( তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর,‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের’ সাজেশন, telenapota abiskar proshno,Class 11 2nd semester bengali, একাদশ শ্রেণির বাংলা সাজেশন 2024, ২০২৪-২৫ সালের একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্ত্বপূর্ণ তিনটি প্রশ্নোত্তোর । ২০২৫ সালের একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্ত্বপূর্ণ তিনটি প্রশ্নোত্তোর । উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৪, Higher Secondary Bengali Suggestion 2024, hs bengali suggestion 2024 pdf, hs bengali suggestion 2025 pdf, ‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার’ গল্পের প্রশ্নোত্তর |bhaat golpo by Soiyod mostafa siraj || তেলেনাপোতা আবিষ্কার বাংলা সাজেশন ২০২4-25 |Higher Secondary Bengali Suggestion Question and Answer | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা বিষয়ের সাজেশন অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলির উত্তর PDF Download এর লিঙ্ক নীচে দেওয়া হল।’তেলেনাপোতা আবিষ্কার প্রশ্ন ও উত্তর,’তেলেনাপোতা আবিষ্কার’ সাজেশন, Class XI Bengali বা WBCHSE HS Bengali উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা পাঠ্য তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্প । তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের গুরুত্ত্বপূর্ণ পাঁচটি বড় প্রশ্ন ও উত্তর এখানে আলোচনা করা হলো। তেলেনাপোতা আবিষ্কার থেকে যেসকল বড় প্রশ্ন গুলি উচ্চমাধ্যমিক বাংলা বা একাদশ শ্রেণির বাংলা বিষয়ের তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের এই প্রশ্নগুলি পড়লে তোমরা যথভাবে উত্তর লিখতে পারবে । Class 11 2nd semester bengali, class 11 bengali suggestion 2025 এর জন্য সমগ্র গল্প কবিতা , নাটক ,ভাষা , শিল্প সংস্কৃতির ইতিহাসের প্রশ্ন ও উত্তরের জন্য এই ওয়েবসাইটটি ফলো করো। )
তেলেনাপোতা আবিষ্কার:
১) ‘আপনার আসল উদ্দেশ্য আপনি নিশ্চয় বিস্মৃত হবেন না’। আসল উদ্দেশ্য কোনটি? সেই উদ্দেশ্য সাধনে উদ্দিষ্ট ব্যাক্তি করলেন ?
উত্তর:: প্রেমেন্দ্র মিত্র রচিত ‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার’ গল্পে আসল উদ্দেশ্য বলতে মৎস শিকারের কথা বলা হয়েছে।
∆ তেলেনাপোতা গ্রামের নির্জন পুকুরে মাছ শিকারের অসাধারণ একটি বর্ণনা আছে। পানা পুকুরে বড়শি ফেলে একাকী বসেছিলেন গল্পকথক। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি দেখলেন একটি মাছরাঙা পাখি উপহাস করার জন্যে পুকুরের জলে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। ঠোঁটে মাছ নিয়ে সে প্রমাণ করছে কীভাবে শিকার করতে হয়। একটি সাপ ভাঙা ঘাটের কোনো এক ফাটল থেকে বেড়িয়ে ধীর গতিতে পুকুরের এধার থেকে ওধার ওঠে। দুটি ফড়িং পাল্লা দিয়ে পাতলা কাঁচের মত পাখা নেড়ে ফাতনার উপর বসে। ঘুঘু পাখি উদাস করা সুরে ডাকতে থাকে। সবশেষে একটি মেয়ের আবির্ভাব ঘটে এমনি করেই সময় পেড়িয়ে যায়, অথচ একটি মাছও ধরতে না পারায় নিতান্ত হতাশ হয়ে উদ্দিষ্ট ব্যাক্তি সাজসরঞ্জাম নিয়ে উঠে পড়েন।
২) “কে নিরঞ্জন এলি ?”- নিরঞ্জন কে ? কোন উপস্থিতিতে গল্পকথক নিরঞ্জনের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন ?
উত্তর: প্রেমেন্দ্র মিত্রের লেখা ‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার’ গল্পের প্রধান নারী চরিত্র যামিনীর সঙ্গে যার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল তার নাম নিরঞ্জন। সে ছিল যামিনীর মায়ের দূর সম্পর্কের বোনপো।
∆ তেলেনাপোতা আবিষ্কারে গিয়ে লেখকের দৃষ্টি ও হৃদয় আকর্ষন করেছিল যামিনী। সে ছিল কথকের বন্ধু মণিদার জ্ঞাতিস্থানীয়া। যামিনীদের বাড়িতেই তাদের মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন হয়েছিল। খাওয়ার পর তারা যখন বিশ্রাম করছিল তখন যামিনী এসে মণিদাকে ডাকে এবং নিচু স্বরে কিছু কথা বলে যায়। মণিদার মুখে নিরঞ্জন বৃত্তান্ত শোনে। চার বছর আগে নিরঞ্জন এসে যামিনীর মাকে কথা দিয়েছিল যে বিদেশ থেকে ফিরে এসেই সে যামিনী কে বিয়ে করবে। কিন্তু সে আর ফিরে আসেনি। যামিনীর মা গল্পকথকদের কাউকে নিরঞ্জন ভেবেছিল এবং তার কাছে নিরঞ্জন কে নিয়ে যাওয়ার জন্যে যামিনীকে জোর করেছিল। মাকে শান্ত করতেই যামিনী মণিদাকে ডাকতে এসেছিল।
৩) “মনে হবে তেলেনাপোতা বলে কোথাও কিছু নেই”।- একথা কার মনে হবে ? এই মনে হওয়ার কারণ কী ?
উত্তর:: উদ্ধৃতিটি কথাসাহিত্যিক প্রেমেন্দ্র মিত্রের লেখা ‘ তেলেনাপোতা আবিষ্কার ‘ ছোটোগল্প থেকে নেওয়া। আলোচ্য গল্পে গল্পকথকের একথা মনে হয়েছিল। যেকোনো পাঠকেরই এমন অনুভূতি হবে বলে মনে হয়।
∆ গল্পকথক দুইবন্ধু সহ একরাতের জন্য তেলেনাপোতা নামক এক গ্রামে বেড়াতে গিয়ে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সে গ্রামের মেয়ে যামিনীকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কলকাতা ফিরে আসেন। ফিরে বেশ কয়েকদিন পর পারিপার্শ্বিক এ বিবং মানসিক সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে পুনরায় তেলেনাপোতা যাওয়ার জন্যে প্রস্তুত হন। কিন্তু তার আগেই তিনি তেলেনাপোতার মশা-বাহিত ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। বহুদিন পর সেরে উঠে অতি দুর্বল দেহ নিয়ে কাঁপা পায়ে বাড়ির বাইরে আলো বাতাসে যখন কথক এসে বসলেন, তখন তিনি বুঝতে পারলেন যে – ইতিমধ্যেই তাঁর দেহ-মনে নিজের অজ্ঞাতেই অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কলকাতা ফেরার দিনটিতে যে তেলেনাপোতা তাঁর কাছে ছিল ঘনিষ্ঠ এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, তাই বর্তমানে পর্যবসিত হয়েছে। সদ্য ম্যালেরিয়া থেকে সেরে ওঠা কথক উপলব্ধি করেন যে, তেলেনাপোতা এখন ঝাপসা এক স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। আর, যামিনী তাঁর কোনো এক দুর্বল মুহূর্তের কুয়াশাচ্ছন্ন এক কল্পনামাত্র। ভয়ঙ্কর ম্যালেরিয়া কথককে ভিতরে বাইরে নাড়িয়ে দিয়েছিল বলেই এমনটা মনে হয়েছিল তার।
৪) তেলনাপোতা যাওয়ার কারণ কী ? একে লেখক “আবিষ্কার” বলেছেন কেন ?
অথবা ” তেলেনাপোতা আবিষ্কার গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।
উত্তর:: কল্লোল যুগের কবি ও গল্পকার প্রেমেন্দ্র মিত্রের একটি সার্থক সৃষ্টি ‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার’। গল্পে তেলেনাপোতা বলে একটি জায়গা রয়েছে, যা জনস্রোতে ভরা রাজধানী থেকে খুব বেশি দূরে নয়। ঠাসাঠাসি বাসে চেপে শহরাঞ্চল থেকে মাত্র দুঘণ্টার যাত্রাপথে এমন একটি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল রয়েছে, যেখানে জীবন যেন থেমে গেছে বলে বােধ হয়, অবসর সময় কাটাতে এবং মৎস্য শিকারের ইচ্ছা চরিতার্থ করবার জন্যই কথক তার দুই বন্ধুর সঙ্গে তেলেনাপােতায় পাড়ি দেন।
∆ লেখক এই তেলেনাপােতায় যাওয়ার ব্যাপারটিকে আবিষ্কার বলে চিহ্নিত করেছেন। কারণ সভ্যজগতের এত কাছাকাছি দূরত্বের মধ্যে এমন একটি দমবন্ধ করা পরিবেশে স্থির জীবন প্রবাহের সন্ধান পাওয়া শহরাঞ্চলের ব্যস্ত মানুষের কাছে এক বিস্ময়কর আবিষ্কার। এটি এমন একটি জায়গা, যেখানকার এক আশ্চর্য সরােবরে পৃথিবীর সবচেয়ে সরল মাছেরা প্রথম বড়শি-বিদ্ধ হওয়ার অপেক্ষায় উদ্গ্রীব হয়ে আছে। একশাে দেড়শাে বছর আগে ম্যালেরিয়ার প্রকোপে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া এই অঞ্চল প্রকৃতপক্ষে একটি শ্মশানের দেশ—যেখানে। দশটা বাড়ি খুঁজলেও একটি পুরুষের দেখা মেলে না। এই তেলেনাপােতাতেই কবি আবিষ্কার করেছিলেন তার মাছ ধরার ব্যর্থতার জন্য মাছরাঙার নীরব উপহাস। এই অঞ্চলটি বেশিরভাগ মানুষের কাছে অজ্ঞাত বলে তেলেনাপােতায় যাওয়াকে লেখক আবিষ্কার বলে উল্লেখ করেছেন।
‘তেলেনাপোতা আবিষ্কার’ গল্পের নোটস এর পিডিএফ ডাউনলোড করে নাও 👇👇👇
আরো দেখে রাখতে পারো👇👇👇
বাংলা কাব্যে যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কবি-মাইকেল মধুসূদন দত্তর অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর অবদান
বাংলা কাব্যে কবি মোহিতলাল মজুমদারের অবদান
বাংলা কাব্য-সাহিত্যে কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত-র অবদান
বাংলা কাব্যে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান
গীতিকবিতার ভোরের পাখি কাকে বলে হয় ? বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান আলোচনা করো ।
বাংলা কাব্য সাহিত্যে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অবদান
বাংলা কাব্যে বিষ্ণু দে-র অবদান আলোচনা
আধুনিক বাংলা কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অবদান
গদ্যের বিকাশে বিদ্যাসাগরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান
প্রবন্ধ সাহিত্যে প্রমথ চৌধুরীর অবদান