You are currently viewing ভাষার ইতিহাস এর প্রশ্নোত্তর | একাদশ শ্রেণির বাংলা ভাষার ইতিহাসের সাজেশন | উত্তরের PDF সহ

ভাষার ইতিহাস এর প্রশ্নোত্তর | একাদশ শ্রেণির বাংলা ভাষার ইতিহাসের সাজেশন | উত্তরের PDF সহ

এখানে আলোচিত করা হল👉 ভাষার ইতিহাস এর প্রশ্নোত্তর, একাদশ শ্রেণির বাংলা ভাষার ইতিহাসের সাজেশন,বাংলা লিপির উদ্ভব ও বিকাশ, মিশ্র ভাষা কাকে বলে, ভারতবর্ষ চার ভাষাবংশের দেশ, মধ্যভারতীয় আর্যভাষার সময়কাল, অস্ট্রিক ভাষাবংশের সংক্ষিপ্ত পরিচয়, অবর্গীভূত ভাষা কাকে বলে ? উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অবর্গীভূত ভাষার পরিচয় দাও, উত্তরের PDF সহ দেওয়া হল । তোমরা ডাউনলোড করে নিতে পারো।

১। বাংলা লিপির উদ্ভব ও বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করো। 

ভারতের প্রাচীনতম লিপি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে খরোষ্ঠী ও ব্রাহ্মী লিপিকে । খরোষ্ঠী লিপির সঙ্গে আরামীয় লিপির চরিত্রগত মিল আছে বলে অনুমান করা হয় । বাণিজ্যিক কারণে মেসোপটেমিয়ায় আরামীয় লিপির সঙ্গে মিশে ভারতের লিপির ব্যবহার প্রসারিত হয় । বণিকদের এই লিপির ব্যবহারের ফলে খরোষ্ঠী লিপির উদ্ভব ঘটে । তবে ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ নাগাদ এই লিপি ভারতের বাইরে চলে যায় এবং একসময় লোপ পায় । অশোকের শিলালিপিতে খরোষ্ঠী লিপির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় । ৫০০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ খরোষ্ঠী লিপি অপসৃত হয়ে ব্রাহ্মী লিপির প্রাধান্য বৃদ্ধি পায় । ব্রাহ্মী লিপির তিনটি প্রধান আঞ্চলিক রূপ নেয় — উত্তর ভারতীয় , দক্ষিণ ভারতীয় ও বহির্ভারতীয় । ব্রাহ্মী লিপি থেকে যে উত্তর ভারতীয় লিপি গড়ে ওঠে তা পুরোপুরি বিকশিত হয়ে বিশিষ্ট রূপ ধারণ করে গুপ্তযুগে । এই জন্য উত্তর ভারতীয় লিপিকে গুপ্ত লিপি বলা হয় । গুপ্ত লিপি পূর্বী ও পশ্চিমা এই দুটি ধারায় বিভক্ত হয়ে যায় । গুপ্ত লিপির পূর্বী ধারা থেকে খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতে সিদ্ধ মাতৃকা লিপির জন্ম হয় । খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে এই সিদ্ধ মাতৃকা লিপির একটি জটিল রূপ গড়ে ওঠে । লিপি বিশেষজ্ঞেরা তার নাম দিয়েছেন কুটিল লিপি । ডক্টর সুকুমার সেনের মতে এই কুটিল লিপি থেকেই বাংলা লিপির উদ্ভব হয়েছে । শুধু তাই নয় , এই কুটিল লিপি থেকে ভারতের বহু প্রচলিত নাগরিক বা দেবনাগরী লিপিরও বিকাশ ঘটে । বাংলা লিপির উৎস সম্পর্কে মতপার্থক্য থাকলেও সর্বজনগ্রাহ্য সিদ্ধান্ত হিসেবে বলা যায় , এই কুটিল লিপি থেকে দুটি স্বতন্ত্র ধারায় সমান্তরালভাবে দেবনাগরী ও বাংলা লিপির বিকাশ ঘটেছে ।

   <……………………>

২। মিশ্র ভাষা কাকে বলে ? এই ভাষার চারটি বৈশিষ্ট্য লেখ । 

মিশ্র ভাষাঃ- একাধিক ভাষাগোষ্ঠীর মানুষ যদি কোন একটি বিশেষ অঞ্চলে উপস্থিত হয় তখন সেই দুই বা ততোধিক ভাষার উপাদানের মিশ্রণে এক নতুন ভাষার সৃষ্টি হয় । সেই ভাষাটিকে বলা হয় মিশ্র ভাষা । যেমন – পিজন ইংরেজি , বিচ-লা-মার , মরিশাস , ক্রেয়ল , চিনুক , ফরাসি পিজন ইত্যাদি । 

মিশ্র ভাষার বৈশিষ্ট্যঃ- মিশ্র ভাষার বৈশিষ্ট্যগুলি হল — 

ক) মিশ্র ভাষায় একাধিক ভাষার উপাদান বজায় থাকলেও তাদের মধ্যে একটি উন্নত ভাষার প্রাধান্য লক্ষ করা যায় । 

খ) মিশ্র ভাষার ব্যবহার কথ্যভাষা হিসেবে সীমাবদ্ধ থাকে । 

গ) মিশ্র ভাষায় সাহিত্য সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে না । 

ঘ) মিশ্র ভাষায় শব্দভাণ্ডার সীমিত হয় । 

ঙ) এই ভাষায় ব্যাকরণের কোন সুষ্ঠু নিয়ম বজায় থাকে না । তবে কথা বলার সময় যেকোনো একটি ভাষার নিয়ম সরাসরি অনুসরণ করা হয় ।

   <……………………>

৩। “ভারতবর্ষ চার ভাষাবংশের দেশ।” — এই চার ভাষাবংশের পরিচয় দাও ।  

ভাষাবিজ্ঞানীগণ ভারতকে চার ভাষাবংশের দেশ বলে অভিহিত করেছেন । এই চার ভাষাবংশ হল —

ক) ইন্দো-ইউরোপীয়

খ) অস্ট্রিক

গ) দ্রাবিড় এবং 

ঘ) ভোটচিনীয় 

ক) ইন্দো-ইউরোপীয়ঃ- ভারতে প্রচলিত ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা ভারতীয় আর্যভাষা নামে পরিচিত । আনুমানিক ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই শাখাটি ভারতে প্রবেশ করে । তিনটি স্তরে বিবর্তিত হয় এই ভাষাবংশ বর্তমান স্তরে এসেছে । একে বলা হয় নব্য ভারতীয় আর্য । বাকি দুটি স্তর হলো প্রাচীন ভারতীয় আর্য ও মধ্য ভারতীয় আর্য । বাংলা , হিন্দি , অসমীয়া , উড়িয়া প্রভৃতি ভাষাগুলি এই ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা বংশের অন্তর্গত । 

খ) অস্ট্রিকঃ- ভারতের প্রাচীনতম ভাষা গোষ্ঠী হল অস্ট্রিক । এই ভাষাবংশ অস্ট্রোনেশীয় ও অস্ট্রো-এশিয়াটিক এই দুটি শাখায় বিভক্ত । অস্ট্রো-এশিয়াটিক শাখা আবার পশ্চিমা , মধ্যদেশীয় ও পূর্বী এই তিনটি ভাগে বিভক্ত । সাঁওতালি , মুন্ডারি , হো , ভূমিজ প্রভৃতি ভাষায় এই পরিবারের অন্তর্ভুক্ত । বর্তমান ভারতে ৬৫ টি ভাষা এই বংশের পরিবার জাত । 

গ) দ্রাবিড়ঃ- ভাষাভাষীর সংখ্যার বিচারে দ্রাবিড় হল ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভাষাবংশ । ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল থেকে দ্রাবিড় জনগোষ্ঠীর মানুষ ভারতের দক্ষিণাংশে বসবাস শুরু করেন । দ্রাবিড় শাখাটি চারটি শাখায় বিভক্ত — দক্ষিণী , উত্তরদেশীয় , মধ্যদেশীয় ও বিচ্ছিন্ন । দক্ষিণী শাখার প্রধান ভাষা হল তামিল , তেলেগু , মালায়ালাম ও কন্নড় । উত্তরদেশীয় শাখার প্রধান ভাষা হল ওরাওঁ , কুরুখ ও মালতো । মধ্যদেশীয় শাখার প্রধান ভাষা হল গোণ্ডী , কুই , কোলামি । আর বিচ্ছিন্ন শাখার ভাষা হল ব্রাহুই ।

ঘ) ভোটচিনাঃ- ভারতে আর্যদের আগমনের আগে মঙ্গোলয়েডরা ভারতে প্রবেশ করে । তাদের ভাষাকে বলা হয় ভোটচিনা । এর দুটি শাখা – তাইচিনা ও ভোটবর্মি । ভোটবর্মি শাখা ভারতের হিমালয় অঞ্চলে প্রচলিত । এই শাখার অন্তর্গত ভোটিয়া ভাষার কেন্দ্র হল লাসা । এই ভাষার নানান বৈচিত্র পাওয়া যায় কাশ্মীরের লাদাখ , হিমাচল প্রদেশের লাউল ও সিপাও জেলায় । পূর্ব হিমালয়ের সিকিমের ভোটিয়া , ভুটানি , শেরপা ও কাগতেরা যে ভাষায় কথা বলে সবই ভোটচিনা বংশের অন্তর্গত । <……………………>

৪। মধ্যভারতীয় আর্যভাষার সময়কাল উল্লেখ করে এই পর্বটি সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। 

মধ্যভারতীয় আর্যভাষার সময়সীমা খ্রিস্টপূর্বাব্দ ৬০০ থেকে ৯০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। 

মধ্যভারতীয় আর্যভাষার ধ্বনিগত ও রুপগত নানা স্তরের বিবর্তনের মাধ্যমেই নব্যভারতীয় আর্যভাষার জন্ম হয়। এই মধ্যভারতীয় আর্যভাষার স্তরকে মূলত প্রাকৃত ভাষার স্তর বলা হয়। তবে তার সঙ্গে আংশিকভাবে পালি ভাষাও যুক্ত রয়েছে। 

মধ্যভারতীয় আর্যভাষাকে ভাষাবিজ্ঞানীরা তিনটি স্তরে বিভক্ত করেছেন —

ক) প্রথম স্তরঃ- আদিস্তরের স্থিতিকাল আনুমানিক ৬০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ১০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এই পর্বের অন্যতম ভাষা হল পালি। এই স্তরে আঞ্চলিক ভাষা রূপের ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে — উত্তর-পশ্চিমা, দক্ষিণ-পশ্চিমা, প্রাচ্য-মধ্যা ও প্রাচ্যা। এদের নিদর্শন পাওয়া যায় অশোকের শিলালিপি এবং কালসী, ধৌলী ও জৌগড় অনুশাসনে।

খ) দ্বিতীয় স্তরঃ- এই স্তরের স্থিতিকাল আনুমানিক ১০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এই পর্বে অঞ্চলভেদে পাঁচটি প্রাকৃতের জন্ম হয়েছে — মহারাষ্ট্রী প্রাকৃত, শৌরসেনী প্রাকৃত, পৈশাচী প্রাকৃত, মাগধী প্রাকৃত ও অর্ধমাগধী প্রাকৃত। এদের সাহিত্যিক নিদর্শন পাওয়া যায় জৈন ধর্ম সাহিত্য, সংস্কৃত নাটকের নারী ও ভৃত্যের সংলাপ, নীতিকাব্য ও ছন্দশাস্ত্র ইত্যাদিতে। 

গ) তৃতীয় স্তরঃ- এই স্তরের স্থিতিকাল আনুমানিক ৬০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৯০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এই পর্বে প্রতিটি প্রাকৃত থেকে এক একটি অপভ্রংশ ভাষার জন্ম হয়। এইভাবে মহারাষ্ট্রী, শৌরসেনী, পৈশাচি, মাগধী ও অর্ধমাগধী অপভ্রংশের জন্ম হয়। এইসব অপভ্রংশ ভাষা থেকে নব্য ভারতীয় আর্যভাষার স্তরে বাংলাভাষা সহ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষার জন্ম হয়।                                <……………………> একাদশ শ্রেণির বাংলা সম্পূর্ণ সাজেশন (PDF)

৫। অস্ট্রিক ভাষাবংশের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও ।

ভারতের প্রাচীনতম ভাষা গোষ্ঠী হল অস্ট্রিক । বর্তমান ভারতে ৬৫ টি ভাষা এই বংশের পরিবার জাত । এই ভাষাবংশ অস্ট্রোনেশীয় ও অস্ট্রো-এশিয়াটিক এই দুটি শাখায় বিভক্ত । অস্ট্রোনেশীয় ভারতের বাইরে ছড়িয়ে আছে । যেমন – ইন্দোনেশিয়ার ভাষা , মেলানেশিয়ার ভাষা , মাইক্রোনেশিয়ান ভাষা ও পলিনেশীয় ভাষা ।

আর ভারতে বিস্তৃত শাখাটি হল অস্ট্রো-এশিয়াটিক । অস্ট্রো-এশিয়াটিক শাখা আবার পশ্চিমা , মধ্যদেশীয় ও পূর্বী এই তিনটি ভাগে বিভক্ত । অবশ্য পূর্বী শাখার অস্তিত্ব নিয়ে সংশয় আছে । পশ্চিমা শাখার ধারা বৃহত্তম । প্রায় ৫৮ টি ভাষা এর অন্তর্ভুক্ত । শবর , কুরুক , সাঁওতালি , মুন্ডারি , হো , ভূমিজ পশ্চিমা শাখার প্রধান ভাষা । এই ভাষা গুলির মধ্যে অন্যতম প্রধান ভাষা হল সাঁওতালি । এই ভাষার প্রায় দশ রকম ভাষা বৈচিত্র দেখা যায় । এই ভাষা বাংলা বা রোমক লিপিতে লেখা হত । এখন অবশ্য সাঁওতালির নিজস্ব লিপি অলচিকি গড়ে উঠেছে । এই লিপির উদ্ভাবক রঘুনাথ মুর্মু । এই শাখার অন্য ভাষা মুন্ডারি ভাষাও বর্তমানে বেশ মর্যাদাসম্পন্ন । অতি প্রাচীনকাল থেকে অস্ট্রিক ও আর্য ভাষার পারস্পরিক যোগাযোগের কারণে বেশ কিছু মুন্ডা শব্দ সংস্কৃত ভাষায় এসেছে । পরবর্তীকালে এরকম কিছু শব্দ বাংলাতেও এসেছে । যেমন – কদলী , অলাবু , তাম্বুল ইত্যাদি ।

অস্ট্রো-এশিয়াটিকের দ্বিতীয় শাখা মধ্যদেশীয় বা মোন-খমের । মোট সাতটি ভাষা এই শাখার অন্তর্ভুক্ত । এদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য খাসি ভাষা । খাসি ভাষা আগে বাংলা হরফে লেখা হত , এখন রোমক লিপিতে লেখা হয় । এই শাখার আরেকটি উল্লেখযোগ্য ভাষা হল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নিকোবরি ভাষা ।

 <……………………>

 ৬। অবর্গীভূত ভাষা কাকে বলে ? উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অবর্গীভূত ভাষার পরিচয় দাও ।

       পৃথিবীর যেসব ভাষায় এক ভাষার সঙ্গে অপর ভাষার ভাষাতাত্ত্বিক সাদৃশ্য পাওয়া যায়নি বা পাওয়া গেলেও এমন কোনো ভাষাতাত্ত্বিক প্রমাণ বা সূত্র স্থাপন করা সম্ভব হয়নি যার মাধ্যমে বংশ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়ে ওঠে । এই ভাষাগুলিকে অবর্গীভূত ভাষা বলে । যেমন – জাপানি , কোরীয় , বাস্ক , আন্দামানি ইত্যাদি ।

জাপানি ও কোরীয় ভাষাকে অনেকে আলতাই ভাষার গোষ্ঠীভুক্ত করতে চেয়েছেন । কিন্তু আলতাই ভাষার সঙ্গে এই ভাষার সাদৃশ্য যেমন আছে , বৈসাদৃশ্য তেমনি আছে । জাপানি ভাষা যথেষ্ট সমৃদ্ধ হলেও তাতে চিনা সংস্কৃতি , ভাষা ও লিপির প্রভাব লক্ষ করা যায় । কোরীয় ভাষায় যেমন পার্শ্ববর্তী মোঙ্গল ও মাঞ্চু ভাষার প্রভাব আছে , তেমনি চিনা ভাষারও প্রভাব আছে ।

ফ্রান্সের পশ্চিমে এবং স্পেনের পূর্বে পিরানিজ পর্বতমালার চারপাশে বাস্ক ভাষা প্রচলিত । উত্তর স্পেনের দুই শতাংশ এবং দক্ষিণ ফ্রান্সের কিছু মানুষের মাতৃভাষা বাস্ক । ফিন্নো-উগ্ৰীয় ভাষার সঙ্গে এই ভাষার সামান্য সাদৃশ্য আছে ।

আন্দামানি ভাষা ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের বৃরুশাসকি বা খজুনা ও আন্দামানে প্রচলিত ।

৭। কিউনিফর্ম বা কীলক লিপি সবচেয়ে প্রাচীন নমুনাটি কোথায় পাওয়া গেছে? এই লিপির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। অলচিকি লিপির উদ্ভাবক কে ? 

কিউনিফর্ম বা কীলক লিপি সবচেয়ে প্রাচীন নমুনাটি পাওয়া গেছে উরুক শহরে। 

কিউনিফর্ম বা কীলক লিপির নামকরণ করেছিলেন বিখ্যাত লিপিবিশারদ টমাস হাইড। টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর তীরে মেসোপটেমিয়ায়, সুমের, আক্কাদ প্রভৃতি প্রাচীন সভ্যতায় ব্যবহৃত লিপিটি হল কিউনিফর্ম বা কীলক লিপি। লাতিন শব্দ কিউনিয়াস যার অর্থ পেরেক বা কীলক আর ফরমা শব্দের অর্থ আকৃতি — এই দুইয়ের মিলনে গঠিত শব্দটি হল কিউনিফর্ম যার অর্থ হল পেরেকের মতো আকৃতি। প্রাচীন মেসোপটেমিয়া মানুষদের বিশ্বাস অনুযায়ী নেব নামক দেবতাই এই লিখন পদ্ধতির আবিষ্কার কর্তা। নরম মাটির চাকতিতে লিখে তা শুকিয়ে আগুনে পুড়িয়ে শক্ত করে নির্মিত হত কীলক লিপি। 

এই লিপি থেকে প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার সমাজ জীবন সম্বন্ধে জানা যায়। কীলক লিপির সবচেয়ে পুরানো নমুনা পাওয়া যায় উরুক শহরের যা প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছরের পুরোনো। প্রাচীন সুমেরর একটি মন্দিরের নীচে প্রায় পঞ্চাশ হাজার কিউনিফর্মে লেখা সিলমোহরের সন্ধান পাওয়া যায়। বিখ্যাত ইংরেজ পন্ডিত ও প্রত্নতাত্ত্বিক হেনরি ক্রেসইউক রলিনসন ইরানের বেহিস্তন পাহাড়ের গায়ে প্রাপ্ত পঁচিশ ফুট লম্বা ও পঞ্চাশ ফুট চওড়া শিলালিপির আবিষ্কার ও পাঠোদ্ধার করেন যা প্রাচীন ফারসি, ইলামাইট ও ব্যাবিলনীয় ভাষায় কীলক লিপিতে লেখা রয়েছে। 

অলচিকি লিপির উদ্ভাবক হলেন রঘুনাথ মুর্মূ।

ভাষার ইতিহাস এর উপরের সমস্ত নোটসগুলির PDF Download করে নাও👇

এই প্রশ্নগুলির উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নাও 👉 ‘কর্তার ভূত’

তেলেনাপোতা গল্পের উত্তর ডউনলোড করে নাও 👉 তেলেনাপোতা আবিষ্কার

ডাকাতের মা’ গল্পের প্রশ্নের উত্তরগুলি ডাউনলোড করে নাও👉 ‘ডাকাতের মা’ গল্পের নোট এখানে

গ্যালিলিও প্রবন্ধের সাজেশনভিত্তিক উত্তর 👉 গ্যালিলিও প্রবন্ধ

আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇

বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান

বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান

বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান

বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান

গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।

বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান

বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা

আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান

গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান

প্রবন্ধ সাহিত্যে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদান

Leave a Reply