You are currently viewing  নাট্য সাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান

 নাট্য সাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান

 নাট্য সাহিত্যে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের অবদান আলোচনা করো।

দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ছিলেন একজন অন্যতম জনপ্রিয় নাট্যকার । তিনি ইংরেজি সাহিত্যে সুপন্ডিত হয়ে বিদেশে থাকাকালিন সময়ে নাট্যসাহিত্য ও নাট্যাভিনয়ের সঙ্গে গভীর ভাবে পরিচিত হন । তিনি শেক্সপিয়ার নাটকের অনুসরণে এবং প্রাণবান জীবনরহস্যের সংযোজনের রোমান্টিক কমেডি নাটক , ঐতিহাসিক , স্বদেশী ভাবাপন্ন , সামাজিক ও পৌরাণিক নাটক — সর্বক্ষেত্রেই অনায়াস সিদ্ধিলাভ করেছিলেন । 

তাঁর রচিত নাটক গুলিকে কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায় । যেমন — 

ক) ইতিহাসাশ্রিত রোমান্টিক নাটক – ‘প্রতাপসিংহ'(১৯০৫) , ‘দুর্গাদাস'(১৯০৬) , ‘নূরজাহান'(১৯০৮) , ‘মেবারপতন'(১৯০৮) , ‘সাজাহান'(১৯০৯) , ‘চন্দ্রগুপ্ত'(১৯১১) ইত্যাদি । 

খ) সামাজিক নাটক – ‘পরপারে’ ইত্যাদি । 

গ) পৌরাণিক নাটক –পাষাণী'(১৯০০) , ‘সীতা'(১৯০৮) , ‘ভীষ্ম'(১৯১৪) ইত্যাদি । 

ঘ) প্রহসন – ‘কল্কি অবতার'(১৮৯৫) , ‘পুনর্জন্ম'(১৯১৯) ইত্যাদি । 

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের প্রথম প্রহসন ‘কল্কি অবতার’ এ বিলাত ফেরত , ব্রাহ্মণ , নব্য হিন্দু , গোঁড়া ও পন্ডিত এই পাঁচ সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্রুপ বর্ষিত হয়েছে । 

তাঁর ঐতিহাসিক নাটকের সূচনা ‘প্রতাপ সিংহ’ দিয়ে । এখানে স্বাধীনতা সংগ্রামের শ্রেষ্ঠতম সৈনিক প্রতাপের অতুল বীরত্ব , অনুপম দেশপ্রেম ও অলৌকিক ত্যাগের চিত্র নাট্যকার শ্রদ্ধার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন । 

‘নূরজাহান’ তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ট্রাজেডি । ট্রাজেডি তীব্রতা ও গভীরতা এই নাটকে অত্যন্ত বেশি । ‘মেবারপতন’ উদ্দেশ্যমূলক নাটক । এক উদার সাম্যমূলক নীতি প্রচারের জন্যই তিনি নাটকটি রচনা করেছিলেন । 

‘সাজাহান’ দ্বিজেন্দ্রলালের ঐতিহাসিক নাটক গুলির মধ্যে শ্রেষ্ঠ নাটক । নাটকটির মধ্যে বহু চরিত্র ও বিভিন্ন উপকাহিনী থাকা সত্ত্বেও নাট্যকার সুনিপুন শিল্পকৌশল সব ঘটনা ও চরিত্রে অবিচ্ছিন্নভাবে পরস্পরের মধ্যে সঙ্গতিপূর্ণ সংযোগ স্থাপন করেছেন । 

তাঁর প্রথম পৌরাণিক নাটক ‘পাষাণী’ । নাট্যকার অহল্যা কাহিনিকে সম্পূর্ণ অভিনব রূপ দিয়েছেন এই নাটকে । ‘সীতা’ নাটকটি রামায়ণ ও ভবভূতির ‘উত্তররামচরিত’ অনুসরণে রচিত। অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে চরিত্রগুলোকে আধুনিক দৃষ্টিতে পরিস্ফুট করার চেষ্টা করেছেন । 

‘চন্দ্রগুপ্ত’ নাটকে তিনি মুঘুল রাজত্ব থেকে দৃষ্টি ফিরিয়েছেন হিন্দু রাজত্বের দিকে । হিন্দু পুরাণ কিংবদন্তি এবং গ্রিক ইতিহাসের উপর নির্ভর করে নাটকটি রচিত হয়েছে । 

সত্যি বিচার করে বলা যায় যে , রবীন্দ্র সমসাময়িক বাংলা সাহিত্যের দ্বিজেন্দ্রলাল এক উল্লেখযোগ্য ও স্মরণীয় নাট্যব্যক্তিত্ব।

আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇

নাট্যসাহিত্যে গিরিশচন্দ্র ঘোষের অবদান

নাট্যসাহিত্যে দীনবন্ধু মিত্র-র অবদান

নাট্যসাহিত্যে মধুসূদন দত্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান

বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান

গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।

বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা

আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান

গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান

কথাসাহিত্যে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান

কথাসাহিত্যে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান

কথাসাহিত্যে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদান

উপন্যাস সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

বাংলা ছোটগল্পে রবীন্দ্রনাথের অবদান

বাংলা উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা সাহিত্যে রাজশেখর বসু(পরশুরাম)-এর অবদান আলোচনা করো।

Leave a Reply