বর্তমান মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ পূর্বে আরাকান নামে পরিচিত ছিল। যা ছিল চট্টগ্রামের নিকটবর্তী ও অন্তর্ভুক্ত রাজত্ব। সেখানে মধ্যযুগে বাংলা ভাষার চর্চা বাংলা সাহিত্যের অন্য ধারার পরিচয় দিয়েছিল। এই আরাকান রাজসভার রাজন্যবর্গের পৃষ্ঠপোষণায় যারা সাহিত্য চর্চা করেন তাদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য দু’জন হলেন দৌলত কাজী ও সৈয়দ আলাওল । তাদের সাহিত্যচর্চার পরিচয় তুলে ধরা হলঃ
দৌলত কাজী
জন্মঃ চট্টগ্রামের সুলতানপুর গ্রামে।
পৃষ্ঠপোষণাঃ আরাকান রাজ থিরি-থু-ধৰ্ম্মার (শ্রী সুধর্মা) রাজসভায় থাকাকালীন আরাকানের সমর সচীব আশরাফ খানের পৃষ্ঠপােষকতায় ও নির্দেশে ১৬২১-৩৮ খ্রিঃ মধ্যে হিন্দি কবি মিয়া সাধনের ‘মৈনাকোসৎ’ অবলম্বনে ‘লােরচন্দ্রানী’ বা ‘সতীময়না’ কাব্য রচনা করেন।
কাব্যটির দুই-তৃতীয়াংশ রচনার পর দৌলত কাজীর আকস্মিক অকাল প্রয়াণ ঘটলে সৈয়দ আলাওল আরাকান রাজ, সান্দ-থু-ধর্মা-র (চন্দ্রসুধর্মা) প্রধানমন্ত্রী সুলেমানের নির্দেশে কবির মৃত্যুর ২০ বছর পরে ১৬৫৯ সালে কবি আলাওল কাব্যের শেষাংশ রচনা করেন।
কাব্য পরিচয়ঃ তিন খন্ডের এই ‘লােরচন্দ্রানী’ বা ‘সতীময়না’ কাব্যের প্রথম এবং দ্বিতীয় খন্ডে দৌলত কাজী কবি প্রতিভার উজ্জ্বল সাক্ষর রেখে গেছেন। প্রথম খন্ডে কাব্যের নায়ক নায়িকা এবং তাদের স্বভাবগত দোষগুনের কথা তিনি লিখেছেন। দ্বিতীয় খন্ডে কাব্যের নায়িকা ময়নাবতী বিরহের আগুনে পুড়ে বিশুদ্ধ হয়েছে। তৃতীয় খন্ডে ময়নাবতীর বিরহের অবসান হলো এবং তার স্বামী লোর ও সতিন চন্দ্রানীর মিলন হলো। দ্বিতীয় খন্ড লেখার পর তার মৃত্যু হয় এবং কবির ইংঙ্গিত অনুযায়ী কাব্যটিকে মিলনান্তক করে কবি আলাওল দৌলত কাজীর এ অসমাপ্ত কাব্যটি সম্পূর্ণ করেন। তিনি তার সংক্ষিপ্ত জীবনে যে অনন্য নিদর্শন রেখে গেছেন তার মূল্য মহাকবি আলাওলের রচনার পাশে খুব সহজেই স্বীকৃত। কবি আলাওল অসম্পূর্ণ কাব্য সমাপ্ত করতে গিয়ে কবি দৌলত কাজীর প্রতি সম্মান নিবেদন করে লিখেছেন “তান সম আমার না হয় পদগাঁথা” ।
‘লােরচন্দ্রানী’ বা ‘সতীময়না’ কাব্যের মূলকথাঃ – লাের ও চন্দ্রানীর প্রেমের আখ্যান আর লােরের প্রথমা পত্নী ময়নার সতীত্ব কাহিনি ও স্বামী কর্তৃক পরিত্যক্ত হওয়ার পর তার করুণ বিলাপবর্ণনা। কবি প্রতিভা – পরিচ্ছন্ন ভাষা, নিপুন ছন্দ জ্ঞান, সংস্কৃত সাহিত্য পুরাণে অবাধ বিচরণ, জীবনাভিজ্ঞতার পরিচয় রয়েছে তাঁর কাব্যে। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের গতানুগতিকতার পথভঙ্গ করে তাঁর কাব্য এক অভিনবআদর্শের পথ করে দিয়েছিল।
কবি কৃতিত্বঃ
১। সহজ সরল ভাষায় কাহিনি বর্ণনা।
২। জীবন রসের পরিচয়দান।
৩। মানব মহিমাকে সবার উপরে স্থান দেওয়া।
৪। রম্যান্টিক ও মিস্টিক ভাবনার পরিচয়দান।
৫। বাংলা ভাষার ছন্দ, অলঙ্কারের মুনশিয়ানার সঙ্গে পাণ্ডিত্য ও মননশীলতার পরিচয় তুলে ধরেছেন কবি।
একটি দৃষ্টান্ত:
“নিরঞ্জন সৃষ্টি নর অমূল্য রতন।
ত্রিভুবনে নাহি কেহ তাহার সমান।।
নর বিনে চিন নাহি কিতাব কোরান।
নর সে পরম দেব তন্ত্র মন্ত্রে জ্ঞান।”
নর যে পরম দেব নর যে ঈশ্বর।
নর বিনে ভেদ নাহি ঠাকুর কিঙ্কর।।”
সৈয়দ আলাওল
জন্মঃ ফরিদপুরের জালালপুর গ্রামে। রােসাঙ রাজসভার দ্বিতীয় বিশিষ্ট কবি। তাঁর রচিত আরবি ও ফারসি থেকে অনুবাদমূলক গ্রন্থগুলি বেশি বিখ্যাত।
সৈয়দ আলাওলের গ্রন্থঃ সৈয়দ আলাওলের অনুবাদমূলক গ্রন্থগুলি হল —
১। ‘পদ্মাবতী’ (১৬৪৮)
২।’লোর চন্দ্রানী বা সতীময়না লোরচন্দ্রানী‘ [শেষাংশ] (১৬৫৯খৃঃ)
৩। ‘সয়ফুলমূলক বদিউজ্জামাল’ (১৬৬৯)
৪। সতীময়না লোরচন্দ্রানী (১৬৫৯খৃঃ)
৫। ‘সপ্ত (হপ্ত) পয়কর’ (১৬৬৫)
৬। ‘তৌহফা’ (১৬৬৪)
৭। ‘সেকেন্দারনামা’ (১৬৭৩)
৮। রাগতালনামা ( প্রথম পর্যায়ের রচনা)
সৈয়দ আলাওলের শ্রেষ্ঠ কাব্যঃ তাঁর প্রসিদ্ধ অনুবাদ কাব্যটি হল ‘পদ্মাবতী’ । (আনুমানিক ১৬৪৮ খ্রিঃ রচিত) হিন্দি কবি মুহম্মদ জায়সীর ‘পদুমাবৎ’ কাব্য অবলম্বনে তিনি ‘পদ্মাবতী’ কাব্য রচনা করেন। কাব্যটি ইতিহাসাশ্রিত রােমান্টিক প্রেমকাব্য। (পদ্মিনীর জহর ব্রত ও দেশ সেবার জন্য আত্মত্যাগের ইতিহাস এর প্রধান কাহিনি)। ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে মানব মানবীর প্রেম ও আত্মত্যাগের কাহিনি প্রকাশ করতে গিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকার চরিত্র চিত্রণে তাঁর বিশিষ্টতার পরিচয় রয়েছে। তাঁর কবিত্ব, জ্ঞান, পাণ্ডিত্য ও বহুভাষায় দক্ষতা ছিল বলেই তিনি জীবন রসের রসিক হিসেবে সমাদৃত হয়েছেন।
সৈয়দ আলাওলের কবি প্রতিভাঃ –
১। রোম্যান্টিক প্রেমের উৎকর্ষতার চিত্রাংকণ।
২। পদ্মাবতী চরিত্রের কোমল ও মানবিক রূপের পাশাপাশি তার সৌন্দর্যের পরিচয় দান।
৩। আনেক ভাষায় দক্ষ বলে অগাধ পাণ্ডিত্যের পরিচয় দিয়েছেন।
৪। বাংলা ভাষার ছন্দ , অলংকারের পাশাপাশি , বাগবৈদগ্ধ ও শাস্ত্র জ্ঞানের পরিচয় দান।
৫। রাজসভা কবি বলে তাঁর লেখায় ফুটে উঠেছে মার্জিত রুচি ও কাব্যরসের চমৎকারিত্ব ।
দৃষ্টান্তঃ “প্রেম বিনে ভাব নাই ভাব বিনে রস।
ত্রিভূবনে যাহা দেখি প্রেম হুনতে (হতে) বশ
যার হূদে জন্মিলেক প্রেমের অঙ্কুর।
মুক্তি পাইল সে প্রেমের ঠাকুর ।।”
xxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxx
আরাকান রাজসভার সাহিত্য বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর 👇👇
১) আরাকানের বর্তমান নাম কী ? বর্তমানে আরাকান কোথায় অবস্থিত ?
উত্তর: আরাকানের বর্তমান নাম রাখাইন প্রদেশ ।
∆ আরাকান বর্তমানে মায়ানমারে অবস্থিত । আরাকান রাজ্যের অধিবাসীদের রোহিঙ্গা বলে ।
২) আরাকান রাজসভায় বাংলা সাহিত্য চর্চার কারণ কী ?
উত্তর : সাহিত্য চর্চার কারণ:
i) আরাকান রাজরা ছিলেন বাঙালি ।
ii) আরাকান রাজারা ছিলেন সাহিত্য রসিক ।
iii) রাজা, সমরসচিব, মন্ত্রী, সুবাদার প্রমুখরা বিভিন্ন কবির কাব্য রচনায় পৃষ্ঠপোষকতা করেন ।
iv) দৌলত কাজী, সৈয়দ আলাওলের মত প্রতিভাধর কবির উপস্থিতি ।
৩) মধ্যযুগে রচিত দৈবি মাহাত্ম্য মুক্ত মানব প্রেমের আখ্যান কোনটি ? প্রথম কোথায় রচিত হয় ? দুজন কবি ও কাব্যের নাম লিখুন ?
উত্তর: মধ্যযুগে রচিত দৈবি মাহাত্ম্য মুক্ত মানব প্রেমের আখ্যান হল – দৌলত কাজীর ‘সতী ময়না’ বা ‘লোর চন্দ্রানি’ ।
∆ প্রথম আরাকান রাজ সভায় মানব প্রেমের আখ্যান রচিত হয় ।
∆ i) দৌলত কাজী – ‘সতী ময়না’
ii) সৈয়দ আলাওল – ‘পদ্মাবতী ‘ ।
৪) কে, কার নির্দেশে ‘সতী ময়না ‘ বা ‘লোর চন্দ্রানি’ কাব্য রচনা করেন ? এর শেষাংশ কে, কার নির্দেশে রচনা করেন ?
উত্তর : রচয়িতা : ‘লোর চন্দ্রানি’ বা ‘সতী ময়না ‘ কাব্যটি দৌলত কাজী রচনা করেন ।
নির্দেশক : দৌলত কাজী আরাকান রাজ সুধাম্মার সমরসচিব আশরাফ খানের পৃষ্ঠপোষকতায় কাব্যটি রচনা করেন ।
∆ ‘সতী ময়না ‘ বা ‘লোর চন্দ্রানি’ কাব্যের শেষাংশ ১৬৫৯ সালে আরাকান রাজ সুধম্মার প্রধানমন্ত্রী সোলেমনের নির্দেশে সৈয়দ আলাওল সমাপ্ত করেন ।
৫) আরাকান রাজ সভার কবি ও তাদের কাব্যের নাম লিখুন ?
উত্তর : আরাকান রাজ সভার কবি ও কাব্য :
i) দৌলত কাজী – সতী ময়না,
ii) সৈয়দ আলাওল – পদ্মাবতী,
iii) মোহাম্মদ খান – মত্তুল্ল হোসেন,
iv) সৈয়দ সুলতান – নবীবংশ,
v) মোহাম্মদ সোগীর – ইউসুফ জুলেখা ।
৬) বাংলা সাহিত্যের প্রথম মানব প্রেমের আখ্যান কোনটি ? গ্রন্থটি সম্পর্কে টীকা লেখো ?
উত্তর : বাংলা সাহিত্যের প্রথম মানব প্রেমের আখ্যান হল ‘সতী ময়না’ বা ‘লোর চন্দ্রানী’ ।
গ্রন্থ পরিচয় :
নাম : ‘সতী ময়না বা লোর চন্দ্রানী’ ।
রচয়িতা : দৌলত কাজী ।
রচনাকাল : সপ্তদশ শতাব্দী ।
নির্দেশনা : আরাকান সমরসচিব আশরাফ খানের নির্দেশে রচনা করেন ।
কাহিনি : i) রাজকন্যা লোর চ্ন্দ্রানী ও লোরের প্রেমের কাহিনি ।
ii) সতী ময়নার কাহিনি ও তার প্রতিষ্ঠা ।
৭) দৌলত কাজীর কাব্য বৈশিষ্ট্য / কৃতিত্ব লিখুন ?
উত্তর : দৌলত কাজীর কাব্য বৈশিষ্ট্য / কৃতিত্ব :
i) সহজ সরল ভাষায় কাব্য বর্ণনা ।
ii) জীবন রসের পরিচয়দান ।
iii) মানব মহিমাকে সবার উপর স্থান দেওয়া ।
iv) রোমান্টিক ও মিষ্টিক ভাবনার পরিচয় দান ।
v) বাংলা ভাষার ছন্দ, অলঙ্কারের সঙ্গে পাণ্ডিত্য ও মননশীলতার পরিচয় তুলে ধরেছেন ।
৮) দৌলত কাজী কোথাকার কবি ? তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিন ।
উত্তর : দৌলত কাজী আরাকান রাজসভার কবি ।
সংক্ষিপ্ত পরিচয় :
নাম : দৌলত কাজী ।
জন্ম : চট্টগ্রামের সুলতানপুর গ্রামে ।
কাব্য : ‘সতী ময়না বা লোরচন্দ্রানী ‘ ।
পৃষ্ঠপোষণা : আরাকান রাজ সুধম্মার সমর সচীব আশরাফ খানের পৃষ্টপোষকতায় ও নির্দেশে ১৬২১-৩৮ খ্রি: হিন্দি কবি মিয়া সাধনের ‘মৈনাকসৎ ‘ অবলম্বনে ‘লোরচন্দ্রানী ‘ কাব্য রচনা করেন ।
৯) ‘পদ্মাবতী’ কার কোন গ্রন্থের অনুবাদ ? চারটি চরিত্রের নাম লিখুন ?
উত্তর : ‘ পদ্মাবতী ‘ গ্রন্থটি মহম্মদ জয়াসীর লেখা ‘পদুমাবৎ বা পদ্মাবৎ’ কাব্য অবলম্বনে রচিত হয় ।
∆ চরিত্র : পদ্মাবতী কাব্যের চারটি চরিত্র হল – রত্নসেন, পদ্মাবতী, হীরামুনি, নাগমতি ।
১০) কে, কার নির্দেশে ও কবে পদ্মাবতী কাব্যটি রচনা করেন ?
উত্তর : রচয়িতা : পদ্মাবতী কাব্যের সৈয়দ আলাওল ।
পৃষ্ঠপোষণা : মাগনঠাকুরের নির্দেশে রচনা করেন ।
রচনাকাল : সৈয়দ আলাওল ১৬৪৬ সালে কাব্যটি রচনা করেন ।
১১) সৈয়দ আলাওলের কাব্য বৈশিষ্ট্য লিখুন ?
উত্তর : সৈয়দ আলাওলের কাব্য বৈশিষ্ট্য গুলি হল –
i) রোমান্টিক প্রেমের উৎকর্ষতার চিত্রাঙ্কন ।
ii) একাধিক ভাষায় দক্ষ হওয়ায় অগাধ পাণ্ডিত্যের পরিচয় দিয়েছেন ।
iii) বাংলা ভাষায় ছন্দ, অলঙ্কারের পাশাপাশি বাগবৈদগ্ধ ও শাস্ত্র জ্ঞানের পরিচয় দান ।
iv) রাজসভার কবি বলে তাঁর লেখায় ফুটে উঠেছে মার্জিত রুচি ও কাব্যরসের চমৎকারিত্ব ।
প্রস্তুতির জন্য 👇 পরীক্ষাগুলি দিতে পারোঃ👇
আরো দেখে রাখতে পারেন 👉 নাথ সাহিত্য
শিবায়ন কাব্যধারা ও কবিদের কৃতিত্ব
৪। কারক অ-কারক SAQ Practice SET
৫। শব্দভাণ্ডার MCQ Practice SET
৬। কাব্যসাহিত্যের ইতিহাস (আধুনিক যুগ) MCQ
৭। ধ্বনি ও বর্ণ MCQ practice SET
৮। মঙ্গলকাব্যের ইতিহাস SAQ SET
আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇
বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান
বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান
গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।
বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা
আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান
গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান