You are currently viewing নাট্য সাহিত্যে শম্ভু মিত্রের অবদান

নাট্য সাহিত্যে শম্ভু মিত্রের অবদান

প্রশ্নঃ বাংলা নাট্য সাহিত্যে শম্ভু মিত্রের অবদান আলোচনা করো।

উত্তরঃ শম্ভু মিত্র আধুনিককালে একজন খ্যাতনামা নাট্যব্যক্তিত্ব । তিনি অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যাভিনেতা ও নাট্যনির্দেশক । স্বাধীনতা-পূর্ব সময়ে তিনি অভিনয় জগতে আসেন । বাণিজ্যিক থিয়েটার এবং গণনাট্য ও গ্রুপ থিয়েটার আন্দোলনের মাধ্যমেই তাঁর নাট্য প্রতিভার বিকাশ ঘটে । 

বহুরূপীর প্রযোজনায় শম্ভু মিত্র পরিচালিত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলি হল – ‘নবান্ন’ , ‘ছেঁড়াতার’ , ‘পথিক’ , ‘দশচক্র’ , ‘চার অধ্যায়’ , ‘রক্তকরবী’ , ‘পুতুল খেলা’ , ‘মুক্তধারা’ , ‘কাঞ্চনরঙ্গ’ , ‘বিসর্জন’ , ‘রাজা’ , ‘বাকি ইতিহাস’ , ‘পাগলা ঘোড়া’ ইত্যাদি ।

নাট্য প্রযোজনার জন্য তিনি নিজে নাটক রচনা করেন ।

সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল — ‘উলুখাগড়া’ , ‘বিভাব’ , ‘ঘূর্ণি’ , ‘কাঞ্চনরঙ্গ’ , ‘চাঁদ বণিকের পালা’ ইত্যাদি ।  ‘চাঁদ বণিকের পালা’ তাঁর রচিত একটি কালজয়ী নাটক । এই নাটকের প্রযোজনা করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি । তবে একাধিক অনুষ্ঠানে তিনি এই নাটক পাঠ করেছেন এবং রেকর্ডও করেছেন । 

তিনি বাণিজ্যিক ‘রঙমহল’এ তিরিশের দশকের শেষের দিকে নাট্যাভিনয় শুরু করেন । এখানে তিনি নরেশ মিত্র ও অহীন্দ্র চৌধুরীর পরিচালনায় বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেন । 

তাঁর নাট্য জীবনে শিশির ভাদুড়ী প্রভাব লক্ষ করা যায় । শম্ভু মিত্র ১৯৪৩ সালে ভারতীয় গণনাট্য সংঘে যোগ দেন । গণনাট্য চোখ দিয়ে সেখানে অভিনয় ও নাট্য পরিচালনার সুযোগ পান । এই গণনাট্য সংঘের হয়ে ‘ল্যাবরেটরি’ নাটক পরিচালনা করেন ও প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন । 

‘জবানবন্দী’ ও ‘নবান্ন’ নাটকের অভিনয় অসম্ভব সাফল্য লাভ করে এবং সেই সূত্রে গণনাট্য সংঘের প্রযোজনার খ্যাতি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে । 

১৯৭৩ সালে শম্ভু মিত্রকে ‘বহুরূপী’ নাট্যদল ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয় এবং তিনি কন্যা শাঁওলি মিত্রের ‘পঞ্চম বৈদিক’ নাট্যদলের অভিনয় করতে থাকেন । শম্ভু মিত্রের শেষ অভিনয় ১৯৮৫ সালে একাডেমি মঞ্চে ‘দশচক্র’ নাটকে পঞ্চম বৈদিকের প্রযোজনায় ও নিজস্ব নির্দেশনায়।

(বিষয় সংযুক্তিঃ নাট্য সাহিত্যে শম্ভু মিত্রের অবদান, বাংলা নাটকে শম্ভু মিত্রের অবদান আলোচনা, নবনাট্য আন্দোলনের ধারায় শম্ভু মিত্র, বিভাব নাটক, শম্ভু মিত্রের বিভাব নাটক, চাঁদ বণিকের পালা, উলুখাগড়া নাটক, )

আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇

নাট্যসাহিত্যে উৎপল দত্তের অবদান

নাট্যসাহিত্যে রবীন্দ্রনাথের অবদান

নাট্যসাহিত্যে গিরিশচন্দ্র ঘোষের অবদান

নাট্যসাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান

নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্র-র অবদান

নাট্যসাহিত্যে মধুসূদন দত্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান

বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান

গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।

বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা

আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান

গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান

কথাসাহিত্যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান

কথাসাহিত্যে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান

কথাসাহিত্যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান

উপন্যাস সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের অবদান

বাংলা উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা সাহিত্যে রাজশেখর বসু(পরশুরাম)-এর অবদান আলোচনা করো।

Leave a Reply