকে সমরেশ বসু সার্থকভাবে প্রয়োগ করেছেন। ‘কিমলিস’ গল্পে দেখি বেচনের বস্তি জীবনের সঙ্গে সাম্যবাদী রাজনৈতিক তত্ত্বের অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে। ‘প্রতিরোধ’ গল্পে এসেছে তেভাগা আন্দোলনের কৃষকদের মানসিক অবস্থা।
- ভ্রমণের অভিনব অভিজ্ঞতাকে তিনি কালকূট ছদ্মনামে লেখা ভ্রমণোপন্যাসে পরিস্ফুট করেছেন।
বাংলা কথাসাহিত্যে সমরেশ বসুর অবদান PDF টি ডাউনলোড করে নাও 👇👇
আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇
নাট্যসাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের অবদান
নাট্যসাহিত্যে গিরিশচন্দ্র ঘোষের অবদান
নাট্যসাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান
নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্র-র অবদান
নাট্যসাহিত্যে মধুসূদন দত্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান
বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান
গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।
বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা
আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান
গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান
কথাসাহিত্যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান
কথাসাহিত্যে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান
কথাসাহিত্যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান
উপন্যাস সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান
বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের অবদান